শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১১

আচ্ছা আর ক'বোনানে

আচ্ছা আর ক'বোনানে... কিন্তু পড়তে গিয়ে আমার মনে পড়ে গ্যালো, শেয়ার করতে মনে চাইলো- আমি যেভাবে এরকম একটা গল্প সাজাইছিলাম কিশোর বয়সে-


দেখেছি মায়ের যৌবন
কোমর বিছায় বাজতো জীবনের গান

.............................................
.............................................*
যে রাতে পিতা করেছিল চাষ- আমার জন্মের ইতিহাস
প্রেম ছিল তার বুকে
হয়তো প্রেমেরো আধিক ছিল নিজস্ব কামনা
.............................................
.............................................*

দেখেছি মায়ের যৌবন
কোমর বিছায় বাজতো শেকলের গান।।


-এইটা একটানে এইটুকু লিখেছিলাম, *...... অংশে দু'য়েক লাইন যোগ করবো এরকম পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে লেখা ছেড়ে উঠে পরেছিলাম... তারপরে দুই-আড়াই বছরব্যাপি একটা সে কি যে বিপদের মধ্যে পড়ছিলাম!!! পরে *....... -এইখানে আর কোন লাইন কিছুতেই মেলাতে পারি না, সামনে কাগজ কলম পাইলেই দুইটা করে লাইন লেখি আর কাটি আবার লেখি মনে ধরে না আবার কাটি, মনে মনে আবৃতি করি "বিছানায় শুয়ে-বাথরুমে বসে-রাস্তায় হাটতে হাটতে" শব্দ-লাইন আগেপিছে করে নতুন শব্দ- নতুন নতুন লাইন লাগিয়ে, লাগে না... এইভাবে প্রায় দেড়-দুই মাস কাটলো, আমার দিন-রাত-স্বপ্ন-ঘুম সবকিছু তখন এই ১১ লাইনময়... তারপরে হাল ছেড়ে দিলাম, কবিতাটা আর শেষ করা হলো না, এভাবেই অসমাপ্ত অবস্থায় এইটা পরিত্যাক্ত হয়েছিল...

বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১১

সংকলন



আফিংখোরের সাক্ষ্য / বন্দে আলী মিয়া





চৌধুরীদের পুকুরের পাড়ে ছিলো হোথা পাড়ো ঘর


দেয়ালের মাটি খসে গেছে তার—চালেতে নাইকো খড়।


বাঁশ বাগানের ছায়াতে হেথায় আঁধার হইয়া রয়


দস্যি ছেলেরা দিনের বেলায় যেতে হোথা পায় ভয়।


সেই ঘরে নাকি পাড়ার যতেক আফিংখোরের দল


সন্ধ্যা লাগিতে জড়ো হয়ে সবে করে মহা কোলাহল।


কেউ টানে গাঁজা—কেহ বা আফিং—চণ্ডু চরস কেহ


বুঁদ হয়ে শেষে মাটির পরেই দেয় এলাইয়া দেহ।


আফিংখোরেরা বহু রাত ধরি থাকে সেই আড্ডায়


ভাঙ খায় আর বাক্স বাজিয়ে মাথা নেড়ে গান গায়


মনের সুখেতে আছে যত নেশাখোর—


হঠাৎ একটা অঘটন ঘটি বিপদ হইল ঘোর।


মফিজ ওদের দলের স্যাঙাত হঠাৎ হয়েছে খুন


খবর শুনিয়া ভয়ে সবাকার মুখটি হইল চুন।


পরদিন সেথা পুলিশ আসিয়া তল্লাশ করি ঘর


সবারে বাঁধিয়া থানার হাজতে নিয়ে গেল সরাসর।


জাহিদ ওদের দলের প্রধান—অতি চালভারী লোক


তোবড়ানো গাল—শির উঁচু গলা—রাঙা ঢুলু ঢুলু চোখ।






বিচারের দিন তারে নিয়ে গেল হাকিমের এজলাসে


কী বলিতে হায় কিবা সে বলিবে—জিভ শুকাইয়া আসে।


হাকিম সুধায়: তোমরা তো সবে একসাথে নেশা টানো—


মফিজেরে কেবা করিয়াছে খুন বলো তুমি যাহা জানো?


জাহিদ কহিল: করেছে কে খুন এ কথা কেমনে বলি!


রোজ সন্ধ্যায় আড্ডায় এসে নেশা করে যেতো চলি।


শুধু সেইটুকু জানা শোনা ছিলো—ইহার অধিক নয়—


খুন দেখি নাই—কেমনে দেখিব! কথা শুনে পাই ভয়।


হাকিম তাহারে জিজ্ঞাসা করে: শোনো তবে পুনরায়


মরেছে যে রাতে সেই রাতে কিগো গেছিলো সে আড্ডায়?


জাহিদ কহিল: মফিজের লেগে চোখে আসে আজ বারি


গোটা কুড়ি টাকা নিয়েছিনু কবে এখনো সে টাকা ধারি।


তার দেনা আর শোধ হলো নাকো—ধর্মাবতার শোনো


টাকাগুলি তার পৌঁছে দেবার করো গো উপায় কোনো।


হাকিম কহিল: বাজে কথা তব কোর্ট না শুনিতে চায়


যেই দিন রাতে হয়েছিলো খুন—সে রাতে দেখেছো তায়?


