তখন আমি মগ্ন ছিলাম ধ্যানে...সাধনায়...আমি তখন গৌতম হয়ে যাচ্ছি নির্বাণে... এ রকম দিনগুলোর একদিনে শুন্য নিয়ে ছিলাম...শুন্যে। যেহেতু সবকিছুই শুন্য থেকে শুরু করতে হয়, শুন্যে বিলিন হয়ে যায় সবকিছু , মাথাশুন্য না হলে জ্ঞানী হওয়া যায় না...যেহেতু সবকিছুর শুরু শুন্য থেকে হয়... যেমন জ্ঞানকান্ড, কোন দৈবের বলে শরীর বৃক্ষে পাঁচটা ডাল গজিয়ে ওঠে শুন্য থেকে। তো সাধনার কৌশলে কতোদিন কতোরাত কতো কতো পাহার গলিয়ে বাষ্প করে নিয়েছি প্রয়োজনে, শুন্যের- পুরোটা মানুষ, পুরোটা শরীর বৃক্ষের পাঁচখানা ডাল ছেটে শুন্য করতে, শরীর বৃদ্ধির প্রয়োজনে।
"জানো, এখোনো মাঝে মাঝে তলপেটটাতে চিনচিন ব্যাথা হয়, তলপেটে চিনচিন ব্যাথাটা, অনুভূতিটা ফিরে ফিরে আসলেই তোমার কথা মনে পরে যায়। এখন নিশ্চয় সুখে আছো নতুন সংসার-ঘর-গৃহস্থলি-পুত্র-পরিবারার নিয়ে। এ মাসেইতো তোমার মেয়েটার বয়স ১ বছর হবে...১ বছর যোগ ১ বছর = ২ বছর...দুই বছর !" - এ টুকু পড়েই থমকে দাড়ালাম, ব্রেক করে...প্রেরক ও প্রাপকের নামহীন, সম্বোধন শুন্য চিঠি আমি এর আগে দেখিশুনি নাই। তবে হাতের লেখাটা দেখে বোঝা যাচ্ছে আমার বউ অথবা কন্যার ভেতরে একজন শুন্যের বরাবর চিঠিটি সাজিয়েছে প্রাক্তন কারো স্মৃতির বেদিতে...২২ পৃষ্ঠায় ভরে। যেহেতু দু'জনের একজন অন্যের কার্বণ কপি চোখ-চুল-চেহারাছবি থেকে হাতের লেখা পর্যন্ত...আহ্ কি সুন্দর হাতের লেখা ! গোটাগোটা করে যত্ন নিয়ে লেখে দু'জনই...সনাক্ত করা গেল না কে কাকে লিখেছে !!!
এর বেশি দেখা প্রথামতে অনুচিত, যখন আমি জেনে গেছি এই বিষয়টা ব্যাক্তিগত-একজনের একান্ত একার বিষয়। তাই চিলেকোঠায় প্রকাশ্যে রাখা বাক্সের গোপনে রাখা চিঠিটা অসাবধানে আমার হাতে পরলেও এর বেশি না পড়েই রেখে দিয়েছি জায়গায়। তারপরে ভুলে থাকতে চাইছি দেখে ফ্যালাটা।
চোখের দেখা, কানের শোনা ভুলওতো হইতে পারে (নির্বাণ বলেছেন)।
তারপরে থেকে ভাবনা গুলো-চিন্তাগুলো-সন্দেহগুলো-চুড়ান্ত মানবীয় পাপের ছবিগুলো ভীড় করে ঢুকে পড়তে চাইছে, একটু চ্যাতন হলেই, আমার ভেতরে, শুন্যে
তারপরে থেকে শুন্য থাকতে পারছি কই, ধোয়াতে আগুন জ্বেলেও
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন