রবিবার, ৫ জুন, ২০১১

সামহোয়্যারে সিনসিয়ারের ব্লগ

ব্লগে প্রকাশিত হযরত মামুন আব্দুল্লাহ্'র কবিতার সংকলন
 

 

ফুলের দোকান


ফুল কিনতে এলাম আমি ফুলের দোকানে
তার এক দোকানে হরেক ফুলের মেলা

তাঁর কয়টি বাগান আছে?




আমার লজ্জা করে


ভিক্ষা মাগি, যেচে খাই
আমার লজ্জা করেনা
আমার লজ্জা শরম নাই,
সিঁদ কাটিনা অন্যলোকের ঘড়ে
আমার লজ্জা করে শরম করে।

টোলের টেক্সট

ডানদিকে সমুদ্র আর বামে পাহাড়
উপরে মহাশুন্য আর পায়ের নিচে কংক্রিট
কোনপথ নিরাপদ ভয়শুন্য

কোনপথ নিরাপদ পানিশুন্য
কোন উতরাই অনায়াস
কোন উড্ডিন বাস্তব অযান্ত্রিকে
নিচে মাটি হলে তবু ভেদ করা যেতো
এতো কংক্রিট- দুর্ভ্যেদ্য

তবে কোনপথ নিরাপদ গমণের...


নতুন কবিতার খসড়া
 

চোখের অসুখ আমাকে দেখতে দেয়নি কোনদিন ভালো করে
সাতরঙ-নীলাকাশ-প্রজাপতি-মেঘরঙাফুল

অনেকের মুখে অনেক শুনেছি গল্পেরগাথা- দ্যাখা হয়নি-
কোনো কোনো দিনে নাকি পশ্চিমাকাশ হোসেনের রক্তে লাল হয়ে যায়,
পূর্ণিমার রাতে আকাশ আলো করে উড়ে যায় ঝাকেঝাকে সাদা বক,
মেয়েরা যখন রঙিন ফিতেয় চুল বেধে ঝলমল করে দলবেধে
ইসকুলে যায় -তখন নাকি আকাশ থেকে ফুলের পাঁপড়ি ঝরে পরে
নতুন বধুরা যখন তাদের বর কে ওগো বলে ডাকে -তাদের গালে নাকি
ফুটে ওঠে লালপদ্মের রঙ।

এসকল রঙের গল্প শুনে শুনে কেটে গ্যালো একজীবন
দ্যাখা হলোনা পরিষ্কার- আমার যে চোখের অসুখ।

নতুন কবিতার খসড়া-২

জল পড়তে পড়তে পাথরটা ক্ষয় হয়ে গ্যাছে
তার উপরে শ্যাওলারা পেতেছে সংসার
মাথার উপরে প্রতিদিন রোদেরা একটানা
আলো দ্যায়, রোদ দ্যায়। রোদ পড়তে পড়তে
মাথাটাও ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে নাকি?
তার উপরে কারা কারা সংসার পাতছে?



থার্টি-ফাস্টের কবিতা ঃ ছোট-বড় বিলাই এবং ভাল্লুকদের জন্য কবিতা


পৌষ ও মাঘ মাসে বাঘেরা বাইরে থাকে না
ঘড়ের ভেতরে ঘাপি মেরে পিঠা-পুলি খায়
কেউ কেউ বউ-বাচ্চা সহ বেড়াইতে যায়
সাগরে; বরফের উপরে জনিকে হাটায়
আর শুধুমাত্র গুটি কয়েক হতভাগ্য
সৌভাজ্ঞ বঞ্চিত ছোট ছোট বেড়াল
দু'য়েকটা বড় বেড়ালের সাথে
মাঝরাত্রে রাস্তায় দাড়িয়ে
ঠকঠক করে কাঁপে
হিম ঠান্ডায়

জনগণের দোড়গোরে জরুরী সেবা পৌছে দেবার প্রয়োজনে।

থার্টি-ফাস্টের কবিতা ঃযারা গত রাতে অনেক মজা করেছেন
 

গত রাতে আমি ঘুমায়ে ছিলাম ঘড়ে, বাইরে যাইনি
স্বপ্ন ধরবো বলে ঘুমের জাল পেতে বসে ছিলাম একাই

মাকড়শা যে ভাবে মৃতবৎ পড়ে থাকে তার জালের উপরে
শিকারী যে ভাবে ধ্যনস্থ হয়ে তাকিয়ে থাকে ফৎনার দিকে
কলের অপেক্ষায়- আমিও সেই ভাবে ঘুমের জাল পেতে ছিলাম
গত রাতে, যদিও জানতাম বাইরেই বেশি মজা হবে - হুল্লোরে
স্বপ্ন গাছেরও অধিক বেশি রঙিন ফুল ফুটবে দোকানে দোকানে

একবার ভেবেছিলাম যাবো তারপরে যাইনি যেহেতু
আমার মলিন মুখটাকে শুধুমাত্র স্বপ্নদৃশ্যেই একটু উজ্জ্বল দেখায়।

পাট রচনা

ইসকুলে পাঠ্য বইয়ে পড়েছি পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকারী ফসল
অথচ যখন বোঝার বয়স তখন দেখেছি আমাদের কোন পাটক্ষেত নেই
সবই অতীত সবই স্মৃতি, এমন কি ক'বছর আগেই ঝুলে পড়ার প্রয়োজনে
ছোটবু আমাকে সঙ্গে নিয়ে দোকান থেকে পাটের রশি কিনেছিল, যেহেতু
আমাদের ক্ষেত ততোদিনে ইরি-বোরো চিংড়ির দখলে চলে গ্যাছে
আমাদের সবগুলো নদী-বিল ও পুকুর ততোদিনে মাছের চাষে ভরে গেছে
সেখানে পাট জাগ দেয়া তখন আইনত অপরাধ, আদমজী চলে গ্যাছে
নেতাদের পেটে

আর গতকাল পত্রিকায় দেখে চমকে উঠলাম - চলতি বছরে দেশের
পাটের বাজারে আগুন ধরেছে, এখন স্নেহ করেও কেউ আর
পাটকে কুষ্টা নামে ডাকছে না, ইহা আবার রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে।


সাদা কাগজটার পাশে, টেবিলের উপরে


একটা সারাটা দিন বৃথাই গেল, কিচ্ছু হলো না
সকাল থেকেই একটা সাদা পৃষ্ঠা টেবিলে পড়ে ছিল
আশে-পাশে অনেকগুলো কলম পেন্সিল আর প্রেরণা ছিল
আর কয়েক গন্ডা হাতা তার উপর দিয়ে ঘুড়েফিরে চলে গেল অনার্থক
দিন ভর। কারো মনে হলো না এমন কি একটা দাগও কাটলো না কেউ এর উপরে
দিন শেষ হলো শুধু দীর্ঘনিঃশ্বাস, ঘড়ে ফেরার তাড়া আর মগজ ভর্তি না বলা কথা নিয়ে
সাদা কাগজটার পাশে, টেবিলের উপরে

আজ সারাটা দিন কিচ্ছু করা হলো না।


এখন কবিরা অনেক স্মার্ট- তারা ব্লগ লিখতে পারে


এখন কবিরা অনেক স্মার্ট
তারা আর আগের মতোন আত্নহত্যার কথা ভাবেন না
লেখার কাগজ নিয়ে তাদের ভাবতে হয় না, লেখার মাঝ পথে কলমের কালির সাথে লেখাগুলো আটকে যায় না, তারা আজকাল
কি-বোর্ড চেপে চেপে কবিতা লেখেন, চাবির পরে চাবি টিপে ভাবনাগুলো সাজিয়ে তোলেন
তারা যন্ত্রের ব্যাবহারে অভ্যাস্ত হয়ে উঠছেন
লেখার সাথে সাথে লেখাগুলো প্রকাশ করতে পারছেন (ব্লগে)
তাকে ঘুরতে হচ্ছে না সম্পদকের দুয়ারে দুয়ারে বোতল নিয়ে
আর প্রসব পরবর্তি অবসাদ - যা মূলত সদ্য জন্ম নেয়া কবিতা
আরেকজন কবির সাথে, পাঠকের সাথে শেয়ার করতে না পারার যন্ত্রণা থেকে
জন্ম নিত; এখন অনেক কমে যাচ্ছে। যেহেতু কবিরা চাবি টিপে মূহুর্তেই পৌছে যাচ্ছেন
আরেকজন কবির বাড়িতে
এখন তারা ইচ্ছা হলেই আরেকজন কবির জানালায় উকি দিয়ে দেখতে পারছেন
আজ তার রসুইয়ে কি পাক হচ্ছে - পদ্য নাকি গদ্য
নাকি আজ কবির কিচ্ছু ভালো লাগছে না, আজ তার উপবাস

আর তারা চাবি টিপে টিপে সাজিয়ে তুলছেন নিজের ভাবনা গুলো, দেখে নিচ্ছে মনিটরে
ভাবনাগুলো জমা করে রাখছেন যন্ত্রের স্মৃতিতে, ছড়িয়ে দিচ্ছেন বেতারে
আকাশে আকাশে

এখন কবিরা আত্না-হত্যার আগে সুইসাইড নোটের পরিবর্তে লাইভ ব্রডকাষ্ট করতে পারছেন মুহূর্তটাকে।

ইমরান মাঝি এবং সাদী তাঈফ এবং সাইফ কে মনে পড়লো অকারণে


পাখীরা পড়ে না, নানা বাড়ি যায় ছুটিতে
কষিটানা খাতাগুলো ফাঁকা পরে থাকে
অপেক্ষায়। জেলের সন্তান মজিদ মিঞা
ফোর পাশ করে রিক্সা চালায় তাই পাখীর
বাপ তাকে সাথে নিয়ে ইসকুলে যায়
উপবৃত্তির পয়শা তুলিতে।


সময় যাপন-১০


মাতম স্তব্ধ হলে লোবানের ঘ্রাণ
অলৌকিক আয়াতের সাথে
মিশে যায় গোরস্থানময়
আয়াতুল কুরশীর বাণী অচেনা লাগে
চৌদিকে চেয়ে দেখি প্রখর রোদ্দুর
ঈশ্বর প্রতিপক্ষ হলে প্রতিরোধ
সামান্যই সম্ভব
তবুও কেউ কেউ প্রতিবাদী হয়
ইসকুল পালিয়ে সিনেমা দ্যাখে।


তরিকা


মার্জিত এবং পরিবর্ধিত সংষ্করন

তরিকা একটা জটিল ব্যাপার
যেমন কর্ম একটা যোগ
যে যোগী সে পারে
কোরতে

বাইবেলে লুক বলেছেন
- যে করে সে বাড়ীর বাইরে যেতে ভয় পায় না
কারণ সে পাওয়ার যোগ্য।
পারা একটা কথাও বটে-
জটিল

এই দুনিয়ায় দুই তরিকার সাধক আছেন
জাহেরী আর বাতেনী

জাহেরী তরিকার সাধকগণ জাহের করেন
কারণ তারা পারেন
আর যারা বাতেনী তরিকার লোক
তারাও করেন ইচ্ছে হলে
কোরে গোপন করেন।

কলির এই দুনিয়ায় পারাটা একটা পাপ
যে পারে তাকে অন্যের অনুরোধে
ঘুরেফিরে একই কাজ
কোরতে হয়
বারবার
পারার অপরাধে

আর অনুরোধের ঢেকিতো একটা দারুণ ব্যাপার
মানুষকে দিয়ে তার অপ্রিয় কাজগুলো করিয়ে নিতে পারে

তাই বাতেনী তরিকার সাধুগণ
পারতপক্ষে করেন না,
কোরলেও গোপন করেন।।

আমি ভাই অলস মানুষ, তরিকাছাড়া উলুরবনে
ভাবতে ভাবতে দিন কেটে যায়
কোরবো কখন...

অনেক দিনের অনেক দিন পরে


অনেক দিনের অনেক দিন পরে
আজ বৃষ্টি হচ্ছে
গোঁ গোঁ শব্দ তুলে একটা ট্রাক
আসছে আমার দিকে ছুটে
আকাশে ডাকছে আমাকে মেঘ

আমি তোমাকে একটা গল্প লিখছি
আজ
অনেক দিনের অনেক দিন পরে।


নষ্টলজিক বিকেলে চায়ের কাপে-২


কিশোরের চোখ দেখে ফ্যালে ফুল
ফুলের ভেতরে ছিল নদী
আহা নদীটাকে দ্যাখা যেত যদি!

সাদা সাদা মেঘ উড়ে উড়ে যায়, হাওয়ার ইচ্ছায়
মাঝে মাঝে ঝড়ে পড়ে বৃষ্টি হয়ে টাপুর টুপুর
নড়েচড়ে বুকের ভেতরে আগুনের নদী
আহা নদীটাকে দ্যাখা যেত যদি!

বুকের ভেতরে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে জাগে
বিকেলের ভোর
আর একা একা থাকে যে কিশোর
যুবক বয়সে, তাকে কি বলা যাবে এই বেলা
একর অধিক সমিল মৌলিক-
সেতো পৃথিবীতে নেই।


অনেক দিনের অনেক দিন পরে


অনেক দিনের অনেক দিন পরে
আজ বৃষ্টি হচ্ছে
গোঁ গোঁ শব্দ তুলে একটা ট্রাক
আসছে আমার দিকে ছুটে
আকাশে ডাকছে আমাকে মেঘ

আমি তোমাকে একটা গল্প লিখছি
আজ
অনেক দিনের অনেক দিন পরে।
 

 

 

নীল নির্বাণের গল্প এবং আমার দর্শন-চিন্তার সাথে দুইটা ছবি

নীল নির্বাণের গল্প


আমার ছেলে নীল নির্বাণ এর বয়স ২ বছর ৮ মাস। নীল নির্বান এইটুকু বয়সেই বেশ গল্পো বানানো শিখে ফেলেছে (যে যুগ-জামানা পরছে না শিখে উপায় আছে !!!)। তো আজ সকালে ও আমাকে ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাক্যে (আমার বলা ইংরেজী বাক্যের চেয়ে ওর ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাক্যে ভালো কাজ চলে- মূল বিষয় বোঝাতে)। গল্পোটা হুবুহু তুলে দিলাম ৎ


কাল আমরা যখন পুকুর পারে গেছিলাম তখন একটা হাম্বা হাটতে হাটতে পানিতে পরে গেছিল। তখন পুকুরের সব পানি রাস্তায় চলে আসছিল। মাছরাও রাস্তায় চলে আসছিল, লাফাচ্ছিল। তখন একটা ম্যাও আছেনা, কালো ম্যাও এসে সব মাছ খায়ে ফেলছে। তারপর না ম্যাওটার গলায় একটা কাঁটা ফুটে গ্যাছে।





নীল নির্বাণ মায়ের সাথে নাটক করছে




আমার দর্শন-চিন্তা-০১


জ্ঞানীরা বলেন দর্শনশুন্য জীবন হয়না। প্রত্যেকটি জীবনেরই বেঁচে থাকার জন্যে একটা দর্শনের প্রয়োজন - যেইটার নাম জীবন-দর্শন।একটা সুনির্দিষ্ট জীবন-দর্শন থাকলে জীবনটা যাপন করা সহজ হয়। জীব ভেদে জীবন-দর্শনের ভেতরে ভিন্নতা থাকে, তবে মানুষ বাদে আর সব অন্যান্য জীবনগোষ্ঠির জীবন-দর্শন মোটামুটি একটাই -জীবনের জগতে টিকে থাকা ( আমি পশু-পক্ষী-গাছদের সাথে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই সত্য আবিষ্কার করেছি ! )। তবে এখন জীবনজগতের একটা বড় অংশের টিকে থাকা না থাকার বিষয়টা মানুষ নামক জীবের উপরে নির্ভরশীল হয়ে পরেছে। এখানে জীবনজগতের এই অংশের কারোরই জন্ম-মৃত্যু-টিকে থাকার জন্যে নিজেদের কিছু করতে হয়না-করার প্রয়োজন পরে না-করার সুযোগটাই নেই।তাদের জন্মটা পর্যন্ত হয় মানুষের তত্বাবধানে (খামারে), ফলে তাদের জীবন হয়ে পরেছে দর্শন-শুন্য, ফলত উদ্দেশ্যবিহীন।অবশ্য মানুষের মধ্যে বড়ো অংশটাও এখন এই সব অন্যান্য জীবনের মতোনই কোন সুনির্দিষ্ট জীবন-দর্শন ছাড়াই জীবনটা পার করে দিচ্ছে - একটা ছোট্ট গোষ্ঠির (এরাও মানুষ) জীবন-দর্শন বাস্তবায়নের নিমিত্তে বিবিধ প্রয়োজন মেটাচ্ছে।










কাফফারা ঃ যেহেতু কাজ-কাম নাই, তাই হাবিজাবি উদ্ভট কথাবার্তা লিখছি। যেহেতু এই পোষ্টের দ্বারা আপনার ভেতরে বিরক্তি উৎপাদন করেছি , কাফফারা স্বরূপ কলাবতী ফুলের একটা অল্প নবীন এবং একটা অধিক নবীন পাতার আর একথোকা লাল টুকটুকে কলাবতি ফুলের ছবি জুরে দিলাম - সবুজ দেইখা মেজাজ শরীফ ঠান্ডা করেন।





কলাবতী ফুলগাছের নবীন পাতা





কলাবতী ফুল














আমি তোকে ভালবাসতে চাই, আমি তোর কাছে আসতে চাই






আমি তোকে ভালবাসতে চাই, আমি তোর কাছে আসতে চাই জাতীয় কবিতা/গান লিখতে মন চাচ্ছে।


লিখেই ফেলা উচিত....আপনেরা কি বলেন? নাহলে আবার অসুখ-বিসুখ হইতে পারে!!!!




বেচারামের বাবা আত্মারাম ইহধাম ত্যাগ করার পরে বলাই চিন্তি কে নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা


বলাই চিন্তি কে নিয়ে বেচারাম খুব চিন্তায় ছিল। বেচারামরা পেশায় ধোপা। এইটা তাদের পূর্বতন চৌদ্দপুরুষের পেশা।বংশ পরম্পরা অনুশারে তাদের বংশে কারো জন্ম হলে সেও পিতা-পিতামহের পেশাকে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করবে এইটাই ছিল রীতি। জীবিকাটা এখানে মুখ্য বিষয় নয়, পরম্পরাটাই আসল। ধোপার সন্তান ধোপা না হয়ে অন্য কিছু হতে পারে - এই বোধটাই তাদের বংশের কারো মধ্যে ছিল না, কেউ এ রকম চিন্তা করার দুঃসাহসও করতো না অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভয়ে। তারচেয়ে পৈত্রিক পেশায় ঢুকে নিরাপদে জীবনটা পার করে দেওয়াটাই সহজ ও স্বাভাবিক ছিল। তাছাড়া বাপ-দাদার পেশায় না ঢুকে অন্য কোন পেশায় ঢুকে জীবিকা নির্বাহ করা যায় সেইটা ভেবে-চিন্তে বাইর করাও একটা মুশকিল ছিল। অবশ্য বেচারামদের আগে কারো এই রকম পাপ চিন্তার দরকারো হয় নাই। বেচারাম যখন কিশোর ঠিক সেই সময়ে তাদের চৌদ্দ পুরুষের পেশায় টিকে থাকা নিয়ে সত্যিকারের সংকট দেখা দিলো। তখন বেচারামের বাবা আত্মারাম মাত্র দেহ ত্যাগ করেছে। ইহধাম থেকে ইস্তফা নেওয়ার সময় আত্মারাম তার জেষ্ঠ্যপুত্রধন বেচারাম কে তার সবকিছু দিয়েথুয়ে গিয়েছিল। উত্তরাধিকার সূত্রে পিতাঠাকুরের কাছ থেকে বেচারাম একটা গাধা, কাপড় ধোয়ার মুগুর ও কাঠ, কাপড় গিলে করার জিনিসপত্র, তিনটা ছোটছোট ভাই, একটা বিধবা বোন, একটা বিধবা মা এবং একটা মাত্র নড়বড়ে ছাউনি দেয়া ঘড় পেয়েছিল। পিতা ঠাকুরের রেখে যাওয়া গাধাটাকে বেচারাম আদর করে বলাই চিন্তি নামে ডাকতো। এই নামটা তার কাকার দেয়া।


স্বর্গীয় আত্মারামের পুত্র বেচারামের গাধা বলাই চিন্তি

পিতা ঠাকুর ইহধাম থেকে প্রস্থানের কিছুদিন পরে বেচারাম যে ঘাটে কাপড় ধুইতো সেইঘাটটা কন্ট্রাকটারদের দখলে চলে গেল। কন্ট্রাকটাররা নাকি এই ঘাট সরকার বাহাদুরের কাছ থেকে বিল্ডিং বানানোর জন্যে বন্দোবস্থ নিয়েছিল। তো দখল নিয়েই কন্ট্রাকটারের পো'রা ঘাটের চারদিকে বেড়া দিয়ে মাটি ভরাট করে ঘাট বুজিয়ে বিল্ডিং এর কাজ শুরু করে দিলো। এ দিকে বেচারাম বেচারা পড়লো বড়োই ফাপরে - এখন সে কোথায় কাপড় ধোবে? আশে-পাশেতো আর কোন ঘাটও নাই, যে দু'চাইরটা পুকুর আছে সেখানেও মাছ চাষ হয়, কাপড় কাচা নিষেধ।এমনিতেই বেচারামের দিনকাল খারাপ যাচ্ছিল, সে আর আগের মতোন কাপড় পাচ্ছিল না, কাচার জন্যে। যেদিন থেকে ভদ্রলোকের ছেলেরা লন্ড্রি খুলে বসেছে সেদিন থেকেই তার গ্রাহকের আকাল দেখা দিয়েছিল। চক্ষু লজ্জার খাতিরে যেসব পুরাতন গ্রাহক কাপড় কাচতে দিতো, গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেচারাম চেয়েচিন্তে কয়টা কাপড় জোগার করতো ধোয়ার জন্যে, ঘাট দখল হবার পর থেকে সে তাদেরো হারালো।


এর ভেতরে আবার সেই ঘটনাটা আস্তে আস্তে ঘটতে আছিল, যার জন্যে বেচারাম বলাই চিন্তি কে নিয়ে চিন্তায় পরলো, যেই ঘটনাটা বলার জন্যে এই গল্পটা বলা।


(বাকিটুকু পরের বসায় ভেবে চিন্তে লিখবো, এখন আর লিখতে পারছি না, বলাই চিন্তি কেন্দ্রিক কোন ঘটনাটা ঘটানো যায় মাথায় আসছে না )

 

 

পাঠ প্রতিক্রিয়া

 

সম্পর্কের সুতোগুলো আজকাল সুইয়ের ছিদ্র খুঁজে পাচ্ছে না
বাধনের গ্রন্থিগুলো আলগা হয়ে যাচ্ছে, ভেসে যাচ্ছে হাওয়ায় হাওয়ায়
মায়া ও মমতারা , তবুও বেঁচে থাকা যাচ্ছে


সোনা-রূপা ছড়ানো বাতাস ইদানিং বেলুনে বন্দি; হাওয়ারা ভাসছে...