জাহিদ কহিল: দেখিয়াছি বটে—আড্ডায় গিয়েছিলো—


আমার গাঁজার কল্কি কাড়িয়া খুব কষে টেনেছিলো।


মাথা ছিলো কিবা গলাকাটা হয়ে গিয়েছিলো সেই রাতে


মনে নাই কিছু—বলছি সত্য আপনার সাক্ষাতে।






সাক্ষ্য শুনিয়া হাকিম অবাক—কোর্টের লোকেরা কয়


আফিংখোরের কথা এ নহিলে এতখানি ঠিক হয়।


এমন সরল—দেখিয়াছে যাহা বলিয়াছে অকপটে


লোক দেখিয়াছে মাথা দেখে নাই—ভাবিবার কথা বটে।




কাহিনী ও কথিকা; প্রথম সংস্করণ জানুয়ারি ১৯৭১; প্রকাশক: সোসাইটি ফর পাকিস্তান স্টাডিজ ঢাকা।


হিংসুটেদের গান

আমরা ভালো লক্ষী সবাই, তোমরা ভারি বিশ্রী,তোমরা খাবে নিমের পাঁচন, আমরা খাবো মিশ্রি।
আমরা পাব খেলনা পুতুল, আমরা পাব চমচম,
তোমরা ত তা পাচ্ছ না কেউ, পেলেও পাবে কমকম।
আমরা শোব খাট্ পালঙে মায়ের কাছে ঘেষটে,
তোমরা শোবে অন্ধকারে একলা ভয়ে ভেস্তে।
আমরা যাব জামতাড়াতে চড়ব কেমন ট্রেইনে,
চেচাঁও যদি 'সঙ্গে নে যাও' বলবো 'কলা এই নে'!
আমরা ফিরি বুক ফুলিয়ে রঙিন জুতোয় মচমচ্
তোমরা হাঁদা নোংরা ছিছি হ্যাংলা নাকে ফচফচ্।
আমরা পরি রেশমী জরি, আমরা পরি গয়না,
তোমরা সেসব পাওনা বলে তাও তোমাদের সয় না।
আমরা হব লাটমেজাজী, তোমরা হবে কিপটে,
চাইবে যদি কিচ্ছু তখন ধরবো গলা চিপটে।


মলয় রায়চৌধুরী'র কবিতা

প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার


(এই কবিতাটি অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত এবং নিম্ন আদালতে দণ্ডিত হয়েছিল | উচ্চ আদালতে এই রায়
নাকচ হয়ে যায়, ২৬ জুলাই ১৯৬৭)


ওঃ মরে যাব মরে যাব মরে যাব
আমার চামড়ার লহমা জ্বলে যাচ্ছে অকাট্য তুরুপে
আমি কী কোর্বো কোথায় যাব ওঃ কিছুই ভাল্লাগছে না
সাহিত্য-ফাহিত্য লাথি মেরে চলে যাব শুভা
শুভা আমাকে তোমার তর্মুজ-আঙরাখার ভেতরে চলে যেতে দাও
চুর্মার অন্ধকারে জাফ্রান মশারির আলুলায়িত ছায়ায়
সমস্ত নোঙর তুলে নেবার পর শেষ নোঙর আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে
আর আমি পার্ছিনা, অজস্র কাঁচ ভেঙে যাচ্ছে কর্টেক্সে
আমি যানি শুভা, যোনি মেলে ধরো, শান্তি দাও
প্রতিটি শিরা অশ্রুস্রোত বয়ে নিয়ে যাচ্ছে হৃদয়াভিগর্ভে
শাশ্বত অসুস্থতায় পচে যাচ্ছে মগজের সংক্রামক স্ফুলিঙ্গ
মা, তুমি আমায় কঙ্কালরূপে ভূমিষ্ঠ করলে না কেন ?
তাহলে আমি দুকোটি আলোকবর্ষ ঈশ্বরের পোঁদে চুমু খেতুম
কিন্তু কিছুই ভালো লাগে না আমার কিছুই ভালো লাগছে না
একাধিক চুমো খেলে আমার গা গুলোয়
ধর্ষণকালে নারীকে ভুলে গিয়ে শিল্পে ফিরে এসেছি কতদিন
কবিতার আদিত্যবর্ণা মুত্রাশয়ে
এসব কী হচ্ছে জানি না তবু বুকের মধ্যে ঘটে যাচ্ছে অহরহ
সব ভেঙে চুরমার করে দেব শালা
ছিন্নভিন্ন করে দেব তোমাদের পাঁজরাবদ্ধ উত্সব
শুভাকে হিঁচড়ে উঠিয়ে নিয়ে যাব আমার ক্ষুধায়
দিতেই হবে শুভাকে
ওঃ মলয়
কোল্কাতাকে আর্দ্র ও পিচ্ছিল বরাঙ্গের মিছিল মনে হচ্ছে আজ
কিন্তু আমাকে নিয়ে কী কোর্বো বুঝতে পার্ছিনা
আমার স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে
আমাকে মৃত্যুর দিকে যেতে দাও একা
আমাকে ধর্ষণ ও মরে যাওয়া শিখে নিতে হয়নি
প্রস্রাবের পর শেষ ফোঁটা ঝাড়ার দায়িত্ব আমায় শিখতে হয়নি
অন্ধকারে শুভার পাশে গিয়ে শুয়ে পড়া শিখতে হয়নি
শিখতে হয়নি নন্দিতার বুকের ওপর শুয়ে ফরাসি চামড়ার ব্যবহার
অথচ আমি চেয়েছিলুম আলেয়ার নতুন জবার মতো যোনির সুস্থতা
যোনিকেশরে কাঁচের টুকরোর মতো ঘামের সুস্থতা
আজ আমি মগজের শরণাপন্ন বিপর্যয়ের দিকে চলে এলুম
আমি বুঝতে পার্ছিনা কী জন্য আমি বেঁচে থাকতে চাইছি
আমার পূর্বপুরুষ লম্পট সাবর্ণ চৌধুরীদের কথা আমি ভাবছি
আমাকে নতুন ও ভিন্নতর কিছু কোর্তে হবে
শুভার স্তনের ত্বকের মতো বিছানায় শেষবার ঘুমোতে দাও আমাকে
জন্মমুহুর্তের তীব্রচ্ছটা সূর্যজখম মনে পড়ছে
আমি আমার নিজের মৃত্যু দেখে যেতে চাই
মলয় রায়চৌধুরীর প্রয়োজন পৃথিবীর ছিল না
তোমার তীব্র রূপালি য়ুটেরাসে ঘুমোতে দাও কিছুকাল শুভা
শান্তি দাও, শুভা শান্তি দাও
তোমার ঋতুস্রাবে ধুয়ে যেতে দাও আমার পাততাড়িত কঙ্কাল
আমাকে তোমার গর্ভে আমারি শুক্র থেক জন্ম নিতে দাও
আমার বাবা-মা অন্য হলেও কি আমি এরকম হতুম ?
সম্পূর্ণ ভিন্ন এক শুক্র থেকে মলয় ওর্ফে আমি হতে পার্তুম ?
আমার বাবার অন্য নারীর গর্ভে ঢুকেও কি মলয় হতুম ?
শুভা না থাকলে আমি কি পেশাদার ভালোলোক হতুম মৃত ভায়ের
ওঃ বলুক কেউ এসবের জবাবদিহি করুক
শুভা, ওঃ শুভা
তোমার সেলোফেন সতিচ্ছদের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীটা দেখতে দাও
পুনরায় সবুজ তোশকের উপর চলে এসো শুভা
যেমন ক্যাথোড রশ্মিকে তীক্ষ্ণধী চুম্বকের আঁচ মেরে তুলতে হয়
১৯৫৬ সালের সেই হেস্তনেস্তকারী চিঠি মনে পড়ছে
তখন ভাল্লুকের ছাল দিয়ে সাজানো হচ্ছিল তোমার ক্লিটোরিসের আশপাশ
পাঁজর নিকুচি-করা ঝুরি তখন তোমার স্তনে নামছে
হুঁশাহুঁশহীন গাফিলতির বর্ত্মে স্ফীত হয়ে উঠছে নির্বোধ আত্মীয়তা
আ আ আ আ আ আ আ আ আ আঃ
মরে যাব কিনা বুঝতে পার্ছিনা
তুল্কালাম হয়ে যাচ্ছে বুকের ভেতরকার সমগ্র অসহায়তায়
সব কিছু ভেঙে তছনছ করে দিয়ে যাব
শিল্পের জন্যে সক্কোলকে ভেঙে খান-খান করে দোব
কবিতার জন্য আত্মহত্যা ছাড়া স্বাভাবিকতা নেই
শুভা
আমাকে তোমরা ল্যাবিয়া ম্যাজোরার স্মরণাতীত অসংযমে প্রবেশ কোর্তে দাও
দুঃখহীন আয়াসের অসম্ভাব্যতায় যেতে দাও
বেসামাল হৃদয়বত্তার স্বর্ণসবুজে
কেন আমি হারিয়ে যাইনি আমার মায়ের যোনিবর্ত্মে
কেন আমি পিতার আত্মমৈথুনের পর তাঁ পেচেছাপে বয়ে যাইনি
কেন আমি রজঃস্রাবে মিশে যাইনি শ্লেষ্মায়
অথচ আমার নিচে চিত আধবোজা অবস্থায়
আরাম গ্রহণকারিনী শুভাকে দেখে ভীষণ কষ্ট হয়েছে আমার
এরকম অসহায় চেহারা ফুটিয়েও নারী বিশ্বাসঘাতিনী হয়
আজ মনে হয় নারী ও শিল্পের মতো বিশ্বাসঘাতিনী কিছু নেই
এখন আমার হিংস্র হৃৎপিণ্ড অসম্ভব মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে
মাটি ফুঁড়ে জলের ঘূর্ণি আমার গলা ওব্দি উঠে আসছে
আমি মরে যাব
ওঃ এ সমস্ত কী ঘটছে আমার মধ্যে
আমি আমার হাত হাতের চেটো খুঁজে পাচ্ছি না
পায়জামার শুকিয়ে যাওয়া বীর্য থেকে ডানা মেলছে
৩০০০০০ শিশু উড়ে যাচ্ছে শুভার স্তনমণ্ডলীর দিকে
ঝাঁকে ঝাঁকে ছুঁচ ছুটে যাচ্ছে রক্ত থেকে কবিতায়
এখন আমার জেদি ঠ্যাঙের চোরাচালান সেঁদোতে চাইছে
হিপ্নোটিক শব্দরাজ্য থেকে ফাঁসানো মৃত্যুভেদী যৌন-পর্চুলায়
ঘরের প্রত্যেকটা দেয়ালে মার্মুখী আয়না লাগিয়ে আমি দেখছি
কয়েকটা ন্যাংটো মলয়কে ছেড়ে দিয়ে তার অপ্রতিষ্ঠ খেয়োখেয়ি


হাংরি বুলেটিন


গুগলের দস্তাবেজ অনসন্ধান করে খুজে পাওয়া কবিরের অনুলিপি - নিজেকে ভাগ্যবান অনূভব করছি


থাকুক চেতনা জাগ্রত, থাকুক |
কাকে ?
তোকে!!?
নয় ?
নিশ্চয়ই আমাকে!
থাকুক চেতনা জাগ্রত ;
থাকুক অনুভূতি, বোধ, তুলোর শরীর
মনির কোটরে সাপ, জাগ্রত থাকুক;
তারার দিকে লক্ষ্যভেদের তীর
অব্যর্থ ছোবল, রোদের শরীর,
অক্ষত থাকুক;
থাকুক চেতনা জাগ্রত,
থাকুক ।