০২


মাথাভাঙ্গা নদী ভেঙ্গে একদা বয়ে গেছে নুহের নৌকা, এখন সেখানে বালুর চর পরে আছে
বিবাগী পুরুষেরা যেমন মাঝে মাঝে ঘরে ফিরে আসে স্মুতিতে কাতর হয়ে, খুঁজে ফেরে জলের দাগ, প্রেম ও প্রেমিকার মুখ।মাথাভাঙ্গা নদী ভেঙ্গে এইভাবে এখনো মাঝে মাঝে জলেরা আসে জোয়ারের মতো, সংসার খোঁজে, নাব্যতা না পেয়ে ফিরে যায়। বিবাগী পুরুষেরা সংসারী হয়না সুখ না পেয়ে আবার ফিরে ফিরে যায় জলের নৌকায় জল ঠেলে ঠেলে - বাহিরে।দুরে গেলে প্রেম বাড়ে বলে বিবাগী পুরুষ বারবার দুরে চলে যায় প্রেমের সন্ধানে সংসার ও পরিবার পেছনে ফেলে




নোট ঃ উপরের লেখা দু'টি আমার প্রিয় দুই ব্লগারের পোষ্ট পড়ে কমেন্ট হিসেবে লিখেছিলাম। পরে ভালো লেগে গেল বলে অন্যদের সাথেও শেয়ার করলাম।

পোষ্টের হিট সংখ্যা বাড়ানোর একখান জবরদস্ত বুদ্ধি


যারা পোষ্টে হিট সংখ্যা বাড়াইতে সদা সর্বদা ব্যাকুল থাকেন, কিন্তু কোন এক আজিব বাধার কারণে (হইতে পারে পাবলিকে খায় না) হইয়া ওঠে না, তাদের জন্যে একটা অব্যার্থ ফর্মুলা (যে সব জ্ঞানী আগে থেইকা জানেন, তারা দয়া কইরা অফ যান, এই পোষ্ট আপনাদিগের জন্যে না)-


যে পোষ্টে হিট সংখ্যা বাড়াইতে চান সেই পোষ্টে ঢোকেন, তারপরে ব্রাউজারের রিফ্রেস বাটন ক্লিক করে  রিফ্রেস করেন:D দেখেন একখানা হিট বাড়ছে:D


এখন যতবার খুশি এই প্রক্রিয়া চালাইতে থাকেন, প্রতিবার একটা করে হিট আপনার পরিসংখ্যানে যোগ হয়ে যাবে/#)


তো আর দেরি কেন? যারা হিট হইতে চান, মাইনষের পোষ্ট পড়া বাদ দিয়া হিট করতে থাকেন, নিজের পোষ্টে:P

ফেসবুক স্ট্যাটাস

একটা লাল পাখী কি যেন বলে যাচ্ছে নীল মানুষটিকে কানে কানে
যে ছিল তুষারে তৈরী - বরফের ভাই, যার কানে হেডফোন ছিল
যে শুনতে পায়না - আয়নার আর্তনাদ....

টোলের টেক্সট

ডানদিকে সমুদ্র আর বামে পাহাড়উপরে মহাশুন্য আর পায়ের নিচে কংক্রিট
কোনপথ নিরাপদ ভয়শুন্য


কোনপথ নিরাপদ পানিশুন্য
কোন উতরাই অনায়াস
কোন উড্ডিন বাস্তব অযান্ত্রিকে
নিচে মাটি হলে তবু ভেদ করা যেতো
এতো কংক্রিট- দুর্ভ্যেদ্য


তবে কোনপথ নিরাপদ গমনের...











ঘড় পুড়লে ছাই থাকে, কপাল পুড়লে কিচ্ছু থাকে না




কপালের আরেক নাম গোপাল
শুধু ভাগ্যবানদের ভালো হয়
(ভাগ্যবতিদের বাদ দিচ্ছি না, জেন্ডার বিতর্ক এড়াইতে ভাগ্যবান শব্দটাকে উভলিঙ্গ ধরছি)
এই আকালের দিনেও কতোজন কতোকিছু পাচ্ছে
কতোজনের কতোকিছু হচ্ছে
আইনের উর্ধ্বে উঠে
কতোজনের গতি হয়ে যাচ্ছে
স্পিড লিমিটের চেয়ে বেশি স্পিডে না গেলেই বরং
পুলিশে ধরছে
পুলিশকে ডিবি
ডিবি কে এনএসআই
মানুষ এখন ইচ্ছে হলেই
ডান থেকে বামে
বাম থেকে ডানে
যাইতে পারছে
কাম সারতে
(করিৎকর্মারা অবশ্য আগেও পারতো, যেমন ফররুখ-মাহমুদ)
কেউ আর কেচ্ছা-টেচ্ছা'র ধার ধারছে না


যখন আমি কপাল ঠুকছি বিদেশে যাইবো বলে
লাইন ধরছি গাধার মতোন, লাইনে
ও মমিন, দুবাইয়ে কিন্তু আগের মতোন কামাই-রুজি নাই!
তারচে পারলে বেয়াই হও ক্ষমতাবানের, ল্যাংরা-লুলার মতোন!
শেষ বিচারের দিন কামে লাগবো।

কর্ণেল কে কেউ চিঠি লেখে না






নিজেকে বেধে রেখেছি নিজেই - শিকলে।


বেশ লাগছে।


কেউ আমাকে খুঁজছে না।


আমার বাড়িতে কারো পা পড়ছে না।


কেউ কড়া নাড়ছে না অমার দড়জায়।


সকাল-সন্ধ্যা ব্যালকনিতে বসে আকাশ-কুশুম ভাবছি।


কেটে যাচ্ছে একেলা বিরহের বেলা...




আমার মন ভালো নেই



আমি অতীতে যা যা করেছি ভুল করেছি
আমি এখন যা যা করছি ভুল করছি
আমি ভবিষ্যতে যা যা করবো ভুল করবো।






আমার মন ভালো নেই।






রাইটার্স ব্লক চলছে।




কিছু পড়তেও ভালো লাগছে না।




খুব পুড়তে ইচ্ছে করছে জ্বরে।


বকুল ফুলের মালা গাথা মেয়েটি



বকুল ফুলের মালা গাথা মেয়েটিকে দেখতে গিয়েছিলাম
আজকেও ছিল বকুলের দিন; বকুল সময় - গন্ধে মাতাল
আজকেও আকাশে রোদ ছিল, ফুটপাথে রাস্তায়, শরীরে


ওদিকে আমার বউ ভাত নিয়ে বসে ছিল ঘরে
আমার অপেক্ষায় ভাদ্র দুপুরে, বকুলের দিনে, আর্দ্র গরমে।










নীল নির্বাণের নতুন গল্প এবং ফটোগ্রাফি; বোনাস হিসেবে মাহিরের মায়ের ফটোগ্রাফির চেষ্টা এবং বিবিধ প্রসঙ্গ


নীল নির্বাণের তিন নাম্বার গল্প


হঠাৎ করেই মাঝ রাতের পরে, আমি জেগেই ছিলাম, একটা বই পড়তে আছিলাম....আমার এক বছর নয় মাস বয়সের বাবা ঘুমের ভেতর থেকে এক ঝাকি দিয়ে জেগে উঠে, উঠে বসলো। বসেই চোখ খুলে আমার দিকে ঘুরে তার নতুন গল্পটা (এইটারে বোধ হয় গল্প না বলে স্বপ্ন বলা ভালো) শোনালো। ব্লগে তিন নাম্বার বলে নামকরণে তিন শব্দটা ব্যাবহার করলাম....নতুন গল্প সে প্রত্যেক দিনই শোনায় কয়েকটা করে......


স্বপ্নবৃত্তান্ত


বাবা জানো, কয়েকটা সাপ.....আমাকে......দৌড়াচ্ছিল......
আমি এক দৌড় দিয়ে খাটে উঠে পরছি.....
আমাকে ধরতে পারে নাই....




নীল বেশ ভালো ফটোগ্রাফি শিখে গেছে। আমি তার প্রতিভায় মুগ্ধ (সেইটা অবশ্য সব বাপই থাকে)। এখন সে নিজে নিজেই রীতিমতো ক্যামেরার কাভার খুলে ছবি তুলে বেড়াচ্ছে, একটা ছবি তোলার পরে আবার সেই স্ন্যাপটা সবাইকে দেখিয়ে (যদি তার নিজের পছন্দ হয়) তারপরে নিজেই আবার নতুন ছবি তোলার প্রস্তুতি নিয়ে (ভিউ থেকে শটে যাওয়া আরকি) নতুন ছবি তুলছে....প্রথম প্রথম সে ছবি তোলার সময় মোবাইলের মনিটর নিজের চোখের সাথে লাগিয়ে শাটার টিপতো....তাকে সেখাতে গেলে সে ধমক দিতো - তুমি উল্টা-পুল্টা বলতেছো !!!!!!!!!!তারপরে দ্রুতই তার উন্নতি হলো....দেড়-দুই সপ্তাহের মধ্যেই সে ঠিকঠাক ছবি তোলা শিখে ফেললো....রীতিমতো নিজে নিজেই ক্যামেরার কাভার খুলে (তার মোবাইলের ক্যামেরার আবার একটা শাটার-ঢাকনা আছে).......নিচে কিছু স্যাম্পল দিলাম -





ফ্যানের ছবি তোলা নীলের সবচে প্রিয়...সে প্রচুর ফ্যানের ছবি তোলে (সম্ভবত ভবিষ্যতে ফ্যানদের কথা ভেবে)......একটা ছবি তুলে ভিউ থেকে স্ন্যাপে যেতে গিয়ে গড়বড় করে ফেলছে....সেভ হইছে প্যানারোমা স্টাইলে



এইটা মনে হয় টিকটিকির ছবি (?)



নীলের তোলা মায়ের ব্লার-উল্টা ছবি...এক্সপেরিমেন্টাল



উপরের ছবিখান পছন্দ না হওয়ায় নীল তার মাকে একটা গাড়ী হাতে পোজ দিতে বাধ্য করছে - একটা ভালো ছবি তোলার জন্যে মায়ের



এইটা আমারে সবচে বেশি মুগ্ধ করছে - নীলের নিজের তোলা নিজের সেলফ পোট্রেট




ছেলের ছবি তোলার প্রতিভা দেখে এবং সেইটা নিয়ে আমার মাতামাতি দেখে (নিজের প্রিয় মোবাইলটা তাকে দিয়ে আমি এখন একটা পুরাতন ফোন ব্যাবহার করছি, যেইটাতে ক্যামেরাই নাই) ছেলের মায়ের খুব হিংসে হয়েছে....সেও নেমে পরেছে দেখলাম ফটোগ্রাফির চেষ্টায় (বোধ হয় ভেবেছে ভালো ছবি তোলা দেখলে তাকেও একটা ভালো ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল কিনে দেব).....ছেলের মোবাইল মাঝে-মধ্যে সেও দেখতে পাচ্ছি ধার নিয়ে ব্যবহার করছে ছবি তুলতে....










ধান বানতে শীবের গীত - একটা অপচেষ্টাশীবের গীত


দাদু সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি সন্ন্যাসী হবেন, সংসার ত্যাগ করে তীর্থে তীর্থে ঘুরে জীবনের বাকিটা কাটিয়ে দেবেন। তো প্রথম সপ্তাহে দাদুর লোটা কেনা হলো, পরের সপ্তাহে তার কম্বল কেনা হলো, তার পরের সপ্তাহে তার লাঠি কেনা হলো....এভাবে তার সন্ন্যাসী হয়ে সংসার ত্যাগের প্রত্রিয়াটা মাসাধিক কাল ধরে চলতে আছিল। তো একদিন নাতী দাদুর জ্ঞান-কান্ড (নাকি কান্ডের জ্ঞান) দেখে ক্ষেপে উঠলো। দাদুর সাথে তর্কে মেতে উঠলো এভাবে কি সন্ন্যাসী হওয়া যায় নাকি বিষয়ে। দাদুও নাতীর বেয়াদপিতে রেগেমেগে বললে - জীবনের তিনকালের এই শেষ কালে এসে কি আমাকে তোর কাছ থেকে শিখতে হবে নাকি কিভাবে সন্ন্যাসী হতে হয়?
চিৎকার-চেচামেচি করে দাদু-নাতি ততোক্ষণে বাড়ির সবাই কে জড়ো করে ফেলেছে। এ রকম একটা উত্তেজনাকর মুহূর্তে নাতী একটানে পড়নের ধুতি-জামা খুলে ফেলে দিলো। তার বদলে একটা গামছা কোমরে পেচিয়ে পরে বউ কে পেন্নাম করে বলল - মা (!) আমি চললুম, আজ থেকে আমি সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাসব্রত নিলুম.......বলে সত্যি সত্যিই সে হাটা দিলো, সংসার ছেড়ে, সন্ন্যাসী হতে।****








ঢেকি পার দেওয়া পর্ব বা বারা-বানা পর্ব (বানানটা বাড়া-বানাও হইতে পারে, আমার সন্দেহ আছে )


মানুষ যখন খুব সন্দেহবাতিকগ্রস্থ হয়ে ওঠে তখন সে কিভাবে চিন্তা-ভাবনা করে? সন্দেহ বিষয়টা মানুষের জিনের সাথে প্রবাহিত হয়ে আসে বলে এর কোন প্রতিকার নাই। মনে হয় সব প্রাণীর ক্ষেত্রেই এইটা কম-বেশি প্রযোজ্য। মনে সন্দেহ নেই - এই রকম প্রাণী সম্ভবত দুনিয়াতে নেই। মানুষ মানুষ কে সন্দেহ করবে, মানুষ বাড়ির বেড়াল কে সন্দেহ করবে, বাড়ির ঘুলঘুলিতে বাসা বাধা চড়াই-দম্পতি মানুষ এবং বেড়াল কে সন্দেহ করবে, ছেলে বাপ কে সন্দেহ করবে, বাপ মেয়ে কে সন্দেহ করবে, বউ স্বামী কে সন্দেহ করবে, গৃহস্বামী গৃহের আশ্রিতদের সন্দেহ করবে......এই রকম বিবিধ বিষয়ে সন্দেহ সন্দেহ খেলা চলতেই থাকবে জীবন ভর। মৃত্যুকালেও মুক্তি মেলা ভার ! অনেকের নাকি শুনেছি এরকম সময়েই বেশি বেশি ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ আসে, ধর্মেও। যেহেতু শোনা কথা, প্রতক্ষ্য অভিজ্ঞতাটা হয় নাই তাই জোর দিয়ে বলছি না। এরকম একে অপরকে সন্দেহ করাটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক। বরং কেউ যদি নিজেকে সকল বিষয়ে সন্দেহমুক্ত ভাবে (ভাবলেও ক্ষতি নাই, তবে অনেকে এই বিষয়ে রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে বসে) তাইলেই বিপদ। তারে নিয়ে আর সকলের মনে সন্দেহ জাগে। তো আমি এই রকম সুস্থ্য-সুন্দর সন্দেহের কথা বলছি না, সন্দেহ করাটা যখন একটা মানুষের বাতিকে পরিণত হয়, দুনিয়ার সবাইকে সে প্রতিপক্ষভাবে, সন্দেহ করে, কাছেপিঠে কেউ না থাকলে নিজেকে নিয়েই সন্দেহ করতে শুরু করে - তখন মানুষের চিন্তার গতি পথটা অনুশরণ করতে পারলে বেশ লাগে। সে কিভাবে চিন্তা ভাবনা করছে তা ধরতে পারলে আমি নিশ্চিত আপনে মজা নয় ভয় পাবেন।


পবিত্র মঙ্গলবার হযরত সকাল থেকেই এই অমূলক বিষয়টা নিয়ে ভাবতে আছে। ভাবলেও সমস্যা ছিল না, সে তার বিখ্যাত পদ্ধতিগত পন্থায় বিষয়টা নিয়ে এর মধ্যেই একটা অবজার্ভেশানের আয়োজন করে ফেলেছে। কাছের মানুষদের চিন্তার তাপটা, রাস্তাটা সহজেই অনেকখানি বোঝা যায় বলে সে তার কাছের মানুষদের নিয়েই এই সন্দেহবাতিকতা পর্যবেক্ষণটা শুরু করে দিয়েছে।


তার প্রথম শিকার হিসাবে নিজের বউ কে সে বেছে নিয়েছে। ২ নং মা, ৩ নং বাপ, ৪ নং ছোট ভাই। ছেলেকে সে তার প্রকল্প থেকে দয়া করে বাদ রেখেছে (যদিও সবকিছু কি চাইলেই যায়/হয়, যেমনটা চাওয়া হয়)। যেহেতু বউয়ের মনের অন্দি-সন্দি এই ক'বছরে তার বেশ আয়ত্তে এসে গেছে বলে তার মনে হয়েছে বলেই বউ কে সে তার পরীক্ষা ও নিরীক্ষার এক নং গিনিপিগ নির্বাচিত করেছে। বিষয়টা তুলনা মূলক নিরাপদ বলেও এইটা হইতে পারে - আমি নিশ্চিত নই, সন্দেহ আছে, এ বিষয়ে। যাই হোক এই সন্দেহবাতিক গবেষণা যদি খালি অবজার্ভেশানে বা পরীক্ষাতে সীমাবদ্ধ থাকতো তাইলে মনে হয় কোন সমস্যা হইতো না। কিন্তু এর সাথে যখন হযরত নীরিক্ষাকেও পেচিয়ে ফেলেছে তখন থেকেই প্যাচটা লাগতে শুরু করেছে।


নীরিক্ষার অংশ হিসেবে বুধবারে হযরত বাড়ির সবগুলান তালা বদলে ফেললো। মা-বউ বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন করলে সে আবজাব বলে পাশ কাটিয়ে গেল। তার উত্তরে বিষয়টা তার মা-বউয়ের কাছে পরিষ্কার না হয়ে আরো জটিল হলো। এভাবে হযরত তাদের মনে সন্দেহবাতিক পর্যবেক্ষণ প্রকল্পে'র প্রথম সন্দেহটা ঢোকালো।


এর পরের দিন সে হঠাৎ করেই অনেক দিন পরে লোকজন লাগিয়ে চিলেকোঠার ঘরটা পরিষ্কার করায়ে নতুন রং করালো। পবিত্র শুত্রবারে বাড়িতে একটা স্টিলের ভল্ট (ব্যাংকে,সোনার দোকানে যে রকম থাকে) নিয়ে কয়েকজন হাজির হলে হযরত তাদের নির্দেশনা দিয়ে চিলেকোঠার ঘরে ভল্টটাকে বসালো। শুক্রবার বলে সবাই (বাপ-মা-বউ-বাচ্চা-ছোট ভাই) বাড়িতেই ছিল। বাড়িতে হঠাৎ এই রকম লোহার ভল্টের কি দরকার পরলো দেখতে সবাই ছাদে হাজির হলো। সকলে দেখলো এই ভল্টটাও রীতিমতো একটা দর্শর্নীয় মাল। চাবি দিয়ে খোলার পরেও সেখানে ডিজিট ঘুরিয়ে পাসওয়ার্ড লক করতে হয়। তো সবাই যতোক্ষণে ছাদে আসলো ততক্ষণে হযরত চিলেকোঠার ঘরে নতুন আমদানী ভল্টটা স্থাপন শেষ করে বের হয়ে আসছিল।
সবাই কে একবার ভল্টটা নেড়েচেড়ে দেখার সুযোগ দিয়ে সে সবাইকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে নতুন কেনা একটা তালা সেই ঘড়ে লাগিয়ে সবাইকে অনুরোধ করলো ছাদে এই ভল্ট নিয়ে তারা যেন বাইরে কাউকে কিছু না বলে এবং আপাতত কয়েকদিন যেন চিলেকোঠার ঘড়ে কেউ না আসে। সবার একগাদা প্রশ্নের জবাবে হযরত হাতজোড় করে অনুরোধ করলো তোমরা এই বিষয়ে এখন আর আমারে কোন প্রশ্ন করো না, সব কিছু এখন আমি ঠিক বুঝিয়ে বলতে পারবো না, সময় নাই। আজকেই আমাকে এক্ষুণি বাগেরহাটে ছুটতে হবে একটা অফিসের কাজে।
বাড়ির সবাই মোটামুটি হযরতের শুক্রবারে বাগেরহাট যাওয়ার বিষয়টা জানতো বলে তাকে আপাতত ক্ষমা করে দিলো। চিলে কোঠার ঘরে নতুন কেনা তালা লাগিয়ে ছাদে নতুন কেনা তালা লাগিয়ে সবাইকে নিয়ে নিচে নেমে তরিঘড়ি করে বড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। যাওয়ার আগে সমুদয় তালার চাবি নাম্বার দিয়ে ঠিকঠাকমতো এক সেট মাকে এক সেট বউ কে বুঝিয়ে দিয়ে গেল। তবে ভল্টের চাবিটা (দেখতে মোটেও চাবির মতোন না) শুধু বউকে দিয়ে বললো - এইটা খুব সাবধানে রাখবা আর খবরদার এইটা দিয়ে আবার যেন ভল্টটা খুলতে যেও না। এই চাবি ঢুকিয়ে ঠিকঠাকমতো পাসওয়ার্ড না দিলে কিন্তুক ভল্টের তালা জন্মের লক হয়ে যাবে আবার খোলা একটা বিরাট ঝামেলার ব্যাপার হবে। আর ভুল পাসওয়ার্ড দিয়ে খুলতে গেলে মহা গ্যাঞ্জাম বেধে যাবে। এখন এতো বুঝিয়ে বলার সময় নাই। তুমি পারলে আমি না আসা পর্যন্ত ভল্ট-টল্টতো দুরের কথা চিলেকোঠাও খুলতেই যেও না। বলে সে ভল্টখানার চাবি হতে নিয়ে ছাদে গিয়ে চিলেকোঠায় একা কিছু সময় কাটিয়ে ৭ দিনের ট্যুরে বাগের হাটে চলে গেল।


(প্রথম অধ্যায় শেষ)




এতোক্ষণ যা ভানলাম


এতোক্ষণ যা করলাম সেইটার নাম বাল ছেড়া(অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করায় পাঠক ক্ষমা করবেন)। আমি আসলে বুঝতে চাইতেছি প্রফেশনাল লেখকরা কিভাবে লেখে - অর্ডার নিয়ে মাল সাপ্লাই দেয়। তো এইবারের মতোন কয়েকবার বুঝতে গিয়ে আসলে আমি নাজেহাল। শালার এইটা একটা কাম নাকি? মাটি কাটা/রিক্সা চালানোওতো এরচে সহজ। এইভাবে পৃষ্ঠার পরে পৃষ্ঠা গল্প বানিয়ে লিখে যাওয়া, আবার সেইটারে কাটাছেড়া করা, পছন্দ না হইলে রীতিমতো ৫/১০ পৃষ্ঠা ডিলিট মারা (যেহেতু হার্ডড্রাইভ ছেড়ার ব্যাবস্থা নাই, থাকলে মন্দ হতো না....ছেড়ার মজাটা (কাজটা) আসলে ডিলিট মেরে পাওয়া যায় না), আবার লেখা...কন্টিনিউয়েশান ঠিকঠাক রাখা....একটা লেখার গোয়ায় টানা ৫/৭/১০ দিন একমাস/একবছর/একযুগ সময় দেয়া - এইটাও কি সম্ভব? ক্যামনে?