শব্দ; ভেঙ্গে পড়ে কাঁচের মতো

বিলুপ্ত স্মৃতির ভেতর থেকে গেছে কাঁচ ভাঙ্গার শব্দ
শব্দ আয়নায় স্বশব্দ ঢেউ ওঠে
ভেঙ্গে পড়ে কাঁচের মতন
ঝনঝন শব্দের ঘোর ভরে দ্যায় মননের সাদাখাতা
আয়নায় তাকিয়ে দেখি কার যেন প্রতিবিম্ব
টুকরো টাকরা শব্দের জিগ্স পাজলে বিছিন্ন


’তুমি’’ একটি দ্বিপাক্ষীয় প্রশ্নবিদ্ধ শব্দ

তুমি ছিলে আমার সাথে
তাই ‘আমরা’
তুমি ছিলে তার সাথে
তাই ‘তোমরা’
তুমি বললে এই আমি দ্বিপাক্ষীক হলে
‘সে’ কেন দ্বিপাক্ষীয় হবেনা ?
ভেবে দেখলাম ;
প্রশ্নটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক এবং যৌক্তিক
তবু ‘তুমি’ আমার সাথে যতটা সম্পৃক্ত
‘সে’ তো তা নয় ।

মানুষ! একথা নির্দিধায় বলতে পারি

কথারা তো অন্তরালেই থাকে
শ্রবণ ছিল একটুকু গোপন
এই অনুভব খানিক ভবঘুরে
বিপনন ও বন্ধ ছিল তাই
মানুষ হচ্ছি বলছি নির্দিধায়



যদি পারো ফেলে দাও অর্থহীন শব্দের ভার

ভেঙ্গে যাওয়ার পরে
যা থাকে তা আবার ভেঙ্গে গেলে
তাকে কি বলে ?
ভেঙ্গে যাওয়ার ও পরে !
এ যদি ভাঙ্গায় হবে তবে কাকে
বলে গড়া ?
প্রায়গিক শব্দের খেলা ?
তবে কেন শুধু শুধু ওকে
আর অভিধানে রাখা
যদি পারো ফেলে দাও
অর্থহীন শব্দের ভার





ভাবছি কিছু টাকা কিনব

আমার কাছে কিছু শব্দ আছে
একেবারে আনকোরা
ভাবছি শব্দগুলো দিয়ে
কিছু টাকা কিনব |



এইভাবে নিজেকে খুঁজে দেখা আমার অন্তর্গত

কেউ এসেছিল ! কে ও কেন ?
এই অর্থবোধক প্রশ্ন আমাকে একটি সম্পর্কের কিনারায় নিয়ে যায়
ভাবতে থাকি কে ও কেন ?
যেহেতু আসা যাওয়ার রয়েছে নিজস্ব পরিচিতি;
তবু ভাবি কাউকে, কাউকে; চেহারা আর সম্পর্কের আদল
এইভাবে নিজেকে খুঁজে দেখা আমার অন্তর্গত ।
ভাবছি দূর থেকে দূরে দেখবো
কাছ থেকে দূরে, দূর থেকে কাছে
উলট পালট

আমরা তোমাকে বিয়ে করতে চাই!!!!

আমরা তোমার কাছে যাচ্ছি অনেকদিন ধরে
তুমি টের পাচ্ছনা;
আমরা অনেকের কাছে যাচ্ছি অনেকদিন ধরে
তুমি দেখতে পাচ্ছনা;
আমরা তোমাকে ভালবাসছি অনেকদিন ধরে
তুমি বুঝতে পারছনা;
আমরা অনেককে ভালবাসছি অনেকদিন ধরে
তুমি শুনতে পাচ্ছনা ;

একটি অনভ্যস্ত ণৈশ প্রক্ষেপণ !!!

এখন চলে আয়, এখনই চলে আয়, এরকম আহবান থেকে আমি পথে নামি
এখন পরিবেশ শান্ত ও স্থির, শহরে টহল দিচ্ছে জলপাই পোশাক, আমি যখন দুধের আলোর নিচে পৌঁছাই
তখন চারপাশটা প্রায় জনশূণ্য ; লাইব্রেরীর প্রলম্বিত অংশে চারজন তরুণ আমি সহ পাঁচে পরিণত হই , দুধেল আলোয় বিচ্ছুরিত ঊপাংশগুলি চারপাশটাকে বিম্বিত করছিল একথা ঠিক যে ঊপাংশরা প্রত্যাখ্যাত হয়নি এবং যথার্থ ভাবে বিম্বিত হয়েছিল | আমি আমার মুখভঙ্গি , পরিচ্ছদ ও শব্দের প্রয়োগে সন্তুষ্ট ছিলাম | সঠিক শব্দের অফুরন্ত সরবরাহ আমার উপস্থিতিকে প্রদর্শকের ভূমিকায় প্রতিষ্ঠা করে , আমাদের মধ্যে একটি নিঃশব্দ প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে যায় আর আমরা দুধেল আলোর অতি বাস্তবতায় আরও খানিকটা কাছাকাছি হই, আমাদের বন্ধন পোক্ত হতে থাকে যদিও আমরা যথার্থ অর্থেই বন্ধু আর মানবিক সম্পর্কে আবদ্ধ শুধুমাত্র এই কারনেই আমি কিছুটা দূরে একাকী নির্জন স্থানে বসে থাকা একটি মেয়েকে বিরক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিই, সিদ্ধান্তটি আমার কাছে যথার্থ বলে প্রতীয়মাণ হয় |
জনশুন্যতার চিত্রটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে আর আমরা লাইব্রেরীর প্রলম্বিত জায়গাটি ছেড়ে দেবার প্রস্তুতি নিতে থাকি ; এরপর আমি ও আমার প্রজ্ঞাবান বন্ধুটি একটি ত্রিচক্রযানে উঠে পড়ি, রাস্তাঘাট শূণ্য , আর আমরা পথভ্রষ্ট ছিলাম না ; আমাদের গন্তব্য সুনির্দিষ্ট ছিল, আমাদের ত্রিচক্রযানের মাণবিক ইঞ্জিন সতস্ফুর্তভাবে আমাদের সহায়তা করছিল| প্রজ্ঞাবান বন্ধুটির বাড়িতে একজন অতিমানবের উপস্তিতি আমাদেরকে খানিকটা স্তিতিতর করে তোলে যদিও আমরা জানতাম যে এই অতিমানব আমাদেরকে খানিকটা মানসিক প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন , আমি ও আমার বন্ধুটি এই অতিমানবের শব্দবাণ থেকে নিজেদের রক্ষার্থে একটি মীমাংসায় উপনীত হই | আলাপচারিতা শেষ হলে তিনি আমাদেরকে একটি উন্নত আলোক প্রক্ষেপণের কৌশলী ছায়াছবির প্রস্তাব করেন | এতে আমরা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাই ও মনোযোগী হই ; স্বল্প সময়েই আমরা কেন্দ্রীয় চরিত্রে অধিষ্টিত অতিমানবকে সনাক্ত করতে সমর্থ হই; প্রক্ষেপণটি যথেষ্ট জটিল আর কৌশলী হওয়ায় আমাদেরকে মনোযোগী হতে হয় এতে আমি নির্লিপ্ত আর নির্বাক হয়ে উঠি আর প্রকৃত বার্তা উপলব্ধিতে ব্যর্থ হই; একটা সময়ে আমরা সকলেই উপলব্ধি করি যে আমাদের বিচ্যূত হওয়ার সময় অভ্যাগত এমত আমরা বিচ্যূত হই বিচ্ছিন্ন হতে হতে পরিপূর্ণ বিযুক্ত হই এবং প্র্যাতহিক মৃত্যুর প্রস্তুতি নিতে থাকি|