এরচে আমার কবিতাই ভালো - নাজিল হলে নামায়ে ফেলি ঝামেলা নাই....নাজিল না হলেও অর্ডার থাকলে বা ইচ্ছে হলেই বানিয়ে ফেলি (মুক্তি মন্ডল স্টাইলে - মুক্তি'দা সরি ডোন্ট মাইন্ড, ব্লগে আপনে ছাড়া কবিতা নির্মাণের যোগ্য লোক পাই না), শব্দের পরে শব্দ....মাত্র কয়েক লাইন বড়োজোড় কয়েক পৃষ্ঠা.....কি চমৎকার!!! মাঝেমধ্যে অবশ্য দু'য়েকটা কবিতা যে ঝামেলা করে না তা বলছি না, নাজেলের সময় রিসিভার বা ওয়েদার বা সার্ভার সমস্যা করলে দু'য়েকটা শব্দ মিসিং হয়ে গেলে সেইটা আর মেলানো/বানানো যায় না, একটা গোঁজ-টোজ দিয়ে হয়ত কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়, কিন্তু যতোক্ষণ/যতোদিন আবার সেই কবিতাটার সেই শব্দটাই সার্ভারে সার্চ দিয়ে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না, ততো দিনে মুক্তি নাই.....সেই কবিতাটা/লাইনটা/শব্দটা থেকে....এরকম নাকি কবিরা ভোগে (শোনা/দেখা কথা) মাঝে মধ্যে....কিন্তুক সেইখানেও এতো ঝামেলা নাই......ভুল বললাম কষ্টটা নাই.....আর কবিতা লিখে পেট চলে না বলে লেখা না হলেও দিনের পরে দিন না লিখেও পার করে দেওয়া যায় দিব্যি হাতি ঘোড়া মেরে.....কিন্তু যারা প্রফেশনাল রাইটার তারা কিভাবে কাজ করে কয়েকবারের মতো আবার একবার বোঝার চেষ্টা করে ভয় পাচ্ছি..........এইভাবে কি আসলে হয়? হয়তো মনে হয়....অনেকেইতো করেছে, অনেকেই করছে......অনেকেই করবে সামনেও.....


আবার বিগের (ব্যারা) উঠলে এই গল্পের প্লটটা নিয়ে বা অন্য কোন গল্পের প্লট নিয়ে চেষ্টা করে দেখবো....কিভাবে হয়....হয়ে ওঠে....বড়গল্প.....




অফটপিক ঃ এ্যবসার্ড টাইপের একটা প্লট নিয়ে উপরের মতোন একটা গল্পের সূত্র (প্যানডোরার বাকসো টাইপ) আমারে অনেক বছর জালাচ্ছে.....আমার অনেক না লেখা গল্পের মতো....তবে এইটা সবচে বেশি জ্বালায়.....এই জ্বালায়তো আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থের নামটাই প্যানডোরারার বকসো রাখছিলাম!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!


****শুরুর গল্পটা বোদহয় শিবরামে পড়ছিলাম, শিওর না শিবরাম নাকি সঞ্জিব.....স্মৃতি থেকে নিজের মতোন বানায়ে দিলাম........পোষ্টটা কিন্তু আসলে শীবের গীত পর্বেই শেষ হয়ে গেছে!!!!!!!!!!!!!!!!তারপর থেকে মাটি কাটছি, সারাদিন কাইটা দেখি আরো অন্তত ১০/১৫ দিন লাগবো (তাও যদি মুড ভালো থাকে);)

সামহোয়্যারইনব্লগে বোবাবৃক্ষের ব্লগ

সাপের বংশ

০৯ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৫

শেয়ার করুনঃ
00
আমার চোখের ভেতরে বসত করছে সাপের বংশ
টের পাচ্ছি, যেদিন থেকে দেখতে পাচ্ছি
সাগর এবং অরণ্যগুলো জামা পরেনা।


একটি নারীবাদী গল্পের সূত্রমুখ

৩০ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:১৩

শেয়ার করুনঃ
00


আমার নাড়ী-পাতলা। আরো অনেক কিছুই পাতলা, তবে সেগুলো পাবলিক প্লেসে বলা যাবে না...শুনতে চাইলে ফোন করতে হবে। আমি অবশ্য আজ পর্যন্ত ফোন করে কোন সমস্যার সমাধান পাই নাই...যে বিষয়ে যে বিশেষ-অজ্ঞকেই ফোন করে আমার সমস্যা জানাতে চেয়েছি, সেই সোনা মুখ করে আমার সমস্যার সবটুকু খুটিয়ে খুটিয়ে শুনেছে এবং তারপরে পরমর্শ দিয়েছে নিকটস্থ সাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য। তো আমি আপনাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমি এমনটি কোরবো না।

ছোট বয়স থেকেই আমার নারীর দোষ আছে। সুন্দর নারী দেখলেই আমার ভেতরে কাম-বোধ জাগ্রত হয়। দেবী-প্রতিমার মতোন কাউকে দেখলেই তার পায়ের নীচে বসে তাকে পূজো করতে ইচ্ছে কর। আমার হৃদয় আর্ঘ্য-রূপে তার চরণে সমার্পণ করতে ইচ্ছে করে।

যেহেতু এ সবের কিছুই পারিনা বিধায় আমার ভেতরের অসুখটা দিন দিন বেড়ে উঠছে...

প্রিয় বল্গারগণ, এই মূহুর্তে আমার কি করণীয় জানালে বাধিত হবো।

একটি নারীবাদী গল্পের সূত্রমুখ ঃ দ্বীতিয় পর্ব

২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:১২

শেয়ার করুনঃ
00
একটি নারীবাদী গল্পের সূত্রমুখ -একটা লুলপোষ্ট ঃ প্রথম পর্ব



এক অনবদ্য বিকেল বেলায় বৃষ্টির পরে রোদ উঠেছিল।
মেঘলা আকাশ জুড়ে মায়াবী আলোর খেলা চলতে আছিল।
কবি আকাশে খেলে বেরানো এই রকম আলোকে কনে দেখা আলো বলেন।
এরকম আলোতে নাকি কুমারী কন্যাদের আরো বেশি সুন্দর দেখা যায়।
তবে আমার এক লুল বন্ধু এ বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন- সুন্দর লাগা-টাগা কিছু নয়- এরকম বৃষ্টি-বাদলের দিনে বিবাহযোগ্য অবিবাহিত কুমারদের ভেতরে কামবোধ প্রবল হয়।
যে কারণে তাদের চোখে এরকম দিনে যে কোন কন্যাকেই কাম্য মনে হয়।

আমি সেদিনের সেই অনবদ্য বিকেলে আমার সেই লুল বন্ধুর হাইপো-থিসিস এর সাথে প্রথমবারের মতোন একমত হয়েছিলাম। বাড়ির বারান্দায় বসে বসে ভাবতে আছিলাম -

আহা ! আমার যদি কেউ থাকতো, একান্ত আপন- গৃহলক্ষী বধু নয় সখি-টাইপ, এরকম মন কেমন করা শীত শীত বিকেল বেলা দেহ-মনে ওম জাগানিয়া আলো জ্বলতো !!!

(চলবে)

নোট ঃ বোনেরা এবং বোনেদের স্বার্থ পাহারাদার ভাইয়েরা, দয়া করে এখনই কোন চুরান্ত/নেগেটিভ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। এই লেখাটা কিন্তু প্রস্তাবনা অনুশারে শেষ পর্যন্ত একটা নারীবাদী গল্প হয়ে উঠতেও পারে।





একটি বিচারের রায়

৩০ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৮

শেয়ার করুনঃ
10
undefined

আমরা একটা বন্ধ্যা সময় পারি দিচ্ছিলাম সময়ের গাড়িতে চেপে
একটা হত্যা মামলার প্রলম্বিত বিচারের রায় এই বন্ধ্যা সময়ে একটা ফুল ফোটালো...সাকারা বলছে এই ফুল ধুতরার ফুল

কর্ণেলরা কিছুই বলছে না...
জেনারেলের তল্পিবাহকেরা বলছে সব দোষ ছিলো জেনারেলদের
তারা মিলাদ পরেনি শুধু ছিন্নি খেয়েছে...তাও অন্যেরা আগ্রহ ভরে খেয়েছিল বলে বাধ্য হয়েই...


ইছলামী ছাত্র শিবিরের সপক্ষে ব্লগিং। সাথে শিবের গীত বোনাস

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৩৯

শেয়ার করুনঃ
0

এর আগে আমি জামায়াত শিবিরের সপক্ষে ব্লগিং নামে একটা পোষ্ট লিখছিলাম।আশা করেছিলাম পরে এ প্রসঙ্গে আরো লিখবো। তবে সময় এবং পরিস্থিতির অভাবে লেখা হয়নি। গতকাল ইসলামী ছাত্র শিবিরের সম্মেলন উপলক্ষ্যে সামহোয়্যারইনব্লগে তাদের যে ক্যাম্পেইন হলো তার প্রেক্ষিতে কিছু কথা না বলেই পারছি না। তার আগে অনুরোধ- পাঠক পুরা লেখা না পরে দয়া করে +/- দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

গতকাল ব্লগে ঢুকতেই (সাইন ইন না করে, ইদানিং আমি আর লগইন করি না) দেখি এক অভুতপূর্ব ডিজিটাল ক্যাম্পেইন এর আয়োজন। বাংলাদেশ ইছলামী ছাত্র শিবিরের কয়েকজন কর্মী (যারা আবার সামহোয়্যারের মহামান্য সদস্য) একাগ্রচিত্তে বসে প্রতিটি লেখার কমেন্টেস এর ঘরে একটা অতি সুন্দর নুরানী চেহারার দাওয়াত পত্র সেটে দিচ্ছে - শিবিরের সম্মেলন লাইভ দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে। আরেকদল এর পক্ষে বিপক্ষে ব্লগের পরে ব্লগ ছেড়ে বিষয়টিকে আরো উত্তপ্ত এবং জীবন্ত (লাইভ) করে রেখেছে। দেখে মজাই লাগলো। আমি আরো একবার নিশ্চিত হলাম এই মুহুর্তে বাংলাদেশে জামাত-শিবির একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা রাজনীতি-সংগঠন-প্রচার মাধ্যম ব্যাবহার সহ সব ক্ষেত্রেই অত্যান্ত কার্যকর এবং সায়েন্টিফিক পদ্ধতি ব্যাবহার করছে। আর যারা জামাত-শিবিরের রাজনীতি কে ঘৃণা করে তার না বুঝেই জামাত-শিবিরের ফাদে পা দিয়ে তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে সহায়তা করছে। যেমন গতকাল যারা শিবিরের সম্মেলন লাইভ দেখার দাওয়াত দিচ্ছিল (জানি না সামহোয়্যারের নীতিমালা এইটা সম্পর্কে কি বলে) তাদের প্রতিহত করতে গিয়ে কেউ কেউ প্রকারন্তে শিবিরের দাওয়াতপত্রখানাই বিলি করেছে।

ধান বানতে শিবের গীত ঃ

গতকালকের শিবিরের ক্যাম্পেইন এবং শিবির বিরোধী হেট ক্যাম্পেইন অনুসরণ করতে গিয়ে আরো একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম -

কেউ কেউ ক্ষিপ্ত হয়ে শিবির কে গালাগালি করতে গিয়ে ব্যান পর্যন্ত খেয়েছে। এ প্রসঙ্গে একজন ব্লগার ব্যান খাওয়ার পরে তার কাছে আসা নোটিশটি পোষ্ট আকারে দিয়েছে। নিচে নেটিশটি দেখুন ঃ

৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:২১ আপনাকে ফ্রন্টপেইজ ব্যান করা হয়েছে
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:২০ dear blogger,

your post (আমার ব্লগে রাজাকারের বাচ্চা ঢুকেছে) have been deleted due to violation of the blog rules. please do not republish this writing again on the blog or we will be forced to ban you from the blog.

2f. we may remove post from the front page that contains hateful content or comment that may hurt feelings of a group of people.

২চ. কোন এক শ্রেণীর অনুভূতিকে আঘাত করে, এমন কোন ঘৃণাত্মক পোস্ট অথবা মন্তব্যপূর্ণ পোস্ট আমরা প্রথম পাতায় থেকে সরিয়ে দিতে পারি ।



regards,
somewherein blog team.

আবার কোন কোন রেসিডেনসিয়াল ব্লগার এরচেয়েও খারাপ ভাষায় জামাত-শিবির কে গালাগালি করেও বহাল তবিয়তে ব্লগে টিকে আছে। যেমন অমি রহমান পিয়াল এর গতকালের পোষ্টটা দেখুন। সে কাউকে গালাগালি করলে সেইটা কোন এক শ্রেণীর অনুভূতিকে আঘাত করে, এমন কোন ঘৃণাত্মক পোস্ট অথবা মন্তব্যপূর্ণ পোস্ট হয়না।

তাহলে কি সামহোয়্যারের নীতিমালা দুই পদের ব্লগারদের জন্যে দুই রকমের -
০১. রেসিডেনশিয়াল ব্লগারদের জন্যে নীতিমাল
০২. সাধারণ ব্লগারদের জন্যে নীতিমালা।

খুব জানতে ইচ্ছে করে?

সমকাম বিষয়ে আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৬

শেয়ার করুনঃ
10

প্রথমেই বলে নেই এই পোষ্টটি অনেকের কাছে আপত্তিকর মনে হতে পারে, যদি সে রকম মনে হয় দোহাই আপনার আপনি আর বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করবেন না... এখানেই থামুন



ইদানিংকার আন্তর্জাতিক মিডিয়া থেকে সমকামীতা বিষয়টি আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে, অথচ এক দশক আগেও আন্তর্জাতিক রাজনীতির অঙ্গনে এই ইস্যুটির কি দারুণ ভূমিকা ছিল - ভাবা যায় ! আমেরিকার নির্বাচনে এ বিষয়টি একটি ভাইটাল ইস্যু ছিল গর্ভপাত বৈধ করণ আইনের সাথে সাথে। পাঠক দুঃখিত, আমি আমেরিকা এবং বিশ্ব কে গুলিয়ে ফেলেছি। কিন্তু কি করবো বলুন, মাঝে মাঝে মনে হয় পুরো বিশ্বের অবস্থান আসলে আমেরিকার ছাতার নিচেই অথবা আন্তর্জাতিক রাজনীতির টানা-পোড়েন বলতে আমেরিকার রাজনীতির টানা-পোড়েন কেই বোঝানো হয়।

তো যা বলছিলাম, যখন আমাদের মিডিয়াতে সেক্স একটা নিষিদ্ধ শব্দ ছিল সেই সময়েও মিডিয়ার বদৌলতে আমরা খুব সহজেই সমকাম শব্দটির সাথে পরিচিতি হয়ে উঠি (আমেরিকার নির্বাচনে ভাইটাল ইস্যু বলে কথা) এবং ব্যাক্তিগতভাবে আমি অন্যদের মতো এইটা উন্নত দেশের নষ্টামি বলে পাশ কাটিয়ে না গিয়ে আমাদের দেশেও এই রকম নষ্টমির ঘটনা ঘটে কিনা সেটি নিয়ে গবেষণায় লিপ্ত হই ( যেহেতু এ বিষয়ে ততোদিনে আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে গিয়েছিল)। এরপরে ফলাফল দেখেতো আমি অবাক ! এও কি সম্ভব ! বাংলাদেশের মতোন একটা উন্নত রুচীর দেশে (?)....

কেস ষ্টাডি - ১

সৈয়দ শামসুল হক অন্যদের মতো সমকামীতার বিষয়টিকে এড়িয়ে না গিয়ে তার বিভিন্ন লেখায় তুলে এনেছেন খুব চমৎকার এবং বিশ্বাসযোগ্যভাবে। তার তুলে দেয়া সূত্র ধরে আমি আমাদের উত্তরঙ্গের উত্তরদিকে যে বিশাল জনগোষ্ঠির বাস, যারা বছরের প্রায় ৬ মাস বিদেশে (অন্যান্য জেলায়) থাকে কাজের প্রয়োজনে, তাদের দিকে মুখ ফেরাই। একটু মনোযোগ দিতেই লক্ষ্য করলাম এই উত্তরের ক্ষ্যাপ খাটা মানুষ, যারা জীবিকার প্রয়োজনে বছরের একটা বড় সময় দল বেধে বিদেশে থাকতে বাধ্য হয়, পাবনা-সিরাজগঞ্জ-ময়মনসিংহ প্রভৃতি জেলায় ধান কাটার কাজে যায়, যাদের ভিতরে ন্যায়-নীতির বোধ আমাদের সাথে (সো-কলড আধুনিক মানুষ) তুলনা করলে অন্য-গ্রহের মুল্যবোধ বলে মনে হয়, তারা শরীরের প্রয়োজনেই সমকামীতায় লিপ্ত হয়। এইটা তাদের মধ্যে একটা স্বাভাবিক প্রবণতা। ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলাম, তারা বিকৃতি থেকে এই ধরণের কামে লিপ্ত হয় - তাদের সম্পর্কে একথাও বলা সম্ভব নয়। কারণ বছরের যে সময়টা তারা বাড়িতে থাকে, সেই সময়ে তারা স্ত্রী-পুত্র-পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে বাস করে এবং স্বাভাবিক যৌন আচারণ করে। শুধুমাত্র যে সময়টা তারা বিদেশে দল বেধে ক্ষ্যাপ খাটতে যায় সেই সময়েই তারা সমকামী হয়ে ওঠে শরীরের প্রয়োজনে আর তাদের এই কামনার স্বীকার হয় দলের তুলনামূলক তরুন সদস্যরা। এইটাকে আপনারা একপ্রকার ধর্ষণও বলতে পারেন। যে কিশোর বা বালক এই ধর্ষনের স্বীকার হয় সে যখন অন্যদের সাথে আলোচনা করে অথবা অন্যদের আচরণ লক্ষ্য করে তখন এক সময় তার কাছে এইটাকে মানুষের স্বাভাবিক আচরণ বলে মনে হয় এবং পরবর্তীতে সেও দলের মধ্যে তারচেয়ে কম বয়ষ্ক এবং কম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কে বেছে নিয়ে তার কামনা চরিতার্থ করে।

বিষয়গুলো লক্ষ্য করে আমি একটা সিদ্ধান্তে পৌছাতে বাধ্য হই, তা হলো- আমাদের এই উন্নত রূচীর জনপদেও সমকাম আছে, তবে তা আমেরিকার মতোন রূপে নয়, অন্য রুপে। এর ফলে আমি উৎসাহিত হয়ে এই বিষয়টির গভীরে প্রবেশ করতে বাধ্য হই।

আপনার যদি মনে হয় এই বিষয়টি নিয়ে আরো লেখার প্রয়োজন আছে, তাহলে আপনার সমর্থন জানান। আমি ধারাবাহিক ভাবে আমার অবর্জারভেশন এখানে (ব্লগে) তুলে ধরতে আগ্রহী।

মাথা গরম হইলে কি কি করা যায়

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:০৪

শেয়ার করুনঃ
30


মাঝে মধ্যে মাথাটা খুব গরম হয়ে ওঠে। মাথার তালুতে হাত দিলে টের পাই মগজটা টগবগ করে ফুটছে। এ সময় ধংসাত্মক কিছু একটা করতে মন চায়, কিন্তু কি করবো বুঝে উঠতে পারি না। হুমায়ুন আহমেদ তার বিভিন্ন লেখায় দুইটা সমাধান এর কথা লিখেছেন, একটা হলো কাচের গ্লাস ভাঙ্গা আর অন্যটা হচ্ছে কাগজ ছেড়া। আমি দুইটাই ট্রাই করে দেখেছি কাজ হয় না। বরং এর ফলে উৎপন্ন পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে রাগ না কমে আরো বেড়ে যায়।

গ্লাস ভাঙ্গার প্রথম সমস্যা এতে বাড়ির ভেতরের অন্যরা ভয় পেয়ে যায় এবং ছুটে এসে জিঞ্জাসা করে কি হয়েছে। কি হয়েছে সেটা সেই সময় সহজ ভাষায় কাউকে বোঝানো সম্ভব হয় না। ফলে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর একটা নতুন প্রশ্নের জন্ম দেয় আর আমার রাগ গাণিতিক হারে বেড়ে ওঠে।

কাগজ ছেড়ার সমস্যাটাও এ রকমই, বরং সাথে একটা তিক্ত অভিজ্ঞতাও যোগ হয়। হাতের কাছে ছেড়ার মতো কাগজ বলতে সব সময় মজুদ থাকে পেপার। আর পেপারের দুই মাথা ধরে টেনে ছিড়তে গেলে শেষ পর্যন্ত একটানে ছেড়া যায় না। দুই হাত যতদুর পর্যন্ত প্রসারিত হয় ততদুর পর্যন্ত ছিড়ে মাঝের অংশ চোখের সামনে দাত বের করে হাসে। আপনার বিশ্বাস না হলে একটা পেপার ভাজ খুলে আড়াআড়ি টান দিয়ে ছেড়ার চেষ্টা করে দেখুন। এর ফলে রাগ না কমে বরং পেপার ছিড়তে না পারার ফলে নিজেকে ভোদাই ভোদাই মনে হবে এবং রাগ আরো বেড়ে যাবে।

এই দু'টো ছাড়াও রাগ কমানোর জন্য উল্টো করে একশো পর্যন্ত গোনা, মাথায় পানি দেয়া, বসে থাকলে শুয়ে পড়া প্রভৃতিও ট্রাই করে দেখেছি। কার্যকর মনে হয়নি।

একারণে আমি খুব বিপদে আছি, রাগ মাথায় উঠে গেলে মাথা ঠান্ডা করার একটা সন্তোষজনক এবং যৌক্তিক সমাধান খুজছি, পাচ্ছি না।

বাংলাদেশ লিমিটেড

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৭

শেয়ার করুনঃ
10


আমি যখন সৈয়দ শামসুল হকের মেঘ ও মেশিন বইটি পড়ি, তখন আমার বয়স বড়জোর ১৪/১৫ বছর। মেঘ ও মেশিন পড়ার আগেই তার বৃষ্টি এবং বিদ্রোহীগণ পড়া ছিল। যে কারণে মেঘ ও মেশিন পড়ার সময় একটা মুগ্ধতাবোধ কাজ করেছিল, যে কারণে ঐ বয়সেও বইটির মূল বক্তব্য মাথায় গেথে গিয়েছিল। আজ ১৪/১৫ বছর পরেও বইটির বক্তব্য আমার মাথায় ঠিক ঠিক ধরা দেয়। এর পরে আসিমভের ফাউন্ডেশান পড়লাম অনেক পরিণত বয়সে। পড়ার পরে বুঝলাম ওস্তাদ কই থেকে মূলভাব হায়ার করেছে। তারপরেও প্রচেষ্টা টা আমার এখোনো অসাধারণ মনে হয় শুধু একটা ধারণার কারণে, সেটি হলো - বাংলাদেশ লিমিটেড। যেখানে বাংলাদেশ একটা লিমিটেড কোম্পানী আর এর পরিচালনা পর্ষদ বহুজাতিকের মতোন নিয়োগপ্রাপ্ত (নির্বাচিত নয়)। বর্তমানে বাংলাদেশের ভবিষ্যত গতিপথ দেখে আমার মনে হচ্ছে সেই দিন মনে হয় খুব একটা দুরে নাই, যেদিন বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডে রুপান্তরিত হবে। অপেক্ষায় রইলাম...

কুম্ভ রাশির চলতি সপ্তাহ

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৭

শেয়ার করুনঃ
10
undefined


কুম্ভ রাশির জাতকগণ (জাতিকাদের এক নামেই ডাকছি, নইলে বিপদ হতে পারে) চলতি সপ্তাহে অন্যের কোন সমস্যা সমাধান করে দিয়ে যশ লাভ করবে। কিন্তু তাহার নিজের সমূহ ক্ষতির সম্ভবনাও বিদ্যমান থাকবে। এখন দেখার বিষয় কুম্ভ জাতকেরা কিরূপে এই অবস্থা সামাল দেন।








ব্লগারদের গোষ্ঠি-উদ্ধার ঃ প্রথম পর্ব

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১৮

শেয়ার করুনঃ
00


যদি কেউ প্রশ্ন করেন আপনি কেন ব্লগে আসেন, আমি উত্তর দেব সময় কাটাবার উদ্দেশ্যে। আরো একটা বিষয় অবশ্য ব্লগ লেখার পেছনে কাজ করে তা হলো নিজেকে অন্যের সামনে জাহির করা। অন্যভাবে বলতে গেলে তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সাথে সাথে এগিয়ে যাওয়া মানুষদের সামনে নিজের কীর্তি প্রকাশ করা। নিজেকে উপস্থাপন করা। নিজেকে জাহির করার এই বিষয়টাকে আমি খারাপভাবে দেখি না। নিজেকে জাহির করার অধিকার সব মানুষেরই আছে। যারা নিজের কাজ নিয়ে আত্ন-বিশ্বাসী তারা জাহির করতেই পারে- এতে কোন দোষ হয় না। তবে কোন কিছু না করে, একটা ব্লগ ঠিকমতো না পড়েই কেউ যখন শুধুমাত্র নিজের চেহারা দেখানোর জন্যে কমেন্টস করেন, তখন বিরক্ত লাগে। আমি কয়েকজন ব্লগারের সন্ধান পেয়েছি (নাম বলছি না, কারণ তাহলে ব্যাক্তিগতভাবে আক্রমণ হয়ে যাবে) যারা এই গোত্রভুক্ত, শুধুমাত্র নিজেকে জাহির করার উদ্দেশ্যেই অন্যের ব্লগে কমেন্টস করেন। এদের দেখলে আমার ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার কথা মনে হয়।

কেউ কেউ আবার (যারা সিরিয়াস লেখক) খসড়া লেখা সংরক্ষণ করার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ব্লগে লেখেন। ইদানিং সামহোয়্যারে এই পদের ব্লগারের সংখ্যা কমে যাচ্ছে- আপসোস...।

সামহোয়্যারইনব্লগের একটা গোষ্ঠি আমাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছে - এরা অনেকটা আবুল হাসানের বাতলানো পদ্ধতি অনুসরণ করেন-

ঝিনুক নিরবে সহ
ঝিনুক নিরবে সহ
ঝিনুক নিরবে সহে যাও
ভেতরে বিষের বালি
মুখ বুজে মুক্তো ফলাও..
.

এই গোষ্ঠির ব্লগারগণ অত্যান্ত সচেতনভাবে ব্লগের সকল বিতর্ক থেকে নিজেদের দুরে রাখেন। এমনকি বিতর্ক এড়ানোর জন্যেই হয়তোবা সম-সাময়িক ঘটনা সম্পর্কে কোন পোষ্ট লেখেন না, শুধুমাত্র নিজের লেখাটাই মনোযোগ দিয়ে নিয়মিত বিরতিতে লিখে চলেন। এই গোষ্ঠির ব্লগারদের মধ্যে আমি মুক্তি মন্ডল এবং বড় বিলাই কে সনাক্ত করতে পেরেছি। এই দুইজনের পোষ্ট পড়লে আমার কেমন যেন শান্তি শান্তি লাগে।

ব্লগের আরো একটা গোষ্ঠি আছে যারা হুদাই চিল্লাপাল্লা করে, করে দেশ ও জাতি কে উদ্ধার করে...এদের সম্পর্কে, টেকিদের সম্পর্কে, ছাগুদের সম্পর্কে এবং একটিভিস্ট ব্লগারদের সম্পর্কে পরের পোষ্টে আলোচনা করার ইচ্ছা রাখি । আজ আপাতত এইটুকুই থাকলো....

নোট ঃ ব্লগার বিডি আইডল আমার আগের পোষ্টে কমেন্ট করতে গিয়ে সাদা কালো ও ধুসর কে দুই দিনের বৈরাগী বলে অঅখ্যায়িত করেছেন, ব্লগে ফ্লাডিং সম্পর্কে আপনার অবস্থান জানতে চাইছি যেন অনেক দিনের বৈরাগী হবার সুবাদে উনি একাই ভাত কে অন্ন বলার অধিকার পেয়েছেন। আমি তাকে যথাযথ সন্মান প্রদর্শন করেই তার উদ্দেশ্যে বলতে চাইছি -

যার নয়ে হয় না, তার নব্বইয়েও হয় না
আর যার হয় তার ... গজানোর আগেই হয়...


বিডি আইডল,ক্ষমা করবেন, আমি আপনাকে আঘাত দিতে চাইনি...

মূলত বিডি আইডলের কমেন্টসের জবাব লিখতে গিয়েই এই পোষ্টটা লিখে ফেললাম (শেষে-মেশতো আবার দেখছি এক পোষ্টে শেষ করতে পারছি না)। এটা কে সিরিয়াসলি না নেবার জন্যে সকলের কাছে আহবান জানাচ্ছি....


ব্লগে ফ্লাডিং সম্পর্কে আপনার অবস্থান জানতে চাইছি

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:২৭

শেয়ার করুনঃ
00
দেশে যখন কোন গরম খবর থাকে অর্থাত ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা দেশবাসীকে আলোড়িত করে, তখন অন্যদের মতোন ব্লগাররাও আপ্লুত হয়। এতে আমি দোষের কিছু দেখি না। তবে একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন (লক্ষ্য না করলেও অঅপনি দেখতে বাধ্য হবেন) - এই সময়ে সামহোয়্যারইনব্লগে কয়েকটা গোষ্ঠির আবির্ভাব ঘটে। যাদের কাজ - কোন লেখার বিষয় বস্তু তাদের গোষ্ঠির বিপক্ষে গেলে তারা ব্যাপক আকারে ফ্লাডিং শুরু করে। যেহেতু এই গোষ্ঠির অধিকাংশ (প্রায় সব) ব্লগারই সেফ ব্লগার, তাই তাদের পোষ্টের বন্যায় টার্গেট করা লেখাটা ভেসে যেতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না।

এই বিষয়ে আমি অন্যান্য ব্লগারদের অবস্থান জানতে চাইছি (যেহেতু আমি বিষয়টা কম বুঝি)।







সো-কলড ২.০ মেগা পিক্সেলে আমার বাড়ির গলি ও বাথরুম

২১ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৩৪

শেয়ার করুনঃ
00
ফটোগ্রাফি দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।
আমার খুব ইচ্ছে করে ফটোগ্রাফি শিখতে।
আমার একটাও ক্যামেরা (ভাল/খারাপ) নাই।
তাই এস.এল.আর.দেখলেই ইচ্ছে করে... কেরে নেই।
পারিনা.... ছবি তুলতে।


undefined

আমার বাড়ির গলি, কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে

undefined

আমাদের গলি বড় রাস্তায় উঠছে

undefined

আমার বাথরুমের বেসিনে, যেখানে পানির কল নাই

undefined

বাথরুমে রাখা মাসুদ রানা, .... .... পড়ি

undefined

বাথরুমের লাইট, সারাদিন জ্বলে

আমার লেখা সংকলিত পাতায় যাচ্ছেনা। শিবিরের কর্মীগণ রিপোর্ট করায় (আমার ব্লগে রাজাকারের বাচ্চা ঢুকেছে সম্পর্কে) আমাকে জেনারেল করা হয়েছে (সেনাবাহিনীর নয়, সাধারণ অর্থে)। তো এর প্রতিবাদ হিসাবে আমার মোবাইল ফোনের (চীন থেকে আমদানীকৃত) ২.০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরায় তোরা কয়েকটি ছবি পোষ্ট করলাম।


ইছলামী ছাত্র শিবিরের সপক্ষে ব্লগিং। সাথে শিবের গীত বোনাস

২১ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৩৫

শেয়ার করুনঃ
00
এইটা একটা বিশেষ উদ্দেশ্য-প্রণোদিত রি-পোষ্ট


এর আগে আমি জামায়াত শিবিরের সপক্ষে ব্লগিং নামে একটা পোষ্ট লিখছিলাম।আশা করেছিলাম পরে এ প্রসঙ্গে আরো লিখবো। তবে সময় এবং পরিস্থিতির অভাবে লেখা হয়নি। গতকাল ইসলামী ছাত্র শিবিরের সম্মেলন উপলক্ষ্যে সামহোয়্যারইনব্লগে তাদের যে ক্যাম্পেইন হলো তার প্রেক্ষিতে কিছু কথা না বলেই পারছি না। তার আগে অনুরোধ- পাঠক পুরা লেখা না পরে দয়া করে +/- দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

গতকাল ব্লগে ঢুকতেই (সাইন ইন না করে, ইদানিং আমি আর লগইন করি না) দেখি এক অভুতপূর্ব ডিজিটাল ক্যাম্পেইন এর আয়োজন। বাংলাদেশ ইছলামী ছাত্র শিবিরের কয়েকজন কর্মী (যারা আবার সামহোয়্যারের মহামান্য সদস্য) একাগ্রচিত্তে বসে প্রতিটি লেখার কমেন্টেস এর ঘরে একটা অতি সুন্দর নুরানী চেহারার দাওয়াত পত্র সেটে দিচ্ছে - শিবিরের সম্মেলন লাইভ দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে। আরেকদল এর পক্ষে বিপক্ষে ব্লগের পরে ব্লগ ছেড়ে বিষয়টিকে আরো উত্তপ্ত এবং জীবন্ত (লাইভ) করে রেখেছে। দেখে মজাই লাগলো। আমি আরো একবার নিশ্চিত হলাম এই মুহুর্তে বাংলাদেশে জামাত-শিবির একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা রাজনীতি-সংগঠন-প্রচার মাধ্যম ব্যাবহার সহ সব ক্ষেত্রেই অত্যান্ত কার্যকর এবং সায়েন্টিফিক পদ্ধতি ব্যাবহার করছে। আর যারা জামাত-শিবিরের রাজনীতি কে ঘৃণা করে তার না বুঝেই জামাত-শিবিরের ফাদে পা দিয়ে তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে সহায়তা করছে। যেমন গতকাল যারা শিবিরের সম্মেলন লাইভ দেখার দাওয়াত দিচ্ছিল (জানি না সামহোয়্যারের নীতিমালা এইটা সম্পর্কে কি বলে) তাদের প্রতিহত করতে গিয়ে কেউ কেউ প্রকারন্তে শিবিরের দাওয়াতপত্রখানাই বিলি করেছে।

ধান বানতে শিবের গীত ঃ

গতকালকের শিবিরের ক্যাম্পেইন এবং শিবির বিরোধী হেট ক্যাম্পেইন অনুসরণ করতে গিয়ে আরো একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম -

কেউ কেউ ক্ষিপ্ত হয়ে শিবির কে গালাগালি করতে গিয়ে ব্যান পর্যন্ত খেয়েছে। এ প্রসঙ্গে একজন ব্লগার ব্যান খাওয়ার পরে তার কাছে আসা নোটিশটি পোষ্ট আকারে দিয়েছে। নিচে নেটিশটি দেখুন ঃ

৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:২১ আপনাকে ফ্রন্টপেইজ ব্যান করা হয়েছে
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:২০ dear blogger,

your post (আমার ব্লগে রাজাকারের বাচ্চা ঢুকেছে) have been deleted due to violation of the blog rules. please do not republish this writing again on the blog or we will be forced to ban you from the blog.

2f. we may remove post from the front page that contains hateful content or comment that may hurt feelings of a group of people.

২চ. কোন এক শ্রেণীর অনুভূতিকে আঘাত করে, এমন কোন ঘৃণাত্মক পোস্ট অথবা মন্তব্যপূর্ণ পোস্ট আমরা প্রথম পাতায় থেকে সরিয়ে দিতে পারি ।



regards,
somewherein blog team.

আবার কোন কোন রেসিডেনসিয়াল ব্লগার এরচেয়েও খারাপ ভাষায় জামাত-শিবির কে গালাগালি করেও বহাল তবিয়তে ব্লগে টিকে আছে। যেমন অমি রহমান পিয়াল এর গতকালের পোষ্টটা দেখুন। সে কাউকে গালাগালি করলে সেইটা কোন এক শ্রেণীর অনুভূতিকে আঘাত করে, এমন কোন ঘৃণাত্মক পোস্ট অথবা মন্তব্যপূর্ণ পোস্ট হয়না।

তাহলে কি সামহোয়্যারের নীতিমালা দুই পদের ব্লগারদের জন্যে দুই রকমের -
০১. রেসিডেনশিয়াল ব্লগারদের জন্যে নীতিমাল
০২. সাধারণ ব্লগারদের জন্যে নীতিমালা।

খুব জানতে ইচ্ছে করে?


আঁধার নামার আগে

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১৭

শেয়ার করুনঃ
10


বিকেল বেলার মন খারাপ। রোদেরা মরে যাচ্ছে।জেগে উঠছে সন্ধ্যার ঘোর। গোধুলি'র সাথে পরিচয় হয়নি কোনদিন।এতদিন রঙের বিস্তার দেখে চিনে নিয়েছি ভোর। গাড়ীর শব্দে, রিক্সার টুং টাং শব্দে পাখীর ডাকের শব্দগুলো মনে থাকে না। একটা দোয়েল মাঝ রাস্তায় দাড়িয়ে আছে বহু দিন উড়ে যাওয়ার ভঙ্গিমায় - পাথরের। উড়তে পারে না - নগর পিতার অনুমতি ব্যাতিরেক - তার উড়তে মানা। একটা দিনের অন্তে একটা রাত আসছে - ভয় জাগানিয়া। একটা রাতের ভেতরে কিছু আতাতায়ী লুকিয়ে আছে ট্রিগারে আঙ্গুল রেখে। রাতের অন্ধকার ঢেকে রাখবে দুর্বৃত্তে'র লালসা গুলো - আধারে। চেনা মুশকিল। চিনতে পারি না। চিনতে লাগে ভয়।

মন চল বাড়িত ফিরে যাই
মন চল গাড়িত ফিরে যাই
কদমবনে কালার বাশি বাজছে বাজুক
রাধার ঘরে নাগড় আসছে নগড় থেকে
একলা থাকুক আমরা না যাই
আমার বাড়িত শিয়াল ডাকছে বাঘের মতোন
ভয় জাগছে বউটা আমার একলা আছে ঘরে
মন চল বাড়িত ফিরে যাই
মন চল গাড়িত ফিরে যাই
তারাতারি বাড়ির মুখে

ঘোর অন্ধকারে ভয় করে।পেচা ডাকলে কু-ডাকে মনে।পেচার ডাকে লক্ষি নাকি দুরে চলে যায়।
পেচাগুলো লুকিয়ে থাকে অন্ধকারে-শহর জুড়েই। যদিও এ শহরে কোন পাখী থাকে না। মন খারাপের জীবাণুগুলো লুকিয়ে থাকে আধার রাতে। আধার নামছে।

মন চল বাড়িত ফিরে যাই...


কেউ ঠোকর মেরে ভাগে কেউ বরশি ভালোবাসে

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৩১

শেয়ার করুনঃ
10



মাত্র একটা বাক্য দুই শব্দের ; আদেশ -
ঝুলে পড়ো। অনিবার্য কে গেথে দেয় জীবনের সাথে হুক দিয়ে।
মাংসের খন্ড। একটা বিজ্ঞাপন জোস লাগে - টিভিতে
মাদকের !!! আন্তর্জাতিক সংস্থার পয়সায়

ছোট খোকা বড়ো হ বড় হবি না।
একটানে দুইটানে কিছু হবে না।
........................................................................
কেউ ঠোকর মেরে ভাগে কেউ বরশি ভালোবাসে
যে গেলে সে মরে...............................................।


দেখতে দেখতে বেড়ে উঠি কিশোর যুবকে

যুবকের চোখ দেখে ফ্যালে ফুল
ফুলের ভেতরে ছিল নদী
আহ্হা ! নদীটাকে দ্যাখা যেতো যদি

কিশোরের চোখ দেখে ফ্যালে ফুল
ফুলের ভেতরে ছিল নদী
আহ্হা ! নদীটাকে দ্যাখা যেতো যদি


সাদা সাদা মেঘ উড়ে উড়ে যায় হাওয়ার ইচ্ছায়
মাঝে মাঝে ঝড়ে পড়ে বৃষ্টি হয়ে
টাপুর টুপুর নড়ে চড়ে বুকের ভেতরে
আগুনের নদী নদীটাকে দ্যাখা যেতো যদি।


সামহোয়ারইনব্লগে ব্লগ লেখক এবং পাঠকদের আপোষে পিঠ চুলকাচুলকি কালচার

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৪৪

শেয়ার করুনঃ
00


প্রথমেই আমি অনুরোধ করছি, - পাঠক এই রচনা কে ব্যাক্তিগতভাবে নেবেন না। ইহা ব্লগ এর লেখা নিয়ে পাঠক তথা অন্য ব্লগারদের কমেন্টস বা মন্তব্য বা সমালোচনা বা প্রাতক্রিয়া সম্পর্কে একটা জেনারালাইজড সমালোচনা, কারো প্রতি রাগ বা বিরাগ থেকে এইটা করা হয় নাই।


পিঠ চুলকে দেওয়ার কালচার যে শুধু সামহোয়্যারইনব্লগেই আছে - এ রকম কথা আমি বলছি না। যতো দিন যাচ্ছে শিল্প-সাহিত্য-সংবাদ মিডিয়া তথা পুরা মিডিয়া ততোই পাঠক সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে। এমন কি সংবাদপত্রের ক্ষেত্রেও পাঠকের সক্রিয় অংশ গ্রহণ এখন একটা স্বভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ। ব্লগ এ ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে আছে। আর সামু যেহেতু অন্য ব্লগের চেয়ে একধাপ এগিয়ে আছে, সেহেতু পাঠক সম্পৃক্ততার দিক থেকে বোধ হয় সামু কেই সবচেয়ে এগিয়ে রাখতে হবে। তো এই প্রক্রিয়ায় পাঠকই যখন লেখক হয়ে উঠছে তখন প্রতিক্রিয়া বা মন্তব্য বা সমালোচনার ক্ষেত্রে তারা একটা চরম সুবিধাবাদী পন্থা খুব সচেতনভাবে গ্রহণ করছে। এই পন্থাটা হলো আপোষে একজন আরেক জনের পিঠ-চুলকে দেয়া। পাঠক হিসেবে আমি যখন আপনার লেখার অকারণ প্রসংশা করি বা আপনার পিঠ চুলকে দেই, তখন আমি যখন লেখক হই তখন আপনার কাছ থেকেও একই রকম প্রসংশা আশা করি - ভদ্রতার দোহাই দিয়ে হলেও; সে আমার লেখা যতোই অপাঠ্য হোক না কেন...