কবির সম্পর্কে কবি'র নোট ঃ আহমেদুল হক কবির ( নাকি আহমেদুল কবির ? ) আমার বন্ধু - কবি... আমার এই ছোট্ট জীবনে অনেক মানুষ দেখেছি - ভালো কবিতা রচনা করতে পারে; কিন্তু প্রায় বিশুদ্ধ কবির জীবন যাপন করতে দেখেছি আমার সময়ের একজনকেই - আহমেদুল কবির কে - যার চিন্তা-ভাবনা পরিষ্কার এবং বৈজ্ঞানিক পন্থায় চালিত হয় - অবলিলায় !



০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৩৮








A Dog Has Died

Pablo Neruda




My dog has died.
I buried him in the garden
next to a rusted old machine.


Some day I'll join him right there,
but now he's gone with his shaggy coat,
his bad manners and his cold nose,
and I, the materialist, who never believed
in any promised heaven in the sky
for any human being,
I believe in a heaven I'll never enter.
Yes, I believe in a heaven for all dogdom
where my dog waits for my arrival
waving his fan-like tail in friendship.


Ai, I'll not speak of sadness here on earth,
of having lost a companion
who was never servile.
His friendship for me, like that of a porcupine
withholding its authority,
was the friendship of a star, aloof,
with no more intimacy than was called for,
with no exaggerations:
he never climbed all over my
filling me full of his hair or his mange,
he never rubbed up against my knee
like other dogs obsessed with sex.


No, my dog used to gaze at me,
paying me the attention I need,
the attention required
to make a vain person like me understand
that, being a dog, he was wasting time,
but, with those eyes so much purer than mine,
he'd keep on gazing at me
with a look that reserved for me alone
all his sweet and shaggy life,
always near me, never troubling me,
and asking nothing.


Ai, how many times have I envied his tail
as we walked together on the shores of the sea
in the lonely winter of Isla Negra
where the wintering birds filled the sky
and my hairy dog was jumping about
full of the voltage of the sea's movement:
my wandering dog, sniffing away
with his golden tail held high,
face to face with the ocean's spray.


Joyful, joyful, joyful,
as only dogs know how to be happy
with only the autonomy
of their shameless spirit.


There are no good-byes for my dog who has died,
and we don't now and never did lie to each other.


So now he's gone and I buried him,
and that's all there is to it.






Translated, from the Spanish, by Alfred Yankauer

লোরকার কবিতা-কাঠুরিয়

আহ্ কাঠুরিয়া
আমার ছায়াটাকে
কেটে ফেলো তুমি
চৌদিকে আয়না সাজিয়ে
কেন জন্ম হলো আমার
নিজেকে নিয়ত দেখার এই অত্যাচার থেকে বাচাঁও, বাঁচাও আমাকে।




প্রিয় কার্টুন চরিত্রদের জন্ম ইতিহাস

টিনটিনের স্রষ্টা জর্জ রেমি (হার্জ)







বেলজিয়ামের আকিয়ে জর্জ রেমি দুর্দান্ত আঁকেন। তিনি ১৯২৬ সালে একটি দুঁদে গোয়েন্দা চরিত্র সৃষ্টি করে তাকে নিয়ে কমিকস তৈরি করলেন। চরিত্রটির নাম দিলেন টোটর। তাকে নিয়ে ৪-৫টি কমিকস বইও বের হলো। কিন্তু ১৯২৯ সালে তিনি চরিত্রটিকে আরেকটু ঘষামাজা করে আরও আকর্ষণীয় করে তুললেন। আর নামও পাল্টে দিলেন। আর তাতেই আমরা পেলাম বিশ্বজোড়া খ্যাতিসম্পন্ন গোয়েন্দা টিনটিন।


নীল-সাদা সোয়েটার আর খয়েরি প্যান্টের এই ক্ষুদে সাংবাদিক ঘুরে বেড়ায় বিশ্ব জুড়ে। তার সঙ্গী হচ্ছে ছোট্ট কুকুর স্নোয়ি। কি, নামটা চিনতে পারলে না তো? চিনবে কি করে , তোমরা তো তাকে চেন কুট্টুস নামে। পৃথিবীর একমাত্র কথা বলিয়ে কুকুর।


টিনটিনের আরেক সঙ্গী হলেন ক্যাপ্টেন হ্যাডক। তিনি হচ্ছেন একজন অবসরপ্রাপ্ত মাতাল নাবিক। একটু বোকা আর বদমেজাজীও বটে। রেগে গেলে খুবই হাস্যকর গালাগালি করেন। এই যেমন টর্নেডো, টাইফুন, শুয়োপোকা, বিষফোঁড়া এইসব।


আরেকজন আছেন প্রফেসর ক্যালকুলাস। খুবই জ্ঞানী মানুষ। তবে কানে শোনেন কম। টিনটিন এদের নিয়ে , কখনোবা একা একাই বেরিয়ে পড়ে অভিযানে। টিনটিনের প্রতিটি কাহিনীতেই থাকে রহস্যভরা টানটান উত্তেজনা আর দুর্দান্ত অ্যাডভেঞ্চার। আর এর ফাঁকে মজার মজার ঘটনা তো আছেই। আর এই কারণে বিশ্বের অনেকদেশেই শিশু-কিশোরদের কাছে জনপ্রিয় কমিকস সিরিজ টিনটিন। এ পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ৩০টি ভাষায় টিনটিন প্রকাশিত হয়েছে।


রোমানদের আতঙ্ক অ্যাসটেরিক্স-অবেলিক্স



রোমান সাম্রাজ্য তখন সমগ্র ইউরোপ দখল করতে বসেছে। তাদের নেতৃত্বে আছেন জুলিয়াস সিজার। ইউরোপ দখল করা প্রায় শেষ, শুধু একটি ছোট গ্রাম দখল করা বাকি। সেটা হলো গলদের গ্রাম। গলেরা জাতি হিসেবে খুবই শান্তিপ্রিয়। খায়-দায়, গানবাজনা করে, জঙ্গলে শিকার করে বেড়ায়। তবে সমস্যা একটাই, সামনে রোমান সৈন্য পেলেই ইচ্ছেমত পেটায়। রোমানরা তাই ঐ গ্রামটাকে বেশ ভয় পায়। বিশেষ করে সেখানকার দুই বাসিন্দা, অ্যাসটেরিক্স আর অবেলিক্সকে।


অ্যাসটেরিক্স ছোটখাট মানুষ, তবে বেশ ভালো যোদ্ধা। আর জাদুর পানীয় খেলে তার শরীরে এসে যায় হাজার হাতির শক্তি, কেউই তাকে আর আটকাতে পারে না। অপরদিকে অবেলিক্স হচ্ছে বিশালদেহী এক পেটুক। আস্ত শুকর ফ্রাই সে এক লহমায় খেয়ে ফেলতে পারে। সে সারাক্ষণই সঙ্গে করে একটা অতিকায় পাথর নিয়ে বেড়ায়। যাকে পায় তাকেই শুভেচ্ছা জানিয়ে উপহার হিসেবে পাথরটা ধরিয়ে দেয়। আর রোমান সৈন্য পেলে তো ধরেই মার। অ্যাসটেরিক্সের মত তার জাদু পানীয় খেতে হয় না। ছোটকালে ভুলে সে একবার জাদু পানীয়ের পাত্রে পড়ে গিয়েছিল, সেই থেকে তার এমনিতেই অনেক শক্তি। এই দুজনের নানা মজার কান্ডকীর্তিকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে অ্যাস্টেরিক্স ও অবেলিক্স কমিকস সিরিজটি।


১৯৫৯ সালে ‘পিলোটি’ নামে ফ্রান্সের একটি ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়। সেটার প্রথম সংখ্যায় রেনে গসিনি নামের এক ভদ্রলোক ‘অ্যাসটেরিক্স’ নামের মজার চরিত্রটি প্রথম তৈরি করেন, আর সেটার ছবিগুলো এঁকে সেটাকে পুর্ণাঙ্গ কমিকসে পরিণত করেন ইউদারজো নামের আরেক নামী আর্টিস্ট। কিন' ১৯৭৭ সালে গসিনি মারা যাবার পর ইউদারজো একা একাই শুরু করলেন অ্যাসটেরিক্স-এর কাজ। এই দুজনের কলম ধরে অ্যাসটেরিক্স-অবেলিক্স ঘুরে বেরিয়েছে মিসর, আমেরিকা, ভারত, আফ্রিকাসহ পুরো ইউরোপ। মজার মজার কাণ্ডকীর্র্তি আর সংলাপে ভরপুর এই কমিকস কিন্তু ছেলে-বুড়ো সবারই মন জয় করেছে।


রিভারডেল হাইস্কুলের ছাত্র আর্চি





আর্চির পুরো নাম আর্চি অ্যান্ড্রুস। তার জন্ম ১৯৪১ সালে হলেও সবসময়ই তার বয়স ১৭ বছর। সে রিভারডেল নামের এক শহরে থাকে, পড়েও রিভারডেল হাইস্কুলে। তার দুই সহপাঠী বান্ধবী- ভেরোনিকা আর বেটি। এরা সবসময়ই নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে, সবসময়ই আর্চিকে দখলে রাখতে চায় ;) । দুজনের টানাটানিতে বেচারা আর্চির ত্রাহি মধূসুদন অবস্থা।


আর্চির আরেক বন্ধু আছে, সে হলো জাগহেড, বাংলা করলে এর মানে দাঁড়ায় যার মাথা জগের মত। কিন্তু জাগহেডের মাথা মোটেই জগের মত না, বরং সে সবসময় মাথায় একটা কিম্ভুত টুপি পড়ে থাকে, আর হাতে সবসময় বার্গার নয়তো স্যান্ডউইচ থাকে। বুঝতেই পারছেন কেমন পেটুক সে।