সুবিমল মিশ্র এই সংষ্কৃতির একটা অশ্লীল নাম দিয়েছেন - পোঁদ ঘষাঘষি...

তো পাঠক, আসেন আমরা প্রকৃত ব্লগার হয়ে উঠি... ভালো সমালোচক হই... লেখকের উপকার করি - যেহেতু এইটা আমাদের রুটি-রুজির সাথে জরিত নয়...

আমরা আপোষে নিজেদের পোঁদ ঘষাঘষি বন্ধ করি...


নোট ঃ সবাই যে এই পোঁদ ঘষাঘষি কালচারে জারিত তা বলা যাবে না... আকালের ভেতরেও দু'য়েকজন সৎ সমালোচক আছেন - যারা কারো লেখা ভালো লাগলে ভালো আর খারাপ লাগলে খারাপ বলতে কুন্ঠা বোধ করেন না...

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৪৪

একটা নেশায় আক্রান্ত জনপদ সম্পর্কে দু'য়েকটা কাহিনী

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০৫

শেয়ার করুনঃ
00
ইদানিং রেডিও টি.ভি. পেপার পত্রিকা - যখন যে মিডিয়া খুলে বসি, দেখি তারা এক সুরে বলছে - আসুন নেশা (মাদক) কে না বলি !!!

বিষয়টা আমার ভালোই লাগে - যদিও আমার কাছে নেশা বস্তুটাও ভালোই লাগে !!!

আমার এক বন্ধু - পেশায় ফ্রিল্যান্সার ওয়েব ডিজাইনার, একদিন দেখা হতেই তাকে চেপে ধরলাম -"দোস্ত আমার তো খুব খারাপ অবস্থা... নেশা করতে করতে... তোমার পরামর্শ শুনে ইদানিং সারাদিন ইন্টারনেট খুলে বিভিন্ন ওয়েবে সাতার কাটতে কাটতে আমি আসক্ত হয়ে পড়েছি... এখন একমূহুর্ত অফ-নেটে থাকলেই আমার অসহ্য লাগে ! ঘুমাইতে পারি না, খাইতে পারি না এমন কি স্ত্রী-সহবাস করতে গেলেও মাথার ভেতরে সাফিং চলতে থাকে - বিবিধ ওয়েভের !!!...গুরু মুক্তির উপায় বলো না !!!!"... তো সেই বন্ধু মুখে একটা মারেফতি হাসি লটকে যা বললো তার সারমর্মটা এ রকম - "জীবনে সফল হতে গেরে নেশা করতেই হবে, এর কোন বিকল্প নাই...!!!"

বিষয়টা আমাকে ভাবিয়ে তুললো।

নেশা সম্পর্কে আমার নিজের অভিজ্ঞতাটা ব্যাপক। প্রথম আমি নেশায় আসক্ত হয়ে পরি বই পড়তে গিয়ে। বই পড়ার বিষয়টা একটা পর্যায়ে যখন আমার নেশায় পরিণত হলো - জেগে থাকা অবস্থায় মুখের সামনে একটা বই না থাকলে আমার ভালোই লাগতো না- এভাবে চলতে চলতে এর পরে একটা সময় আমি ঘুমায়ে ঘুমায়েও পড়তে থাকলাম - বিভিন্ন বিষয়ের বই (যে বইটা পড়তে পড়তে ঘুমায়ে পড়তাম, ঘুমের ভেতরে তার বাকিটা অংশ নিজের মতো করে লিখে নিয়ে নিজেই পড়তাম)....!!! ফলে নিরবিচ্ছিন্নভাবে বইয়ের সাথে সংযুক্ত থাকতে থাকতে একটা সময় যখন আমার অসুস্থতাটা আশে-পাশের অন্যদের কে আক্রমণ করলো - বাড়ির সবাই এবং পাড়া-প্রতিবেশীরাও এই অদ্ভুত নেশার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে নিজেরা নেশার স্বরূপ চেখে দেখতে গিয়ে নিজেরাও আসক্ত হয়ে পড়লো - তখন উপায়-অন্ত না পেয়ে আমি নিজেই চিকিৎসকের ভূমিকায় অবতির্ণ হলাম, পাড়ার লাইব্রেরীতে লাইব্রেরিয়ানের চাকুরী নিয়ে এবং অনেক জ্ঞানী-গুণী লোকের সাথে পরামর্শ করে - কয়েকটা কম্পিউটার বসিয়ে সেখানে ইন্টারনেটের কানেকশান নিয়ে বইয়ে আসক্ত সকলকে জ্ঞানের একটা নতুন বিশ্বের সন্ধান দিতে লাগলাম - বই পড়ার নেশা থেকে মুক্ত করতে একটা নতুন নেশার সন্ধান দিয়ে বসলাম... কয়েকদিন পরে দেখলাম - কেউ আর আমাদের লাইব্রেরিতে আসছে না - না বই পড়ার জন্যে না ইন্টারনেটে সাতার কাটার জন্যে .... তারা বাড়িতেই মডেম কিনে মোবাইল ফোন কোম্পানীর প্রোভাইড করা নেটের লাইনে সংযুক্ত হয়ে আবার নেশাক্ত হয়ে বাড়িতে আবদ্ধ হয়ে পড়লো...এর মধ্যে যারা সামহোয়্যারইনব্লগ নামক একটা বিশেষ সাইটের দ্বারা আক্রান্ত হলো তাদের অবস্থাটা সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করলো....

এবং আমি আরো একবার নিজেই ডাক্তারের ভূমিকায় অবতির্ণ হয়ে চিকিৎসা পদ্ধতির সন্ধানে মত্ত হতে বাধ্য হলাম - দেশ ও জাতীর স্বার্থে !!!

প্রকাশ করা হয়েছে:   বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০৯

একটা হাইপো - সামহোয়্যারের জনগণের আবেগের গতিপথ

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:১৯

শেয়ার করুনঃ
00


খুব সম্ভব ড্যান ব্রাউনের ডিজিটাল ফোরট্রেস বইয়ে একটা প্রোগ্রামের গল্প পেয়েছিলাম - যে প্রোগ্রামটি চালিয়ে একটা জনগোষ্ঠির আবেগের গতিপথ খুব সহজেই এনালাইসিস করা হচ্ছে এবং ফর্মুলা অনুসরণ করে মব সাইকোলজি'র মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব হচ্ছে।

(গুরু) আইজাক আসিমভ ফাউন্ডেশানে একটা নতুন বিজ্ঞানের ধারণা দিয়েছেন - সাইকো হিস্ট্রি । যেখানে কয়েকটি সূচক ব্যাবহার করে একটা জনগোষ্ঠি'র ভবিষ্যত রীতিমতো নিখুতভাবে বলে দেয়া যাচ্ছে।

তো যে প্রসঙ্গে এই জটিল আলোচনার সূত্রপাত তা হলো - ফেসবুক/সামহোয়্যারইনব্লগ জাতীয় সোসাল নেটওয়ার্ক কিভাবে একটা গোষ্ঠি'র হৃদয়াবেগ ও মানসিক গঠন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে - সেইটা বুঝতে।

কোন বিশেষ গোষ্ঠি ( যেমন জামাত ) কি ইচ্ছে করলে ট্রেইন্ড লেবার (পেইড ব্লগার) ব্যাবহার করে ( মানসিক গঠনের দিক বিবেচনায়) ভার্জিন পোলাপাইন কে বিপথে ( নিজেদের পথে ) নিয়ে যেতে পারে ?


এই আলোচনাটা চালিয়ে নিতে আপনার অংশ গ্রহণ কামনা করছি।

প্রকাশ করা হয়েছে:   বিভাগে ।

তলপেটের নিরাপদ আশ্রয় থেকে ছিটকে পরার পরে অথবা একটা এ্যবারেশনের গল্প অথবা খোলস থেকে টুক করে মাথা বের করেই দেখে ফেলেছি - আংশিক

০২ রা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:০৯

শেয়ার করুনঃ
10


তখন আমি মগ্ন ছিলাম ধ্যানে...সাধনায়...আমি তখন গৌতম হয়ে যাচ্ছি নির্বাণে... এ রকম দিনগুলোর একদিনে শুন্য নিয়ে ছিলাম...শুন্যে। যেহেতু সবকিছুই শুন্য থেকে শুরু করতে হয়, শুন্যে বিলিন হয়ে যায় সবকিছু , মাথাশুন্য না হলে জ্ঞানী হওয়া যায় না...যেহেতু সবকিছুর শুরু শুন্য থেকে হয়... যেমন জ্ঞানকান্ড, কোন দৈবের বলে শরীর বৃক্ষে পাঁচটা ডাল গজিয়ে ওঠে শুন্য থেকে। তো সাধনার কৌশলে কতোদিন কতোরাত কতো কতো পাহার গলিয়ে বাষ্প করে নিয়েছি প্রয়োজনে, শুন্যের- পুরোটা মানুষ, পুরোটা শরীর বৃক্ষের পাঁচখানা ডাল ছেটে শুন্য করতে, শরীর বৃদ্ধির প্রয়োজনে।

"জানো, এখোনো মাঝে মাঝে তলপেটটাতে চিনচিন ব্যাথা হয়, তলপেটে চিনচিন ব্যাথাটা, অনুভূতিটা ফিরে ফিরে আসলেই তোমার কথা মনে পরে যায়। এখন নিশ্চয় সুখে আছো নতুন সংসার-ঘর-গৃহস্থলি-পুত্র-পরিবারার নিয়ে। এ মাসেইতো তোমার মেয়েটার বয়স ১ বছর হবে...১ বছর যোগ ১ বছর = ২ বছর...দুই বছর !" - এ টুকু পড়েই থমকে দাড়ালাম, ব্রেক করে...প্রেরক ও প্রাপকের নামহীন, সম্বোধন শুন্য চিঠি আমি এর আগে দেখিশুনি নাই। তবে হাতের লেখাটা দেখে বোঝা যাচ্ছে আমার বউ অথবা কন্যার ভেতরে একজন শুন্যের বরাবর চিঠিটি সাজিয়েছে প্রাক্তন কারো স্মৃতির বেদিতে...২২ পৃষ্ঠায় ভরে। যেহেতু দু'জনের একজন অন্যের কার্বণ কপি চোখ-চুল-চেহারাছবি থেকে হাতের লেখা পর্যন্ত...আহ্ কি সুন্দর হাতের লেখা ! গোটাগোটা করে যত্ন নিয়ে লেখে দু'জনই...সনাক্ত করা গেল না কে কাকে লিখেছে !!!

এর বেশি দেখা প্রথামতে অনুচিত, যখন আমি জেনে গেছি এই বিষয়টা ব্যাক্তিগত-একজনের একান্ত একার বিষয়। তাই চিলেকোঠায় প্রকাশ্যে রাখা বাক্সের গোপনে রাখা চিঠিটা অসাবধানে আমার হাতে পরলেও এর বেশি না পড়েই রেখে দিয়েছি জায়গায়। তারপরে ভুলে থাকতে চাইছি দেখে ফ্যালাটা।

চোখের দেখা, কানের শোনা ভুলওতো হইতে পারে (নির্বাণ বলেছেন)।

তারপরে থেকে ভাবনা গুলো-চিন্তাগুলো-সন্দেহগুলো-চুড়ান্ত মানবীয় পাপের ছবিগুলো ভীড় করে ঢুকে পড়তে চাইছে, একটু চ্যাতন হলেই, আমার ভেতরে, শুন্যে

তারপরে থেকে শুন্য থাকতে পারছি কই, ধোয়াতে আগুন জ্বেলেও


লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): সিরিয়াস লেখা ;
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:২৭


তলপেটের নিরাপদ আশ্রয় থেকে ছিটকে পরার পরে অথবা একটা এ্যবারেশনের গল্প অথবা খোলস থেকে টুক করে মাথা বের করেই দেখে ফেলেছি - আংশিক

০৩ রা এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৩৪

শেয়ার করুনঃ
10


তখন আমি মগ্ন ছিলাম ধ্যানে...সাধনায়...আমি তখন গৌতম হয়ে যাচ্ছি নির্বাণে... এ রকম দিনগুলোর একদিনে শুন্য নিয়ে ছিলাম...শুন্যে। যেহেতু সবকিছুই শুন্য থেকে শুরু করতে হয়, শুন্যে বিলিন হয়ে যায় সবকিছু , মাথাশুন্য না হলে জ্ঞানী হওয়া যায় না...যেহেতু সবকিছুর শুরু শুন্য থেকে হয়... যেমন জ্ঞানকান্ড, কোন দৈবের বলে শরীর বৃক্ষে পাঁচটা ডাল গজিয়ে ওঠে শুন্য থেকে। তো সাধনার কৌশলে কতোদিন কতোরাত কতো কতো পাহার গলিয়ে বাষ্প করে নিয়েছি প্রয়োজনে, শুন্যের- পুরোটা মানুষ, পুরোটা শরীর বৃক্ষের পাঁচখানা ডাল ছেটে শুন্য করতে, শরীর বৃদ্ধির প্রয়োজনে।

"জানো, এখোনো মাঝে মাঝে তলপেটটাতে চিনচিন ব্যাথা হয়, তলপেটে চিনচিন ব্যাথাটা, অনুভূতিটা ফিরে ফিরে আসলেই তোমার কথা মনে পরে যায়। এখন নিশ্চয় সুখে আছো নতুন সংসার-ঘর-গৃহস্থলি-পুত্র-পরিবারার নিয়ে। এ মাসেইতো তোমার মেয়েটার বয়স ১ বছর হবে...১ বছর যোগ ১ বছর = ২ বছর...দুই বছর !" - এ টুকু পড়েই থমকে দাড়ালাম, ব্রেক করে...প্রেরক ও প্রাপকের নামহীন, সম্বোধন শুন্য চিঠি আমি এর আগে দেখিশুনি নাই। তবে হাতের লেখাটা দেখে বোঝা যাচ্ছে আমার বউ অথবা কন্যার ভেতরে একজন শুন্যের বরাবর চিঠিটি সাজিয়েছে প্রাক্তন কারো স্মৃতির বেদিতে...২২ পৃষ্ঠায় ভরে। যেহেতু দু'জনের একজন অন্যের কার্বণ কপি চোখ-চুল-চেহারাছবি থেকে হাতের লেখা পর্যন্ত...আহ্ কি সুন্দর হাতের লেখা ! গোটাগোটা করে যত্ন নিয়ে লেখে দু'জনই...সনাক্ত করা গেল না কে কাকে লিখেছে !!!

এর বেশি দেখা প্রথামতে অনুচিত, যখন আমি জেনে গেছি এই বিষয়টা ব্যাক্তিগত-একজনের একান্ত একার বিষয়। তাই চিলেকোঠায় প্রকাশ্যে রাখা বাক্সের গোপনে রাখা চিঠিটা অসাবধানে আমার হাতে পরলেও এর বেশি না পড়েই রেখে দিয়েছি জায়গায়। তারপরে ভুলে থাকতে চাইছি দেখে ফ্যালাটা।

চোখের দেখা, কানের শোনা ভুলওতো হইতে পারে (নির্বাণ বলেছেন)।

তারপরে থেকে ভাবনা গুলো-চিন্তাগুলো-সন্দেহগুলো-চুড়ান্ত মানবীয় পাপের ছবিগুলো ভীড় করে ঢুকে পড়তে চাইছে, একটু চ্যাতন হলেই, আমার ভেতরে, শুন্যে

তারপরে থেকে শুন্য থাকতে পারছি কই, ধোয়াতে আগুন জ্বেলেও



বিদ্যুৎ পুড়ে আলো হচ্ছে, যুদ্ধ করছে আধারের সাথে....


নোট ঃ একজন বোদ্ধা ব্লগার নিচের ছবিটা পোষ্টের অংশ করায় আমাকে ব্যাফক বিয়াকুফ বলেছেন। তারমতামতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ছবিখানার সাথে ২ নং ছবিখানা রিপ্লেস করলাম...আর আপত্তিকর ছবিটি একটু এডিট করে আরো স্পষ্ট আকারে নিচে রেখে দিলাম...সূত্রমুখ হিসেবে, আমার পরের গল্পের।



সূত্রধর

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:২৫

শেয়ার করুনঃ
10


সুতা প্যাচানোর দায়িত্বে ছিল দাদা। কথা ছিল যথা পরিমান ঘোরাতে পারলেই, চরকায়
হয়ে যাবে - যেটুকু লাগবে বুনতে, একজন তারপরে বুনে দেবে। মিহি মসলিন বানাতে
যে সুতা লাগে, শোনা যায় সব মাটিতে ফোটেনা তার জেল্লা, সব ওস্তাদ জড়াতে পারেনা
মিহি করে, ববিনে। শোনা যায় শুধু ঘোরালেই হয় না, ঘোরানোটা জানতেও হয়
শোনা যায় দাদার পরদাদা ছিল তাহাদের এক উত্তম উত্তরাধীকার এ অঞ্চলে সমকালের
তাই দাদার উপরে আমাদের এতো আস্থা, সূত্রধরের সন্মানটুকু তারই পাপ্য দরবারের
তাঁর পরে যেকোনো জোলার পোলাকে দিয়ে বুনে নেয়া যাবে চাহিদা অনুশারে, তাঁতে।

আমরা বেন্নের ব্যাটারা তারপরেগা বাজারে বেচে খাবো, তার আগে না
তাই ইদানিং দরবারের বেন্নের ব্যাটারা অধৈর্য্য হয়ে যাচ্ছে টপ করেই
প্রয়োজনে যে কেউ সুতা প্যাচানোর জটিল কাজটাও করে ফেলতে চাইছে।


প্রথমে ব্যাবহৃত কর্মটির মালিক দ্যা ভিঞ্চি দ্যা গ্রান্ড মাস্টার



খানকির ছেলে - একটা কাল্পনিক গল্প

২৫ শে মে, ২০১০ রাত ১:১১

শেয়ার করুনঃ
00
"নগরের পাশে প্রকাশ্যে পতিতালয় থাকা ভালো নাকি নগরের ভেতরে গোপন পতিতালয় ভালো? " - বিতর্ক প্রসঙ্গে প্রাসঙ্গিক।

বহুদিন আগে একটা গল্প পড়ছিলাম, নাম মনে নাই-গল্প বা লেখকের, স্মৃতি থেকে অনুবাদ (নাকি বানায়ে) করে দিচ্ছি। প্রথমে গল্পটা পড়েন, পরে আরো বিস্তারিত হইতে পারে এই প্রসঙ্গে - যদি সহব্লগারদের আগ্রহ থাকে। আর নিচের গল্পের সব কাহিনীই কাল্পনিক। তবে দু'য়েকটা চরিত্রের বাস্তব অস্তিত্ব আছে এবং গল্পে বর্ণিত তাদের কার্যকলাপ এর অথেনটিক সূত্র পরে টীকা হিসেবে যোগ করা হবে।

শহরের পাশের পতিতালয়টি

২০৯০ সাল। সদ্য টাইম মেশিন আবিষ্কার হইছে। এক নগর গবেষক (যার নাম নক্ষত্রের নামের সাথে মিলে যায় - কালপুরুষ) গবেষণার উদ্দেশ্যে টাইম মেশিনে চড়ে একটা জমজমাট নগর কিভাবে মৃতের নগরীতে পরিণত হয় সেইটা দেখার উদ্দেশ্যে বাইর হইলো। নগর কিভাবে মারা যায় দেখতে গিয়ে হঠাৎ তার মনে হলো - আগে দেখে আসি এই জমজমাট নগরটা কিভাবে তৈয়ার হইছিল (এখনকার অনেক বাচ্চাদের ধারণা আল্লা এইটা জ্বীনদের দিয়ে বানিয়েছিল, একটা নগর পত্তনে এতো পয়শা খরচ করে কোন রাজা বাদশাহ্ওতো এতো সুরম্য অট্টালিকা-ভষ্কর্য-ফোয়ারা-সরোবর বানাবে না বা কোন আধুনিক রাষ্ট্রও কোন নগরের পেছনে এতো টাকা ঢালবে না - যে সব বিশ্ববিদ্যালয়গামী বাচ্চাদের পূর্ব পুরুষ সেই নগর থেকে আসছিল বলে গর্ববোধ করতো, তাদের মধ্যে কেউ কেউ এই রকমই বিশ্বাস করে - আল্লা এই নগরটা জ্বীনদের দিয়ে বানিয়েছিল।)

ঘটনা দেখতে গিয়ে কালপুরুষ অবাক হয়ে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিল....

যেখানে এই নগর (ধরা যাক তার নাম কোহাফ নগর) সেইখানে শুরুতে একটা বিরান প্রান্তর ছিল। এক রাতে ঝুমুর নাচের একটা বড় দল দুরের গঞ্জে যাওয়ার পথে-মধ্যে বিশ্রাম নিতে সেখানে তাবু টাঙ্গালো। তো তাবু টাঙানোর পরে সেইখানে তারা বিশ্রাম-টিশ্রাম নিতে বসে অভ্যাস বসতঃ আলো-টালো জ্বেলে একটা জলশাও বসিয়ে ফেললো (ইছলামী জলশা নয়)।সেই পথে একটা কাফেলা নিয়ে যাইতে আছিল একদল ধনী পর্যাটক - লোক-লস্কর, পাইক-পেয়াদা, গাইড-টাইড নিয়ে দুরের আবু-ধাবি নগরে - একটু ঘুরিফিরি করে কয়টা দিন ছুটি কাটাইতে। দুর থেকে ঝুমুর দলের রঙিন আলো দেখে দলের লোকজন অবাক। এই বিরান-প্রান্তর মাঝে এতো সুন্দর ঝলমলে রঙিন আলো! তারা কৌতুহল নিয়ে এগিয়ে গেল। কিছুটা কাছে যেতেই তাদের কানে এক অদ্ভুত সুন্দর গানের সুর ভেসে আসতে লাগলো - আলোর উৎস থেকে। দলের সবার কৌতুহল বাড়লো। আরেকটু কাছে যেতেই নুপুরের ঝমঝম শব্দ আর গানটাও শোনা-যাইতে লাগলো। দলের ভেতরে গোলাম আযম নামের এক সাবেক রাজনৈতিক নেতা ছিল, যার দলটা বাঙলা নামের মূলুকে বেশ জনপ্রিয় ছিল। তো সে একটু ভীত হয়ে অন্যদের বললো (আসল ঘটনাটা সে কিন্তু নুপুরের শব্দ শুনেই বুঝে ফেলছে),
- এই সব জ্বীন-ভুতের কারবার। এতো রাতে এই বিরান প্রান্তর মাঝে নাচ-গানের জলসা ! এইটা কিভাবে সম্ভব। চলেন ফিরে যাই, গিয়ে কাজ নাই (তার আসলে আবু-ধাবি যাওয়ার তাড়া ছিল...সেখানে তার তিন পোষা পেয়াদা তার জন্যে কয়েকটা কচি বাঙালী মাল (মেয়ে-মানুষ) সদ্য দেশ থেকে পাচার করে নিয়ে আসছিল)।

শুনে দলের অনেকেই ভীত হয়ে পরলো, তার ফিরে যাওয়ার পক্ষে মত দিলো।

বহু ঘাটের পানি খাওয়া সেই দলের গাইড তাদের আশ্বস্ত করতে বললো,
-ভয়ের কোন কারণ নাই।এইটা একটা ঝুমুরের দল। জ্বীন-টিন কিছু না। পথের মধ্যে বিশ্রাম নিতে তাবু টানাইছে।

শুনে আরেক দল জোর করেই সেখানে যাইতে চাইলো, দলকে প্রায় জোর করেই নিয়ে গেল...যাইতে বাধ্য করলো (তাদের কোথাও একটু জল ফেলার তাড়া ছিল)। অবশ্য তারা বয়সে তরুণ এবং বেশি পয়শাওয়ালা লোক বলেই এমনটা পারলো (অন্যদের সেখানে)।

প্রমোদ-ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আবু-ধাবি গামী ধনী পর্যাটকের দল ঝুমুর দলের তাবুর জঙ্গলে প্রবেশ করলো।

সেখানে এই দলটা পৌছানোর মাত্র কিছুক্ষণ আগে গোলাম আযম সাহেবের সুপুত্র উল্টা পাশ থেকে আরেকটা দলের সাথে হাজির হইছে ( গোলাম আযম সাহেবের এই গুণধর পুত্র-রত্নটি কিছুদিন আগেই আপন চাচির সাথে অবৈধ প্রণয়ে (!) জড়িয়ে, আপন চাচিকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল এবং দেশে ও দেশের বাইরে বেশ একটা হৈ চৈ বাধিয়ে দিয়েছিল)।

(চলবে)

নগরের পাশে প্রকাশ্যে পতিতালয় থাকা ভালো নাকি নগরের ভেতরে গোপন পতিতালয় ভালো?

১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:৫২

শেয়ার করুনঃ
10
গুরুচন্ডালিকা ঃ যদিও জানি একটা বিপদজনক বিষয় নিয়ে লিখতে বসেছি, সহ-ব্লগারদের প্রায় সবাই গেল গেল রব তুলে ছুটে আসবেন, মারতে চাইবেন-কাটতে চাইবেন, ব্লগে আমাকে নিষিদ্ধ করার দাবিও তুলে ফেলতে পারেন এই ইস্যুতে ধণাত্মক দৃষ্টি-ভঙ্গি প্রচার করায়.... তারপরেও না লিখে পারছি না, লিখতেই হচ্ছে বিষয়টার ভয়াবহতার কথা ভেবে। পাঠক দয়া করে লোটা একটু মনযোগ দিয়ে পড়বেন, না পারলে পড়ার দরকার নাই। কোন মত পার্থ্যক্য থাকলে যুক্তি দেন, বুদ্ধি দেন....গায়ের জোর-ধর্মের জোর দেখানো থেকে বিরত থাকুন, চোরের মতোন মাইনাস-টাইনাস দিয়েন না, দিতে চাইলে সিনা টানটান করে যুক্তি দেখিয়ে দিয়ে যান।



শুরুর আগে ঃ

অনেকের মতে পতিতাবৃত্তি পৃথিবীর আদিমতম পেশা, যদিও এইটা নিয়ে আমার মতান্তর আছে - তবে সেইটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। তবে পতিতারা যে সভ্যতার সূচনা লগ্ন থেকেই আমাদের (সভ্য নাগরিকদের) সাথে আমাদের প্রয়োজন মেটাতেই নগরের পাশে (সাধারণত) বসবাস করে আসছিলেন। এইটা নিয়ে কারো ভেতরে কোন সমস্যা হয় নাই, সমাজ নগর উচ্ছন্নে যায় নাই, যুবক সম্প্রদায় চরিত্র হারায় নাই।

তবে অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা প্রবণতা বেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে - নৈতিকতার দোহাই দিয়ে, ধর্মের দোহাই দিয়ে বিভিন্ন স্থানের পতিতাপল্লিগুলান তুলে দেয়া হচ্ছে, অনেকটা পরিকল্পিতভাবেই।
দেখে আমার মনে কয়েকটা প্রশ্ন জাগছে -

০১. পতিতাপল্লি উচ্ছেদ করলে কি পতিতাবৃত্তি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?
০২. পুরুষরা কি বহুগামীতা থেকে সরে আসছে?

নাকি এর ফলে

০১. একটা নির্দিষ্ট এলাকার ভেতরে আবদ্ধ পতিতা পল্লির বদলে পুরা জনপদেই পতিতাদের ছড়িয়ে পড়তে বাধ্য করছি? ( যার উদাহরণ হতে পারে নিমতল্লি আর কান্দুপট্টি তুলে দেয়ার পরের ঢাকা শহর)
০২. লালসা চরিতার্থ করার সুযোগ কমে আসায় (দুঃস্প্রাপ্য হয়ে যাওয়ায়) ধর্ষণ জাতীয় ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে?


এখন আমার প্রশ্ন আমরা কি -

নগরের পাশে প্রকাশ্যে পতিতালয় রাখবো নাকি নগরের ভেতরে গোপন পতিতালয় তৈরি করবো?



সময়ের অভাবে আজকে শুধু একটা গল্প থেকে কোট করেই শেষ করছি - "যে দিন থেকে এই শহরের বেশ্যাপট্টি তুলে দিয়ে সেখানে মসজিদ বানানো হয়েছে, সেইদিন থেকে শহরের প্রত্যেকটি পাড়াই খানকি পাড়া হয়ে গেছে...."



খানকির ছেলে - একটা কাল্পনিক গল্প - "নগরের পাশে প্রকাশ্যে পতিতালয় থাকা ভালো নাকি নগরের ভেতরে গোপন পতিতালয় ভালো? " - বিতর্ক প্রসঙ্গে প্রাসঙ্গিক।

প্রকাশ করা হয়েছে: গদ্যগুলো  বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১০ রাত ১২:২৯


এখন ভাইয়ের বুকে ছুরি চালাবার সাহস দরকার, সাহস দরকার পিতার বুকে ছুরি চালাবার

২৮ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:২৬

শেয়ার করুনঃ
00
প্রথমেই আমি জামাত ও শিবিরের ছাগলদের সাবধান করছি - এই পোষ্টটাতে আপনাদের কৃত কর্মের সাফাই গাইতে বসি নাই।

তারপরে সাবধান করছি সেইসব গোড়া আওয়ামী লীগ বিরোধীদের, যারা অকারণেই যুক্তিহীনভাবে আওয়ামী বিরোধিতা করেন, তাদের - এই পোষ্টটাতে আমি আপনাদের মুখপাত্র হয়েও কথা বলতে বসিনি।

আর পারা খাওয়া আওয়ামীলীগারদের কাছে ক্ষমা চাইছি - এই পোষ্টের অনেক কথা আপনাদের অনুভূতিতে আঘাত হানবে।

একটা খবর আমাকে প্রচন্ডভাবে আঘাত করেছে - এই পোষ্টটা তারই বিলম্বিত প্রতিক্রিয়া।

কোন প্রকারের সক্রিয়তা না থাকলেও আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কে সমর্থন করি (বাধ্য হয়ে, কারণ অমার মনে হয় এই দলটা খারাপদের ভেতরে কম খারাপ এর সিস্টেমের কারণে, এখানে নেতৃত্বে আসতে গেলে অনেকগুলো স্তর পারি দিয়ে আসতে হয়, অনেকের কাছে জবাবদিহি করতে হয় - যদিও গত ১৫ বছর ধরে এই বিষয়টা আর ঠিক কাজ করছে না)। ভোট হবার পরে থেকে আমি যে কয়বার ভোট দিয়েছি - সেগুলো আওয়ামীলীগের বাক্সেই গিয়েছে।

আর মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা রাজাকার ছিল তাদের জন্যে আমার ভেতরে একটা অন্ধ ঘেন্না ছাড়া কিছু নেই। তারা যতো ভালোই হোক আমার পক্ষে তাদের কে ক্ষমা করা সম্ভব হবে না কারণ -

তারা সজ্ঞানে সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল।


তারা পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাবী মানুষগুলোকে হত্যা করেছিল অথবা হত্যা করতে সাহায্য করেছিল।

তারা নারী ধর্ষণের মতোন কাজকেও জায়েজ ঘোষনা দিয়েছিল এবং এর সাথে জরিত ছিল।

এরকম কয়েকশো কারণ আছে রাজাকারদের ঘেন্না করার, আমি সেইদিকে যাচ্ছি না। রাজাকারদের ভেতরে কেউ কেউ নাকি পরিস্থিতির চাপে-রাজনৈতিক কারণে-নিজের এলাকাবাসি কে রক্ষা করতে রাজাকার হয়েছিল মাঝে-মধ্যেই বিভিন্নজন সম্পর্কে এরকম শোনা যায়। তো ৭১'এ এরকম যে হয়নি তা বলছি না, হয়তো কেউ কেউ এরকম থাকলেও থাকতে পারে (আছে-আমার পরিবারের ভেতরেই, আমার নানার ছোট ভাই অর্থাত আমার ছোট নানা...যেখানে তার দুই ভাই এবং এক ভাস্তে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল...তার বাড়িতেই মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিল) তবে যখন রাজাকারদের কৃতকর্মের বিষয়ে কথা ওঠে তখন আমি এদেরকেও ছাড় দিতে রাজি নই, দিলে আমার অবস্থানটা দুর্বল হয়ে যায়। গোটাকয়েক ভালো রাজাকারের (!) দোহাই দিয়ে যদি কেউ রাজাকারদের ভেতরে শ্রেণী ভেদ করার চেষ্টা করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে না দাড়িয়ে আমার উপায় থাকে না, কেউ এরকম করলে তার উদ্দেশটা আমার কাছে সৎ মনে হয় না, মনে হয় সে এইসবের দোহাই দিয়ে নিজের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবকে বাচাতে চাইছেন।

এখন ভাইয়ের বুকে ছুরি চালাবার সাহস দরকার, পিতার বুকে ছুরি চালাবার সাহস দরকার

কারণ লড়াইয়ের ক্ষেত্রে দাড়িয়ে যোদ্ধা কাউকে ক্ষমা করে না।


নোট ঃ কি লিখতে কি লিখছি নিজেও জানি না, আমি আসলে পত্রিকায় শেখ হাসিনার এই বক্তব্য দেখার পরে থেকে অপেক্ষা করছিলাম আওয়ামীলীগ বা সরকারের তরফ থেকে একটা প্রতিবাদের...এখন পর্যন্ত কোন প্রতিবাদ না আসায় আমি হতাশ হয়ে পড়েছি, বিষয়টা বিশ্বাস করতে বাধ্য হচ্ছি। জানি এই পোষ্টটা রাজাকারদের জল ঘোলা করার কাজে সাহায্য করতে পারে, তারপরেও পোষ্টটা না দিয়ে পারছি না, আমার ভেতরের ক্রোধ কে প্রশমিত করতে পারছি না।


বিপদের নাম-গন্ধ

০৭ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:১৩

শেয়ার করুনঃ
10


তৃতিয় বিশ্বযুদ্ধ হবে পানির জন্যে - এই বহুলচর্চিত তত্বটি আমি প্রথম জানতে পারি বিয়ের পরে। আমার বউয়ের সাথে যখন আমি গাটছাট বাধি তখন চারিদিকে ভয়াবহ ডেঙ্গুর প্রকোপ চলছিলো। সরকার-সুশিল সমাজ-গণমাধ্যম সবাই ডেঙ্গু মশার আতংকে অতিষ্ঠ হয়ে এর থেকে মুক্তি পাবার জন্যে বিবিধ ধরণের প্রচারণা চালাচ্ছিল। তাতে কাজ কতোটুকু হচ্ছিল বোঝা যাচ্ছিল না, তবে এই তান্ডবে বাড়ির আশেপাশের বহুদিন ধরে অযত্নে লালিত সব জঙ্গল-ডোবা-নালা পরিষ্কার হয়ে গেল এবং পরিষ্কার ডোবাগুলো - যেগুলো অযত্ন অবহেলার দরুন সকলের চোখের সামনে থেকেও অদৃশ্য ছিল, পরিষ্কার করার পরে সকলের দৃষ্টি গোচর হলে তার দখল নিয়ে পাড়ার ছেলেদের সাথে বেপাড়ার ছেলেদের প্রতিদিন গন্ডোগোল-মারামারি হতে থাকলো। জাদু শিল্পী জুয়েল আইচের একমাত্র কন্যা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রন্ত হলে তার পরিচিত জনেরা চিন্তিত হয়ে পড়লো, কারণ জুয়েল আইচ-বিপাশা দম্পতি উচু ফ্লাট বাড়িতে থাকতেন - যার আশেপাশে কংক্রিটের জঙ্গল ছাড়া অন্য কোন জঙ্গল ছিল না, কয়েকজনের বাড়ির ছাদের বিলাসী সুইমিং পুল ব্যাতিত উল্লেখযোগ্য কোন জলাধার ছিল না। আর এগুলোর মালিকেরা সবাই আইচ-বিপাসা দম্পতির চেয়ে ক্ষমতাবান হওয়ায় এগুলোর উপরে দোষও চাপানো সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে ডেঙ্গু মশার উপরে রাগ ঝাড়বার জন্যে তারা এবং তার পরিচিত জনেরা কোন উপায় খুজে পাচ্ছিল না। এরকম একটা অচলাবস্থায় অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ তার উদ্ভাবনী মস্তিষ্ক ব্যাবহার করে নতুন একটা তত্ত্ব দিলেন - ডেঙ্গু মশা শুধুমাত্র ঝোড়-জঙ্গল আর ডোবা-নালাতেই বংশ বিস্তার করে না বরং বাড়ির বাথরুমে, বারান্দা/ছাদের ফুলের টবে, পানির ট্যাংকিতে কয়েকদিন ধরে পানি জমে থাকলে সেখানেও ডেঙ্গু মশা তার বংশ বিস্তারের নিমিত্তে ঘাটি গাড়তে পারে। তাই তিনি তার সমস্ত সচেতন শিষ্য বৃন্দের মাধ্যমে বহুতলা বাড়িতে বসবাসরত নাগরিকদের কাছে বার্তা পৌছে দিতে থাকলেন -আপনার বাড়ির বাথরুম এবং রান্নারুমের যে সকল পাত্রে বেশ কয়েকদিন পানি জমে থাকার সম্ভাবনা আছে সেগুলো নিয়মিত পানিশুন্য করে শুকনা খটখটে রাখুন, বারান্দা বা ছাদের ফুলের টবে নিয়মিত মশার ওষুধ স্প্রে করুন (সম্ভব হলে সমূলে উৎখাত করুন), আর লক্ষ রাখুন ভাঙ্গা টব বা বালতিতে যেন পানি জমে না থাকে। তো এরকম একটা প্রচারণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আরো অনেকের মতোন একদা আব্দুল্লাহ্ আবু সাঈদের শিষ্য হিসেবে আমিও বাড়িতে সকল পানির পাত্রকে, ফুলের টবকে পানিশুন্য রাখার অভিযানে সামিল হয়েছিলাম। যদিও ততোদিনে আমার বসবাস চাকুরিসূত্রে ঢাকা থেকে অনেক দুরের এক মফস্বলে সরে এসেছে - যেখানে বহুতল ভবন বলতে হাতেগোনা কয়েকটা ৪ তলা, বাকি সব বাড়িই একতলা/দুইতলা অথবা টিনশেডের। প্রতিটি বাড়ির অন্তত একপাশে একখান করে নিবিড় আগাছার জঙ্গল বাধ্যতামূলক - যেখানে বাড়ির বাসিন্দারা ময়লা আবর্জনা ফেলে। তা সত্ত্বেও সংবাদ-পত্রের নিবন্ধ এবং খবর পরে, এক সময়ের সহযাত্রীদের কর্মকান্ডের বিবরণ শুনে ( ফোনে ) আমিও এই মহত কর্মকান্ড থেকে নিজেকে দুরে রাখতে পারি নাই। ঢাকা শহরের বাসিন্দা বন্ধুদের অনুকরণে আমিও বাড়ির ভেতরের ডেঙ্গু মশার আবাস উচ্ছেদে ঝাপিয়ে পরেছিলাম। এমন কি আমার বারান্দায় রাখা গোটা’দশেক ফুলের টবকে পানিশুন্য রাখতে রাখতে এক সময় যখন গাছগুলো মরে গেল, তখনো আমি এই উদ্যোগ থেকে পিছিয়ে আসিনি। বরং টবগুলোকে ফুলগাছ শুন্য করে বারান্দায় রেখে দিলাম (গাছে পানি দেওয়ার ঝামেলা থেকে বাঁচলাম)। তবে আমার ঢাকাবাসী বন্ধুরা যেহেতু বাড়ির পেছনে জঙ্গল পরিষ্কারের কোন কর্মসূচী নেয়নি (নেবে কিভাবে ? জঙ্গল থাকলেতো...) তাই আমিও আমার বাড়ির তিনপাশের জঙ্গল পরিষ্কারের বিষয়ে কিছুই করি নাই।

এ রকম একটা সময়ে পরিবারের সবার সম্মতিতে আমি আমার বউকে বিয়ে করে ঘরে তুললাম। আমার বউ ছিল আজন্ম ঢাকাবাসী। বিয়ের পরে প্রথম সে ঢাকার বাইরে আসলো, তাও আবার থাকার জন্যে। মফস্বল শহরে কি কি পাওয়া যায় কি কি পাওয়া যায় না, জীবনটা কেমন, কি কি সংকট হইতে পারে, কোন সংকটে কার শরণ নিলে উদ্ধারের রাস্তা পাওয়া যাবে.... রওনা হওয়ার আগে বেশ অনেক দিন ধরেই সে এই সব বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছে এবং প্রয়োজনীয় জনসংযোগ সেরেছে। এই মফস্বল যাত্রা তার জন্যে একটা চ্যালেঞ্জও আছিল, কারণ সবাই বলছিল সে টিকতে পারবে না। তো এই ব্যাপক প্রস্তুতি যজ্ঞের শেষে সত্যি সত্যিই যখন সে মফস্বলে আইসা পৌছাইলো এবং কিছুদিন বসবাস করলো, তখন তার ভেতরে আস্তে আস্তে হতাসা তৈরী হইতে লাগলো। কারণ মফস্বলবাসের বিপদ মোকাবেলার জন্যে যাত্রাশুরুর আগে নেওয়া তার সকল প্রস্তুতিই জলে ডুবে গেল, আক্ষরিক অর্থেই। কারণ মফস্বলে এসে বসবাস শুরু করার অনেক দিন পরেও তার সংসারে বা জীবনে কোন সংকট আসলো না, সে কোন বিপদের সম্মুখিন হইলো না। এমন কি একটা ছোটখাটো চুরির ঘটনা পর্যন্ত ঘটলো না তার ঘরে। এই বৈচিত্র এবং বিপদহীন সময় মানুষ ক্যামনে পার করে তখন সে তাই ভাবতে বসলো।

আর ঠিক সেই সময়ে চরম গ্রীষ্মকালের সূচনা হলো।


(আরো অনেকদুর পর্যন্ত লিখতে চাই, তবে এখন এক বসাতে এতোটুকু লিখেই ক্ষ্যান্ত দিচ্ছি, গল্পটা শেষ না করেই পোষ্ট শেষ করছি...কারণ মাথা কাজ করছে না...ক্ষমা করবেন)

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:১৬



স্যামসন চৌধুরী, সাকা চৌধুরীদের মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য প্রসঙ্গে এলেবেল এবং অর্থহীন প্রলাপ

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩২

শেয়ার করুনঃ
10
স্যামসন চৌধুরী (স্কয়ার এর চেয়ারম্যান) লোকটারে আমার খুব ভালো লাগে। এই লোকটা ৭১ সালে তার তিন পুত্র কে (অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, তপন চৌধুরী, স্বপন চৌধুরী) নিজে উদ্যোগ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন। একজন ব্যাবসায়ি হিসেবে তিনি কেমন অথবা মানুষ হিসেবে তিনি কেমন - এই সব তথ্য আমি ঠিক জানিনা (কারণ কাছে থেকে তাকে দেখার সুযোগ হয নাই), তারপরেও নিজের সন্তানকে যুদ্ধের মতোন একটা ভয়ানক ব্যাপরে জড়ানোর ভেতরে যে মহত্ব আছে সেইটা আমাকে মুগ্ধ করে। অথচ সেই সময় তার সাথের অন্যরা সপরিবারে কেউ ভারতে কেউ ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিল।

তুলনায় বাংলাদেশের অন্য আর দশজন ব্যাবসায়িকে, যেমন শাহ্ আলম, লতিফুর রহমান, সালমান রহমান, সাকা চৌধুরীদের আমার মোটেই ভালো লাগে না। এদের ভেতরে কোন নীতিবোধ নাই। সাকারাতো আসলে আরো খারাপ...প্রয়োজন অনুশারে যখন তখন রং বদলাইতে পারে। একই মুখে একবার বলে খালেদা জিয়া একটা খরাপ মহিলা, আবার প্রয়োজনে তাকেই দেশের রাজনীতিতে একমাত্র যোগ্য নেতৃত্বের তকমা পরায়, এক সময় বলেছে তারেক জিয়া দেশের সবচেয়ে বড়ো দুর্নিতিবাজ...তার জন্যে আমরা সকলে কেন বিপদে পরবো...আবার এখন বলছেন শুধুমাত্র তারেক জিয়ার পক্ষেই সম্ভব সামনের দিনগুলোতে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া....আগে সাকারা বেশ বুক ফুলিয়ে বলতো - ৭১'এ আমার বাপ রাজাকার ছিল, আমিও রাজাকার ছিলাম...তো কি হয়েছে? আপনেরা কি করবেন? পারলে কিছু করে দেখান? আবার ইদানিং শুনতে পাচ্ছি উনি বলছেন ৭১ সালে আমার বাপে রাজাকার ছিল...আমি ইংল্যান্ডে ছিলাম...আমি রাজাকার ছিলাম না....