আর্চির আঁকিয়ে বব মন্টানা। তিনি সেই ৭ বছর বয়স থেকে আঁকতে পছন্দ করতেন। ক্যারিয়ারের প্রথমদিকে তিনি পোস্টার আঁকলেও পরে কমিকস এঁকে বিখ্যাত হন।




ফ্যান্টমের বয়স ৪৫০ বছর



‘ফ্যান্টম’ শব্দের মানে হল অশরীরী। এই কমিকসের নায়কের কাজকর্মও ভূতের মতই। সে থাকে আফ্রিকার গহীন জঙ্গলে, আদিবাসী পিগমিদের সঙ্গে। মানুষ মনে করে ফ্যান্টমের মৃত্যু নেই, প্রায় ৪৫০ বছর ধরে সে অমর।


আসল ঘটনা একটু অন্যরকম। ৪৫০ বছর আগে আফ্রিকার উপকূলে একটি জাহাজে জলদুস্যরা আক্রমণ করে। প্রচন্ড লড়াইয়ে সবাই মারা গেলেও বেঁচে যায় জাহাজের মালিকের ছেলে ক্রিস্টফার ওয়াকার। সে তখন তার বাবার হত্যাকারীর খুলি ছুঁয়ে শপথ নেয়, সে সারাজীবন অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে, তার বংশধররাও এই একই পথ অনুসরণ করবে। সেই থেকে শুরু। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তার বংশধররাও এই একই পথ অনুসরণ করে আসছে। কিন্তু সবাই মনে করে ফ্যান্টম একজনই, সে অমর। আসল ঘটনা জানে শুধু জংলীরা।


ফ্যান্টমের জনক লী ফক। ১৯৩৯ সালের ২৮ মে থেকে এই কমিকসের শুরু। লী ফক যখন খুব ছোট ছিলেন তখন তার চোখের সামনে একটি ছিনতাই-এর ঘটনা ঘটে। তখন থেকেই তিনি চিন্তা করেন, যদি এমন কেউ থাকত, যে কিনা সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বে। এ থেকেই তার মাথায় আসে ফ্যান্টমের ধারণা।


ফ্যান্টম থাকে একটি বিচিত্র খুলি আকৃতির গুহায়। সেখানে আছে ধনসম্পদের এক বিশাল ভান্ডার। আর তার প্রতীক হচ্ছে মড়ার খুলি।


বর্তমান কমিকসগুলি ফ্যান্টমের ২১ তম বংশধরের কাহিনী নিয়ে। তার নাম কিট ওয়াকার। সে যেমন শক্তিশালী, তেমনই অস্ত্রবিদ্যায় পারদর্শী। সে যেমন জঙ্গলে দুষ্টের দমন করে, তেমনি বাইরের বিশ্বেও ঘুরে বেড়ায়।


প্রথম দিকের কমিকসগুলি সাদাকালো ছিল, তাই জামার রং নিয়েও কারো মাথাব্যথা ছিল না। এখন সাধারনত তার আটসাট জামাটির রং বেগুনি বলে মেনে নেয়া হলেও স্ক্যান্ডিনিভিয়ায় নীল, ইটালি, তুরস্ক, ব্রাজিলে লাল এবং নিউজিল্যান্ডে বাদামী রং-এ দেখানো হয়।


লী ফক ‘ফ্যান্টম’ ছাড়াও আরও একটি জনপ্রিয় কমিকসের জনক, সেটি হলো জাদুকর ম্যান্ড্রেক। ম্যান্ড্রেক একজন অত্যন্ত ঝানু একজন জাদুকর, সে তার জাদুর বলে অনেক বদমাশকে ধরিয়ে দেয়।


বাংলা কমিকস নন্টে-ফন্টে





পশ্চিমবঙ্গের এক মফস্বল শহরের বোর্ডিংহাউস। অনেকের সঙ্গে সেখানে ১৫-১৬ বছরের দুটি ছেলে থাকে। পড়ালেখার পাশাপাশি তাদের বুদ্ধিদীপ্ত কাজ সবাইকে বেশ আনন্দ দেয়। তবে তাদের শত্রু একজনই। তার নাম কেল্টু। সবাই ডাকে কেল্টুদা।


এতক্ষণে নিশ্চই বুঝে ফেলেছ কাদের কথা আমরা বলছিলাম। এরা হলো তোমাদের অতি পরিচিত নন্টে আর ফন্টে। এদের মাথায় সব সময় দুষ্টমি বুদ্ধি গিজগিজ করে। তবে তা কখনো কারো অমঙ্গল করার জন্য নয়। এমনি মজা করার জন্য। কিন্তু কেল্টুটা খুব বদ। সে খুবই লোভী। সবসময় নন্টে-ফন্টের খাবার চুরি নয়তো বিভিন্নভাবে তাদেরকে বোর্ডিং-এর সুপারিন্টেন্ডেন্ট স্যারের কাছে ধোলাই খাবার ব্যবস্থা করে। প্রায়ই সফল হলেও শেষমেষ নিজের গর্তে সে নিজেই পড়ে। তবে ছাত্র হিসেবে সে খুবই খারাপ। সে একই ক্লাসে পরপর ছয়বার ফেল করেছে।