এরা দরকার হলে নিজের বাপরেও বিক্রি করে দিতে পারে !

এরা একমুখে কতো রকম কথা বলতে পারে !!

সব দেখেশুন বলতে বাধ্য হই - উনারা মুখ দিয়ে নয়, পুটকি দিয়ে কথা বলেন !!!



আমাদের প্রতিটি অপকর্মেই একটা পর্দার প্রয়োজন হয়

১৬ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:০৮

শেয়ার করুনঃ
10
আমাদের প্রতিটি অপকর্মেই একটা পর্দার প্রয়োজন হয়

আমরা ঘুষ খাইতে চাই, পারি
তবে গোপনে (যদিও সবাই বোঝে এবং জানে)
মদ অথবা মাদকের নেশা তুঙ্গে উঠলে
খুজে বের করি বার অথবা বাথরুম
(হায় অভাগার দেশে রোজার মাসে এবং শুক্রবারে বারগুলো থাকে বন্ধ, এইসব দিনে নেশাখোরেরা ধর্ম পালন করে!!!)


আমরা রমজান মাসে চায়ের দোকানে পর্দা টানিয়ে পানাহার করি, করতে পারি।

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:১২

বেশ ভালো লাগছে

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৫০

শেয়ার করুনঃ
10
বেশ ভালো লাগছে...রাত্রে বেশ ভালো ঘুম হচ্ছে...যাক এতোদিনে একটা কাজের মতোন কাজ হয়েছে...পোষাক-শিল্পের শ্রমিকেরা এখন থেকে ন্যায্য মজুরী পাবে...অবশেষে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পোষাক-শিল্পের শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরি নিশ্চিত করা গেছে....মালিক পক্ষের ব্যাপক বিরোধীতার পরেও সরকার পোষাক-শিল্পের শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরির দাবী আদায় করে ছেড়েছে!!!

এখন থেকে এই শিল্পের শ্রমিকেরা সচ্ছলভাবে দিন গুজরান করবেন....৩০০০ টাকায় তাদের মাস চলে যাবে...৩/৪ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া দেয়ার পরেও তাদের হাতে অনেক টাকা উদ্বৃত্ত থাকবে...

দৈনিক ১০০ টাকা তাদের সংসারের সব প্রয়োজন মেটাবে...

দৈনিক ১০০ টাকা...৩/৪ জন মানুষের তিন বেলা পেট পুরে খাওয়ার জন্য যথেষ্ট....

এখন বোধহয় ১০০ টাকাতে এক প্যাকেট বেনসন সিগারেট হচ্ছে না...এর সাথে আরো ১৫/২০ টাকা যোগ করতে হচ্ছে....


আইসবার্গ

২৩ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১২:২২

শেয়ার করুনঃ
00






আগে ছিল দুই পা
যথা ইচ্ছা তথা যা
তারপরে হলো চার পাও
কোথাও যাও কয়ে (বলে) যাও

এখন আমার ছয় পাও
আব্বা আমাকে নিয়ে যাও।।


শহরের পাশের পতিতালয়টি (পুর্ণাঙ্গ)

০১ লা জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৩১

শেয়ার করুনঃ
20




২০৯০ সাল। সদ্য টাইম মেশিন আবিষ্কার হইছে। এক নগর গবেষক (যার নাম নক্ষত্রের নামের সাথে মিলে যায় - কালপুরুষ) গবেষণার উদ্দেশ্যে টাইম মেশিনে চড়ে একটা জমজমাট নগর কিভাবে মৃতের নগরীতে পরিণত হয় সেইটা দেখার উদ্দেশ্যে বাইর হইলো। নগর কিভাবে মারা যায় দেখতে গিয়ে হঠাৎ তার মনে হলো - আগে দেখে আসি এই জমজমাট নগরটা কিভাবে তৈয়ার হইছিল (এখনকার অনেক বাচ্চাদের ধারণা আল্লা এইটা জ্বীনদের দিয়ে বানিয়েছিল, একটা নগর পত্তনে এতো পয়শা খরচ করে কোন রাজা বাদশাহ্ওতো এতো সুরম্য অট্টালিকা-ভষ্কর্য-ফোয়ারা-সরোবর বানাবে না বা কোন আধুনিক রাষ্ট্রও কোন নগরের পেছনে এতো টাকা ঢালবে না - যে সব বিশ্ববিদ্যালয়গামী বাচ্চাদের পূর্ব পুরুষ সেই নগর থেকে আসছিল বলে গর্ববোধ করতো, তাদের মধ্যে কেউ কেউ এই রকমই বিশ্বাস করে - আল্লা এই নগরটা জ্বীনদের দিয়ে বানিয়েছিল।)

ঘটনা দেখতে গিয়ে কালপুরুষ অবাক হয়ে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিল....

যেখানে এই নগর (ধরা যাক তার নাম কোহাফ নগর) সেইখানে শুরুতে একটা বিরান প্রান্তর ছিল। এক রাতে ঝুমুর নাচের একটা বড় দল দুরের গঞ্জে যাওয়ার পথে-মধ্যে বিশ্রাম নিতে সেখানে তাবু টাঙ্গালো। তো তাবু টাঙানোর পরে সেইখানে তারা বিশ্রাম-টিশ্রাম নিতে বসে অভ্যাস বসতঃ আলো-টালো জ্বেলে একটা জলশাও বসিয়ে ফেললো (ইছলামী জলশা নয়)।সেই পথে একটা কাফেলা নিয়ে যাইতে আছিল একদল ধনী পর্যাটক - লোক-লস্কর, পাইক-পেয়াদা, গাইড-টাইড নিয়ে দুরের আবু-ধাবি নগরে - একটু ঘুরিফিরি করে কয়টা দিন ছুটি কাটাইতে। দুর থেকে ঝুমুর দলের রঙিন আলো দেখে দলের লোকজন অবাক। এই বিরান-প্রান্তর মাঝে এতো সুন্দর ঝলমলে রঙিন আলো! তারা কৌতুহল নিয়ে এগিয়ে গেল। কিছুটা কাছে যেতেই তাদের কানে এক অদ্ভুত সুন্দর গানের সুর ভেসে আসতে লাগলো - আলোর উৎস থেকে। দলের সবার কৌতুহল বাড়লো। আরেকটু কাছে যেতেই নুপুরের ঝমঝম শব্দ আর গানটাও শোনা-যাইতে লাগলো। দলের ভেতরে গোলাম আযম নামের এক সাবেক রাজনৈতিক নেতা ছিল, যার দলটা বাঙলা নামের মূলুকে বেশ জনপ্রিয় ছিল। তো সে একটু ভীত হয়ে অন্যদের বললো (আসল ঘটনাটা সে কিন্তু নুপুরের শব্দ শুনেই বুঝে ফেলছে),
- এই সব জ্বীন-ভুতের কারবার। এতো রাতে এই বিরান প্রান্তর মাঝে নাচ-গানের জলসা ! এইটা কিভাবে সম্ভব। চলেন ফিরে যাই, গিয়ে কাজ নাই (তার আসলে আবু-ধাবি যাওয়ার তাড়া ছিল...সেখানে তার তিন পোষা পেয়াদা তার জন্যে কয়েকটা কচি বাঙালী মাল (মেয়ে-মানুষ) সদ্য দেশ থেকে পাচার করে নিয়ে আসছিল)।

শুনে দলের অনেকেই ভীত হয়ে পরলো, তার ফিরে যাওয়ার পক্ষে মত দিলো।

বহু ঘাটের পানি খাওয়া সেই দলের গাইড তাদের আশ্বস্ত করতে বললো,
-ভয়ের কোন কারণ নাই।এইটা একটা ঝুমুরের দল। জ্বীন-টিন কিছু না। পথের মধ্যে বিশ্রাম নিতে তাবু টানাইছে।

শুনে আরেক দল জোর করেই সেখানে যাইতে চাইলো, দলকে প্রায় জোর করেই নিয়ে গেল...যাইতে বাধ্য করলো (তাদের কোথাও একটু জল ফেলার তাড়া ছিল)। অবশ্য তারা বয়সে তরুণ এবং বেশি পয়শাওয়ালা লোক বলেই এমনটা পারলো (অন্যদের সেখানে)।

প্রমোদ-ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আবু-ধাবি গামী ধনী পর্যাটকের দল ঝুমুর দলের তাবুর জঙ্গলে প্রবেশ করলো।


এরপরে সেই রাতের জলসা দেখেশুনে ক্লান্ত হয়ে শেষ রাতের দিকে দলের সবাই নিজের নিজের রুচী অনুশারে ঝুমুর দলের মেয়েদের তাবুতে ঢুকে পরলো আরো একটু ক্লন্ত হতে, যেন ঘুমটা ফ্রেস হয়। এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো - ঝুমুর দলের মেয়েরা নাচগানের পাশাপাশি পতিতাবৃত্তিও করতো। এইটা তাদের পেশারই একটা অংশ ছিল।

তো আবুধাবীগামী পর্যটকের দল সারারাত নাচগান দেখেশুনে এবং ঝুমুর দলের মেয়েদের সেবা নিয়ে ক্লান্ত হয়ে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল। পরের দিন সন্ধ্যার আগে তাদের ঘুম ভাঙ্গলো। আগের রাতের অপূর্ব অভিজ্ঞতা এবং ক্লন্তি জনিত কারণে তারা সেদিনো তাদের যাত্রা স্থগিত করলো এবং সেই রাতটাও এখানেই কাটানোর সিদ্ধান্ত নিল। ওদিকে ঝুমুরের দলটাও এই পর্যটকদলটা না যাওয়া পর্যন্ত থেকে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নিল যেহেতু তাদের মধ্যে অনেক পয়শাওয়ালা খদ্দের আছে। সেই রাতে আরো একটা দল সেইখানে হাজির হলো।ফলে নাচগানের আসর আগের রাতের চেয়েও জমে গেল। এভাবে একদিন দুইদিন তিনদিন করে কয়েক মাস কেটে গেল। ঝুমুরের দল সেই বিরান প্রান্তরের মধ্যেই থেকে গেল। অতিথিরা অনেকেই চলে গেল আবার অনেক নতুন অতিথি এসে উপস্থিত হলো। ক্রমে ক্রমে লোকমুখে এই ঝুমুরের দলের সুনাম দিকে দিকে ছড়িয়ে পরলো এবং লোকজন আবুধাবী না গিয়ে একসময়ের সেই বিরান প্রান্তর, ততোদিনে যা জমজমাট প্রায় একটা শহরে পরিণত হয়েছে সেখানে আসতে থাকলো। এই সব প্রমোদ-পিয়াসী লোকজনের খাওয়ার জন্যে সেখান অনেকগুলো খাবার হোটেল হলো, থাকার জন্যে থাকার হোটেল হলো। আর যারা ব্যাবসায়ি তারা যেহেতু স্বর্গে গেলেও ব্যাবসা করে, এখানে এস তারা আমোদ-প্রমোদের পাশাপাশি নিজের নিজের পণ্যের পশরা সাজিয়ে বসলো। এভাবে এক সময় এই ঝুমুর দলের তাবুকে কেন্দ্র করে (ততোদিনে সেখানে তাবুর পরিবর্তে সুরম্য পাকা দালান উঠেছে) একটা নগর গড়ে উঠলো। প্রমোদ-পিয়াসী লোকজনের আনাগোনা বাড়ার সাথে সাথে সেখানে একদল ব্যাবসায়ি এসে অতি সুন্দর সুন্দর বাড়ি তৈরী করে সেখানে বিভিন্ন দেশ থেকে পাচার হয়ে আসা মেয়েদের দিয়ে ব্যাবসা খুলে বসলো। ব্যাবসা জমে যাওয়ার পরে এই সব বাড়ির ভেতরে বাইরে নামীদামী স্থপতিদের দিয়ে চমৎকার চমৎকার ভষ্কর্য এবং ফোয়ারা স্থাপন করলো। এইভাবে একদার সেই বিরান প্রান্তরের ভেতরে অনেক লোক স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করলো।
জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ যেমন চুরি ছিনতাই এর ঘটনাও ঘটতে শুরু করলো। তখন ব্যাবসায়ীরা সবাই একযোগে বসে এইসব অপরাধ দমন এবং অপরাধীর বিচার করার জন্যে একটা পরিষদ গঠন করলো। এই পরিষদ কালক্রমে রীতিমতো একটা রাষ্ট্রের প্রশাসন যন্ত্রের আদল লাভ করলো। তখন পরিষদের সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচনের ব্যাবস্থা চালু করলো এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কে মেয়র এর দ্বায়িত্ব দেয়া হলো এবং সর্ব সম্মতিক্রমে এই নগরের নাম কোহাফ নগর রাখা হলো।ধীরে ধীরে কোহাফ নগরে স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা গীর্জা প্যাগোডা সবই হলো।

এর পরে অনেক বছর গেটে গেল। নগরে বেশ কিছু পত্র-প্রত্রিকাও প্রকাশিত হতে থাকলো এবং এই সকল পত্র-পত্রিকার প্রয়োজনে একটা সুশিল সমাজও গড়ে উঠলো।

একবার কোন এক উপলক্ষ্যে কোহাফ নগরের সুশিলগণ এক মহত সমাবেশে মিলিত হলো। এখানে এ কথা সে কথা হতে হতে এক সময় নগরের মাঝখানে পতিতালয় নিয়ে কথা উঠলো। উপস্থিত সুধিগণ সবাই এই মর্মে একমত হলো - নগরের মাঝখানে পতিতালয় একটা কদর্য ব্যাপার। আসতে যেতে পথের পাশের এই পতিতালয়টি তাদের কাছে রীতিমতো অশ্লিল মনে হতে লাগলো। এর ফলে তারা বিভিন্ন পত্রিকায় (বিশেষ করে রাতের আলোতে) নগরের মাঝখান থেকে পতিতারয়টি উচ্ছেদের জন্যে লেখালেখি শুরু করলো। শহরের মধ্যবিত্ত শ্রেণী (ততোদিনে কোহাফ নগরে একটা মধ্যবিত্ত শ্রেণীরও উদ্ভব হয়েছে) যারা অনেকেই রাতের আধারে পতিতালয়টিতে যেত তারাও সুশিলদের সাথে গলা মেলালো - শহরের মাঝখান থেকে পতিতালয়টি আশু উচ্ছেদ করে সমাজের চরিত্র রক্ষা করা হোক। সেই সময়ে যিনি নগর পিতা ছিলেন তার ছিল রিয়েল স্টেটের ব্যাবসা। তিনি নগরের নাগরিকদের নৈতিক চরিত্র রক্ষার স্বার্থে নগরের মাঝখান থেকে পতিতালয়টি উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেন এবং কোটলা কে সেইমতো নির্দেশ দিল। তিনি যেহেতু একজন জনদরদী নেতা সেহেতু তিনি পতিতাদের স্বার্থটাও দেখলেন।তাদের নগর থেকে অনেক দুরের একটা বিরান প্রান্তরে তাদের পুণর্বাসনের ব্যাবস্থা করলেন। কিছুদিন পরে যেখানে পতিতালয়টি ছিলো সেই সোনার টুকরা জমিটি মেয়র সাহেব তার স্ত্রীর নামে ৯৯ বছরের জন্যে লিজ নিয়ে বসুরধারা নামের একটা আন্তর্জাতিক মানের মার্কেট তৈয়ার করলেন। ফলে নগরের ভাবমুর্তি অনেক বেরে গেল এবং সুশিলরা মেয়রের নামে ধন্য ধন্য করতে লাগলো।

এরপরে প্রথম কিছুদিন কিছুই বোঝা গেল না। কিন্তু একটা সময়ে এসে কোহাফ নগরের ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা দিলো। যেহেতু এই নগরটি একটি বিরান প্রান্তরের মাঝে গড়ে উঠেছিল, যেখানে কোন ফসল ফলে না। নগরের পুরা অর্থনীতিটাই পর্যটন শিল্পের উপরে নির্ভরশীল ছিল। দুর-দুরান্ত থেকে বণিকরা এখানে আসতো আমোদ-প্রমোদের লোভে। পতিতালয়টি উচ্ছেদ হবার পরে তারা কোহাফ নগরে আসা বন্ধ করে দিলো। ফলে কোহাফ নগরের খাবার হোটেল থাকার হোটেল সহ অধিকাংশ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেল। এইসব প্রতিষ্ঠানে যারা চাকুরি করতো তারাও চাকরী হারিয়ে আবু-ধাবি পারি দিলো নতুন চাকরীর সন্ধানে। সাথে করে তারা তাদের পরিবার-সন্তান সবাইকে আস্তে আস্তে নিয়ে গেল। সুশিল সমাজের সদস্যগণের অর্ধেকের বেশিই বিভিন্ন স্কুলে মাষ্টারি করতো। স্কুলের ছাত্র কমে যাওয়ায় তারাও অন্য শহরের স্কুলে চাকরী নিয়ে চলে গেল। এভাবে আস্তে আস্তে কোহাফ নগর মৃতের পুরীতে পরিণত হলো।

ওদিকে পতিতাদের যে বিরান প্রান্তরে পুণর্বাসনের নামে নির্বাসন দেয়া হয়েছিল সেখানে গিয়ে তারা প্রথম রাতে তাবু টাঙ্গিয়ে মনের দুঃখ ভুলতে নাচ-গানের আসরের আয়োজন করেছিল। সেই পথে একটা কাফেলা নিয়ে যাইতে আছিল একদল ধনী পর্যাটক - লোক-লস্কর, পাইক-পেয়াদা, গাইড-টাইড নিয়ে দুরের আবু-ধাবি নগরে - একটু ঘুরিফিরি করে কয়টা দিন ছুটি কাটাইতে।তারা নাচ-গানের শব্দে আকৃষ্ট হয়ে সেখানে যাত্রা বিরতির সিদ্ধান্ত নিল।
এরপরে সেই রাতের জলসা দেখেশুনে ক্লান্ত হয়ে শেষ রাতের দিকে দলের সবাই নিজের নিজের রুচী অনুশারে ঝুমুর দলের মেয়েদের তাবুতে ঢুকে পরলো আরো একটু ক্লন্ত হতে, যেন ঘুমটা ফ্রেস হয়। এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো - ঝুমুর দলের মেয়েরা নাচগানের পাশাপাশি পতিতাবৃত্তিও করতো। এইটা তাদের পেশারই একটা অংশ ছিল।

তো আবুধাবীগামী পর্যটকের দল সারারাত নাচগান দেখেশুনে এবং ঝুমুর দলের মেয়েদের সেবা নিয়ে ক্লান্ত হয়ে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল। পরের দিন সন্ধ্যার আগে তাদের ঘুম ভাঙ্গলো। আগের রাতের অপূর্ব অভিজ্ঞতা এবং ক্লন্তি জনিত কারণে তারা সেদিনো তাদের যাত্রা স্থগিত করলো এবং সেই রাতটাও এখানেই কাটানোর সিদ্ধান্ত নিল। ওদিকে ঝুমুরের দলটাও এই পর্যটকদলটা না যাওয়া পর্যন্ত থেকে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নিল যেহেতু তাদের মধ্যে অনেক পয়শাওয়ালা খদ্দের আছে। সেই রাতে আরো একটা দল সেইখানে হাজির হলো।ফলে নাচগানের আসর আগের রাতের চেয়েও জমে গেল। এভাবে একদিন দুইদিন তিনদিন করে কয়েক মাস কেটে গেল। ঝুমুরের দল সেই বিরান প্রান্তরের মধ্যেই থেকে গেল। অতিথিরা অনেকেই চলে গেল আবার অনেক নতুন অতিথি এসে উপস্থিত হলো। ক্রমে ক্রমে লোকমুখে এই ঝুমুরের দলের সুনাম দিকে দিকে ছড়িয়ে পরলো এবং লোকজন আবুধাবী না গিয়ে একসময়ের সেই বিরান প্রান্তর, ততোদিনে যা জমজমাট প্রায় একটা শহরে পরিণত হয়েছে সেখানে আসতে থাকলো। এই সব প্রমোদ-পিয়াসী লোকজনের খাওয়ার জন্যে সেখান অনেকগুলো খাবার হোটেল হলো, থাকার জন্যে থাকার হোটেল হলো। আর যারা ব্যাবসায়ি তারা যেহেতু স্বর্গে গেলেও ব্যাবসা করে, এখানে এস তারা আমোদ-প্রমোদের পাশাপাশি নিজের নিজের পণ্যের পশরা সাজিয়ে বসলো। এভাবে এক সময় এই ঝুমুর দলের তাবুকে কেন্দ্র করে (ততোদিনে সেখানে তাবুর পরিবর্তে সুরম্য পাকা দালান উঠেছে) একটা নগর গড়ে উঠলো। প্রমোদ-পিয়াসী লোকজনের আনাগোনা বাড়ার সাথে সাথে সেখানে একদল ব্যাবসায়ি এসে অতি সুন্দর সুন্দর বাড়ি তৈরী করে সেখানে বিভিন্ন দেশ থেকে পাচার হয়ে আসা মেয়েদের দিয়ে ব্যাবসা খুলে বসলো। ব্যাবসা জমে যাওয়ার পরে এই সব বাড়ির ভেতরে বাইরে নামীদামী স্থপতিদের দিয়ে চমৎকার চমৎকার ভষ্কর্য এবং ফোয়ারা স্থাপন করলো। এইভাবে একদার সেই বিরান প্রান্তরের ভেতরে অনেক লোক স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করলো।
জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ যেমন চুরি ছিনতাই এর ঘটনাও ঘটতে শুরু করলো। তখন ব্যাবসায়ীরা সবাই একযোগে বসে এইসব অপরাধ দমন এবং অপরাধীর বিচার করার জন্যে একটা পরিষদ গঠন করলো। এই পরিষদ কালক্রমে রীতিমতো একটা রাষ্ট্রের প্রশাসন যন্ত্রের আদল লাভ করলো। তখন পরিষদের সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচনের ব্যাবস্থা চালু করলো এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কে মেয়র এর দ্বায়িত্ব দেয়া হলো এবং সর্ব সম্মতিক্রমে এই নগরের নাম নবীন নগর রাখা হলো।ধীরে ধীরে নবীন নগর নগরে স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা গীর্জা প্যাগোডা সবই হলো।

এর পরে অনেক বছর গেটে গেল। নগরে বেশ কিছু পত্র-প্রত্রিকাও প্রকাশিত হতে থাকলো এবং এই সকল পত্র-পত্রিকার প্রয়োজনে একটা সুশিল সমাজও গড়ে উঠলো।

একবার কোন এক উপলক্ষ্যে নবীন নগর নগরের সুশিলগণ এক মহত সমাবেশে মিলিত হলো। এখানে এ কথা সে কথা হতে হতে এক সময় নগরের মাঝখানে পতিতালয় নিয়ে কথা উঠলো। উপস্থিত সুধিগণ সবাই এই মর্মে একমত হলো - নগরের মাঝখানে পতিতালয় একটা কদর্য ব্যাপার। আসতে যেতে পথের পাশের এই পতিতালয়টি তাদের কাছে রীতিমতো অশ্লিল মনে হতে লাগলো। এর ফলে তারা বিভিন্ন পত্রিকায় (বিশেষ করে রাতের আলোতে) নগরের মাঝখান থেকে পতিতারয়টি উচ্ছেদের জন্যে লেখালেখি শুরু করলো। শহরের মধ্যবিত্ত শ্রেণী (ততোদিনে কোহাফ নগরে একটা মধ্যবিত্ত শ্রেণীরও উদ্ভব হয়েছে) যারা অনেকেই রাতের আধারে পতিতালয়টিতে যেত তারাও সুশিলদের সাথে গলা মেলালো - শহরের মাঝখান থেকে পতিতালয়টি আশু উচ্ছেদ করে সমাজের চরিত্র রক্ষা করা হোক।

যে আলোচনার থেকে এই গল্পের অবতারণা

অহি'রকূল

২৮ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১২:৩৫

শেয়ার করুনঃ
21





অহিটহিনা






বিশ্বাসীরা আজ রাতে নমাজ পরছেন....আর যারা পারছে না তারাও বিশ্বাসী - নাতে।।
যারা মিল খুজে পেতে চাইবে, তারা পাবেন।। আমি পাবনা এখনই
আমার সবকিছুতেই দেরি হয়ে যায়
আমার হয়না
করা
সবকিছু।।

লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): ভাবনাগুলো[img|http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/bokai_1280291580_1-Jamchuri.gif] ;
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১:০৮


অসম্ভব গল্প

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪০

শেয়ার করুনঃ
00

এক ছিল রাজা। তার ছিল দুই রাণী। এক রাণী ছিল বিধবা আর আরেক রাণীর কোনদিন বিয়েই হয়নি। যে রাণীর কোনদিন বিয়েই হয়নি তার ছিল দুই ছেলে। এক ছেলে চোখে দেখেনা আরেক ছেলে অন্ধ। তো রাজা মশায়ের একদিন ইচ্ছে হলো কই মাছের তরকারি দিয়ে ভাত খাবে। সে তার দুই কুমার কে নির্দেশ দিলো পুকুরে জাল ফেলে কই মাছ ধরতে। দুই কুমার জালের সন্ধানে জেলের বাড়িতে গেল। জেলের বাড়িতে দুইটা জাল ছিল। একটা জালের সুতা নেই আরেকটা জাল ছেড়া। রাজার কুমার যে জালে সুতা নেই সেই জাল নিয়েই পুকুর পাড়ে এলো মাছ ধরতে। রাজার ছিল দুইটা পুকুর। একটা পুকুরে পানি নাই আরেকটা পুকুর শুকনা। যে পুকুরটা শুকনা সেইখানে জাল ফেলে রাজার কুমার দুইটা কই মাছ ধরলো। একটা কই মাছের প্রাণ নেই আরেকটা কই মাছ ছিল মরা। কুমাররা রান্না করার জন্য সেই কই মাছ রাণী মহলে পাঠিয়ে দিলো। রাণী মহলে তরকারী রান্নার দুইটা পাতিল ছিল। একটা পাতিল ছিল ভাঙ্গা আরেকটা পাতিলের তলা ছিল না। তো যে পাতিলটার তলা ছিল না সেই পাতিলে রান্না চড়াতেই মাছ দুইটা চুলার মধ্যে পড়ে গেল। তখন রাজা মশাই আর কি করবে? ঝোল দিয়েই ভাত খেল।

সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৩

অসম্ভব গল্প - বাংলাদেশের গল্প

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:১৬

শেয়ার করুনঃ
01
যে কথা লেখা যেত অনেক আগে
বলা যেত অন্যভাবেও অন্যখানে
বলা হয়নি বলাটা অকারণ ভেবে


আমাদের পুকুরে একবার খুব রাক্ষুষে মাছের উপদ্রব দেখা দিয়েছিল। বোয়াল এবং আফ্রিকান মাগুর অন্যান্য ছোট ছোট মাছ কে ধরে খেয়ে ফেলছিলো। এর ফলে পুকুরের মাছ চাষ করাই মুশকিল হয়ে পড়েছিলো। তো এই উপদ্রব থেকে বাঁচতে আমরা কনসালটেন্ট এর পরামর্শে একটা হাঙ্গর আমদানি করলাম। সেই হাঙ্গরটা পুকুরে ছাড়ার পরে সে পুকুরের সব রাক্ষুষে মাছ খেয়ে শেষ করে ফেললো।
এখন আমাদের পুকুরে আর কোন রাক্ষুষে মাছ নাই। অন্যান্য মাছও অবশ্য নাই। হাঙ্গর সব খেয়ে শেষ করে ফেলেছে। তাতে কি হয়েছে? সমস্যারতো সমাধান হয়েছে।


নিরবতার নাম অরূপ রতন

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:২৬

শেয়ার করুনঃ
10
চুদি।।বাল।।

(বালছাল বোল্ডের চরণে নিবেদন করলাম আমার নৈবেদ্য - ওস্তাদ সুবিমল আর পথিকের স্মরণে)

শুরুতেই গুরুর নামে ষ্ট্যান্টবাজি দিয়ে শুরু করছি

প্রেম মানুষ কে মুক্তি দেয় আর অপ্রেম টেনে নেয় সংসারে

কাছে থাকার চে দুরে থাকা ভালো
ঘড়ের চে অরণ্য অনেক সুন্দর।

ভেঙ্গে ফেলবো ঠুনকো কাচের আয়না
-এরকম ভয় দেখাচ্ছি, ভয় পাওনা !

আমি হয়তো পাগল হয়ে যাচ্ছি নির্বাণে
বুদ্ধের হাসি শান্তি পাওয়ার রূপক
এরকম ভয় দেখাচ্ছি, ভয় পেওনা !

আসলে কিন্তু বলব না কোন কথা

শহীদ হয়ে পাগল সেজে ঘুরছি
-এই জিনিসটা তোর কাছ থেকে পাইছি, স্বীকার করছি

তোর গুষ্ঠি কিলাই


নোটস্ :

বুদ্ধের হাসি - লাফিং বুদ্ধের মুর্তির হাসি, শুনেছি এই মুর্তি ঘড়ে রাখলেই শান্তি আসে ! আমি নিশ্চিত লাফিং বুদ্ধের একখান করে মুর্তি ইউনুসের (ডক্টর-যার চেম্বারে রোগী দেখা হয় না) ঘড়-বাড়ি-ইসকুল-অফিস সবখানে আছে।

শহীদ - এই কবিতার শহীদ শব্দটা কোন উপাধি নয় - আমার প্রিয় দুইজন মানুষের নাম, যারা যাপনের যন্ত্রণায় নিরুপায় হয়ে এক সময় পাগল সেজে ঘুরতো। একজন কে সবাই চেনে (অন্তত যারা কবিতা পড়ে), আরেকজন ১২ টি সিনেমা হলের ম্যানেজার ছিলেন বাংলাদেশেই। তাঁর অশেষ রহমত, আমার প্রিয় দুই শহীদ এখন আর পাগল সেজে ঘোরেনা, তাদের পাগল সেজে ঘুড়তে হয় না, তারা জীবনটা যাপনের পদ্ধতি শিখে নিয়েছে।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ঃ দয়া করে এই কবিতাখানা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করবেন না। ইহা লিটল-ম্যাগারগণ এর জন্য লিখিত। অশ্লীল (আপিক্ষিক) শব্দ সমূহ'র অর্থ তারাই বুঝবেন। দয়া করে সাধারণ ব্লগারগণ এই লেখাখানা উপেক্ষা করুন।






আমার সাথে কে যাবে

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:১১

শেয়ার করুনঃ
00


আমি মরলে আমাকে নেবেনা নদী...

আমার সাথে কষ্টগুলোও কি মরে যাবে, আমি মরে গেলে ?
অথবা বেহুলার সাথে লখিন্দরের মত ভেলায় চড়ে ভেসে যাবে সাগরে...

আমার সাথে কে যাবে বেহুলা হয়ে শেষ যাত্রায়, যমের দুয়ারে ?



রিপোষ্ট


পাবনায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র উৎসব উপলক্ষে প্রকাশিত সুচিত্রা বুলেটিন

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:১৩

শেয়ার করুনঃ
00

প্রচ্ছদ


প্রথম পাতা


দ্বীতিয় পাতা


শেষের পাতা

(রিপোষ্ট)




বড় পশুর মহা প্রয়ানে

২৬ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:২৫

শেয়ার করুনঃ
00


জনাব মোকসেদ সাহেব একজন বিশিষ্ট পশু ডাক্তার ছিলেন। সেই সূত্রে আমরা তার ছেলের বন্ধুরা তার ছেলেকে পশু নামে ডাকতাম, চেনার সুবিধার্থে। কারণ আমাদের গ্রুপে বেশ কয়েকজন রাসেল ছিল (মোকসেদ সাহেবের পুত্র- আমাদের বন্ধুর নাম ছিল রাসেল)। বন্ধুদের ভেতরে রাসেল পশু রাসেল (পশু ডাক্তারের ছেলে রাসেল = পশু রাসেল) নামেই খ্যাত ছিল। আমরা তার কাছের বন্ধুরা আরো সংক্ষেপে তাকে শুধু পশু নামেই ডাকি। আর সেই সূত্রে তার বাবাকে আড়ালে বড় পশু বলে ডাকতাম।

লা ইলাহা ইল্লাললাহু...লা শারিকালাহু...আব্দুহু...ওয়া রাসুলুহু...

জিকির করতে করতে বড় পশুর শব যাত্রার অনুগামী হয়ে গোরস্থানে গেলাম। তাকে কবরে শোয়ালাম। তাকে একা রেখে চলে এলাম নির্জনে।

বাঁশবাজার মসজিদে বাদ জোহোর ইমাম সাহেব ঘোষণা দিচ্ছিলেন - "দক্ষিণ রাঘবপুর নিবাসী বিশিষ্ট পশু ডাক্তার আলহাজ্জ্ব মোকসেদ আলীর নামাজের জানাজা এখনই শুরু হবে....জানাজায় উপস্থিত সবাইকে কাতার সোজা করে দাড়ানোর অনুরোধ করছি।।"‌‌‌‌

ঘোষণা শুনে মনে হলো ভদ্রলোক দুনিয়ায় একা এসেছিলেন একাই চলে গেলেন...তার সামনে পেছনে কেউ ছিল না... নেই...সে রকম কেউ থাকলে ইমাম সাহেব নিশ্চই তার পরিচয় দানের সময় তার পিতা-মাতা-পুত্র-কন্যা'র রেফারেন্সও দিতেন। অথবা তার সামনে-পেছনের জনেরা তার পরিচয়ে পরিচিত, ছিল-আছে...হয়তো তাদের মধ্যে যারা জীবিত তাদের মৃত্যুর পরে পরিচিতি ঘোষণার সময় রেফারেন্স হিসেবে তাঁর নাম টানা হবে। ভালো লাগলো - এইটুকু মনে হতেই। লোকটা একটা জীবন পরিপুর্ণভাবে কাটিয়ে গেল- সফলভাবে, দায় ও দায়িত্ব শেষ করে।।

প্রকাশ করা হয়েছে: ব্লগর ব্লগর  বিভাগে ।


একটা ব্যার্থ আনন্দশুন্য সংগমের স্মৃতি অথবা সম্ভাবনা অথবা তার অতৃপ্ত সংঙ্গীর দীর্ঘশ্বাসের শব্দ

১০ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:০০

শেয়ার করুনঃ
01
একঝাক পাখীর অবিরাম ডাকে এলোমেলো একটা ঝাকড়া চুলের গাছের নিচে বসে আরো একবার দেখছি ভোরের আলো কি করে গিলে ফ্যালে সুবেহ সাদিকের নরম আধার যখন আমার সামনের রাস্তার ওপারে একটা আনন্দে ডগমগ কৃষ্ণচুড়া এই সাতসকালেই লালের ঝাপি খুলে উল্লাসে মেতে উঠেছে মৃদুমন্দ বাতাসের সাথে আর তখনও জেগে থাকা রাতের শেষেও আমার মনে পরে যাচ্ছে মধ্যরাতের বিছানায় ব্যার্থ একটা মানুষের গল্প যার স্বপ্নের ভেতরে তাড়া করে ফেরে কেউটে সাপের ঝাপি খুলে ভয় দ্যাখায় রাতভর আরো একটা ব্যার্থ আনন্দশুন্য সংগমের স্মৃতি অথবা সম্ভাবনা অথবা তার অতৃপ্ত সংঙ্গীর দীর্ঘশ্বাসের শব্দ


বিনিদ্র রাতের পরে

২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৭:২৭

শেয়ার করুনঃ
01
বিনিদ্র রাতের পরে আসা সকালের সোনারোদ তীক্ষ ছুরির ফলার মতো ঢুকে পরে চোখের ভেতরে কাপিয়ে মগজের হাড়গোরঅস্থিমজ্জা, অথচ জানালার শার্শির পাশের ফুলের বাগানে অযত্নে লালিত গোলাপের ঝাড় আর পথের পাশের ঘাসফুলেরা সকালের রোদ মেখে দিনের আলোতে নাইতে যাবে বলে সারা রাত শিশিরে ভিজেছে প্রতীক্ষায়

আমার বন্দুকের বুলেটগুলোর ভেতরের বারুদেরা জ্বলে ওঠে প্রতিটি বিনিদ্র রাতের পরে আসা সকালের সামান্য আলোতে দেখেশুনে আমি চোখ বন্ধ করি, আমি ঘুমাতে যাই - আরো একবার, আলোর হুল্লোর দেখে ভয়ে


আমিও তখন ভাবতে বসি

২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:৫৯

শেয়ার করুনঃ
01
একটা পাখী ঠিক ভোর চারটা থেকে
যখন আমি ঘুমাতে যাই অযথাই আবার জাগবো বলে
কি হলো কি হলো বলে মাতম তোলে
আমাকে কাপায়!
আমিও তখন ভাবতে বসি -
আসলেই কি কিছু হলো


আর দেখা হবে না

২৬ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৪৭

শেয়ার করুনঃ
00
এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি দুরে - পালিয়ে

যে বোকা কিশোর ইসকুল পালিয়ে এসেছিল
কবিতা করতে স্বপ্নকে সাখে নিয়ে এই নগরে
তার সবটুকু জীবনী শক্তি শুষে নিয়েছে
নাগরেরা, জীবিকারা

এখন আতংকিত যুবক - যার ভেতরের কিশোর
মরে গ্যাছে স্বপ্নহীনতায়
ফিরে যাচ্ছে অজানায়
আরো একবার জীবন থেকে পালিয়ে - দুরে নিরুদ্দেশে

প্রকাশ করা হয়েছে: কবিতা  বিভা

আবার দ্যাখো আমার আমার গল্প

২৩ শে মার্চ, ২০১১ রাত ২:৩৯

শেয়ার করুনঃ
00


আর হয়তো বলা হবে না অনেক কথা
যতো কথা বলার ছিল -
তার'চে অনেক কম;
বলতে বলতে ফিরে আসি ডুবজলে
জল ডুবে যায়...

আমার বাড়িতে আমার ঘর নাই!

***

আচ্ছা ঘর মানে কি?

বাড়ির ভেতরে বাড়ি??

চারদেওয়ালে বন্দি একটা আকাশ???

প্রকাশ করা হয়েছে: কবিতা  বিভাগে ।

মনের অজান্তে মন চলে যায়

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৪১

শেয়ার করুনঃ
00

ইদানিং অন্তর্জালে বেশ প্রকাশিত বইয়ের বিজ্ঞাপন হচ্ছে - অধিকাংশই একঘেয়ে...দেখলেই লাফ দিয়ে পার হয়ে যেতে ইচ্ছে করে...তারপরেও বিষয়টিতে ( অন্তর্জালে প্রকাশিত বইয়ের বিজ্ঞাপন ) আমার আগ্রহ থাকায় আমাকে বিরক্তি নিয়েই প্রচারণাগুলো দেখতে হয়...আর আমিও মেলার শেষ পর্যায়ে এসে এরকমই একটা প্রচারণায় অংশ নিলাম...ভদ্রমহদোয়গণ ক্ষমা করবেন...

ফেব্রুয়ারী আসলেই কিছু একটা করতে ইচ্ছে করে, মনের অজান্তে মন চলে যায়, পরে থাকে বহেরা তলায় - যতদুরেই থাকি। ফিরে ফিরে আসতে চাই শরীর সহ মেলায়...আসা হয়না... নতুন বইয়ের গন্ধ আমাকে এতটাই মাতাল করে - যতোটুকু পারেনা মহুয়ার মদ... অথচ আমি পরে থাকি দুরে, খোয়ারিতে; বসে তেতুলের তলায় তেতুল খাই নেশা কাটাতে।

দিনের বেলায় আমার বউটি কাকের ডাকে ভয় পায়, রাতের বেলা সে ঘুমের ভিতরে যায় অনিদ্রা নিয়ে, জেগে ওঠে ঘুমের ভেতরে, জেগে উঠে আমাকে খোঁজে ঘুমের ঘোরে - তুমি আছো?....কই যাও?...কে কে? ...আবার ঘুমিয়ে পরে, আমার বসনের খুট ধরে...আমাকে ধরে রাখতে চায় হারায় হারায় ভয় নিয়ে...ভয় পায় বুঝি সুযোগ পেলেই আমাকে তার কাছে থেকে কেরে নেবে সময়, বইমেলা, বহেরাতলা, উদ্যান...

তারপরেও আমি পরে থাকি মেলা থেকে দুরে, খোয়ারিতে, আমি চলে যাই উদ্যানে, পরে থাকি বহেরা তলায় ...


নিচের অংশটুকু একটি বিজ্ঞাপন



আশরাফ শিশিরের দীর্ঘকবিতার গ্রন্থ "দুধধান" থেকে কয়েক লাইন -

"তোমার ভেতরে যেতে যাই যতদুর
তোমাকে সঙ্গে করে তোমারই ভেতর
আরো ভেতরে যেতে দিও অনুমতি
যতটা ভেতরে কেউ পারে না যেতে
তোমার অহংকার হয়ে যাক মদ
...আমিও অহংকারী মাতালের ঠোঁটে
চিবুকে লিখতে পারি কামড়ের দাগ
তুমি যাকে ভালবাসা বলনি কখনো"


ফ্লাপে যা যা লেখা আছে

একবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে প্রচন্ড অস্থির সময়ে প্রেম-দাম্পত্য-কবিতা-নন্দনতত্ত্ব-জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে পরাজিত নগরের এক তরুণ কবি একদিন একা একা একটি নি:সঙ্গ ট্রেনে উঠে পড়ে কেন না নগরে উত্তরাধুনিক কবিদের আড্ডায় সে হয়ে ওঠে অর্বাচীন যদিও প্রিয় নারীদের গতানুগতিক স্বার্থপরতায় ভেঙ্গে পড়া তরুণটির কলম থেকে তখন বেরিয়ে আসে না কোন প্রিয় কবিতা আর এ রকমই একটা সময়ে পত্রিকার সাহিত্য পাতায় বিক্রি হয়ে যাওয়া নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা কবিবন্ধুরা তাকে “নেশা না করলে কি কবিতা হয়?” জাতীয় পরামর্শ দিলে সে এই প্রথমবারের মত বিষয়টি ভেবে দেখবার অবকাশ পায় আর তখনই নগরের মুখস্ত মানুষদের মুখে লাথি দিয়ে জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে পরাজিত নগরের এক তরুণ কবি একদিন একা একা একটি নি:সঙ্গ ট্রেনে উঠে পড়ে কেন না অজানা কোন ষ্টেশনে অজানা কোন গ্রামে সে নেমে পড়তে চায় যেখানে ধানের ফলন হলে কৃষকের বুকে সুররিয়্যালিজমের স্বপ্ন জমে আর মাটি ভেদ করে জ্বেগে ওঠে ম্যাজিক রিয়েলিটি অথচ এইসব ম্লান করে দিয়ে সবকিছু মুছে দিতে সামনে এসে দাঁড়ায় ধানরাজনীতি-ধানের অর্থনীতি। তবুও পরাজিত এবং বেহায়া তরুণ কবিটি অপেক্ষা করে নবান্নের জন্য, যে ধানে মদ হয় তার জন্য,অপেক্ষা করে জীবনের শ্রেষ্ঠ কবিতাটি লেখার জন্য...





(আশরাফ শিশিরের দীর্ঘকবিতার বই "দুধধান",

প্রচ্ছদ: সব্যসাচী হাজরা,

প্রকাশক: প্রতিভূ,

প্রাপ্তিস্থান : দ্রষ্টব্য,পড়শি,রেডটাইমস,লিটল ম্যাগাজিন চত্বর,একুশে বইমেলা,বাংলা একাডেমী ,

মূল্য: ১০০ টাকা)