নন্টে-ফন্টের স্রষ্টা নারায়ন দেবনাথ। প্রথমে এটি মাসিক পত্রিকা ‘কিশোর ভারতী’-তে ধারাবহিক কমিকস আকারে ছাপা হলেও পরবর্তীতে তা বই আকারে বের হয়। নন্টে-ফন্টে ছাড়াও তিনি আরো যে সব মজার মজার চরিত্র সৃষ্টি করেছেন সেগুলো হল ‘বাটুল দ্যা গ্রেট’ এবং ‘হাদা-ভোদা’। আর নন্টে-ফন্টে সর্বপ্রথম রঙ্গিন আকারে বের হয় ২০০৩ সালে। তখন নন্টের শার্টের রং হয় কমলা আর ফন্টের শার্টের রং হচ্ছে নীল। পোশাকে যাই পার্থক্য থাক না কেন, তাদের আচার-আচরণে খুবই মিল। তারা যা চিন্তা করে, একই সঙ্গে চিন্তা করে। তাদের চেহারাতেও বেশ মিল রয়েছে। শুধু একটাই অমিল সেটা হচ্ছে চুলে। নন্টের চুলের সামনেটা বেশ চোখা আর তার পেছন দিক দিয়ে একটা টিকলির মতো অংশ বের হয়ে থাকে। অন্যদিকে ফন্টের চুল ছোট ছোট।


নন্টে-ফন্টে কমিকসের আরেকটি মজার চরিত্র হচ্ছে সুপারিন্টেন্ডেন্ট স্যার। তিনি বেশ মোটা এবং মাথায় টাক। বেজায় অলস এবং খেতে ভালোবাসেন। বোকামি করে কেল্টুকে তিনি বিশ্বাস করলেও পরে আবার তাকে ধরেই ইচ্ছেমত পিটুনী দেন। যারা নন্টে-ফন্টে পড়েছ তারা তো জানোই তার পিটুনী দেয়ার পদ্ধতিগুলো কত মজার।




নোট ঃ এইটা রীতিমতো একটা কপি-পেষ্ট পোষ্ট - বিডিনিউজ এর কিডজ পাতা থেকে। পড়ে আমার ভাল্লাগছে, তাই অন্যদের জন্যে শেয়ার করলাম। কারো বিরক্তি উৎপাদন করলে দুঃখিত।














উইনি দ্যা পু এবং উইনির গাধা




উইনি দ্যা পু
ওয়াল্টার ডিজনির একটা ক্যারেক্টার।





উইনির একটা গাধা আছে, সব সময় তার মন খারাপ থাকে






কারণ তার ভাগ্য খারাপ !


সব সময় কেন যেন শুধু তার মাথার উপরেই একখন্ড মেঘ ঝুলে থাকে ! সেই মেঘ থেকে আবার কথা বার্তা ছাড়া মাঝে মধ্যেই বৃষ্টি পরে তাকে ভিজিয়ে দিয়ে যায়।





সব সময়ই দেখা যায় সবুজ প্রান্তরে সবাই ঝকঝকে মিষ্টি রোদ উপভোগ করছে...তার ভেতরে এক পশলা বৃষ্টি অনিবার্যভাবে একমাত্র উইনির গাধাটাকেই ভিজিয়ে দিয়ে যায় !!!





নিজেকে উইনির গাধার মতোই লাগে !


শুধুমাত্র আমার ভাগ্যেই কেন যেন ভাগ্য খারাপ পরে !!!




আদি ও অকৃত্রিম সুকুমার রায়

হাঁস ছিল সজারু, (ব্যাকারণ মানি না),
হয়ে গেল "হাঁসজারু" কেমনে তা জানি না।


undefined


বক কহে কচ্ছপ - "বাহবা কি ফুর্তি !
অতি খাস আমাদের বকচ্ছপ মূর্তি।"





টিয়ামুখো গিরগিটি মনে ভারি শংকা-
পোকা ছেড়ে শেষে কিগো খাবে কাঁচা লংকা?





ছাগলের পেটে ছিল কি জানি কি ফন্দি,
চাপিল বিছার ঘাড়ে, ধড়ে মুড়ো সন্ধি !





জিরাফের সাধ নাই মাঠে ঘাটে ঘুরিতে.
ফরিঙের ঢং ধরি' সেও চায় উড়িতে।





গরু বলে, "আমারেও ধরিল কি ও রোগে?
মোর পিছে লাগে কেন হতভাগা মোরগে ?"





হাতিমির দশা দেখ, - তিমি ভাবে জলে যাই,
হাতি বলে, "এই বেলা জঙ্গলে চলো ভাই।"





সিংহের শিং নেই, এই তার কষ্ট-
হরিণের সাথে মিলে শিং হল পষ্ট।




সুকুমার রায় কে বলা হয় ননসেন্সে'র জগতের একাধিপতি - যদিও আমি তা মানতে রাজি নই... সুকুমার রায়ের যে ছড়াটা আমি সবচেয়ে বেশি বার পড়েছি (আবৃত্তি করতে গিয়ে) সেইটা হলো "খিচুরি"। তো এই ছড়াটা কি আপনার কাছে ননসেন্স মনে হচ্ছে? এই ২০১০ সালে দাড়িয়ে ? (যখন লেখা হয়েছিল তখন অবশ্য ননসেন্স মনে হওয়াই স্বাভাবিক ছিল - সাধারণ মানুষ তো আর কবি-শিল্পিদের মতোন ভবিষ্যত দ্রষ্টা নন)... এখন এই ২০১০ সালে এসে রিমিক্স গান ছাড়া কোন আসরটা জমে? একটার সাথে আরেকটা গানের ধড়ে মুড়ো সন্ধি হয়ে কি সব চমৎকার চমৎকার যুগ-জয়ী সংগীত তৈরী হচ্ছে (যুগ-জয়ী গান নয় - রিমিক্সে'র ক্ষেত্রে গানটা সাধারণত পুরাতন গানই বেশি প্রেফার করা হয়)...

নোট ঃ এই পোষ্টে ব্যাবহৃত প্রতিটি স্কেচই আদি ও অকৃত্রিম সুকুমার রায়ের করা।





সবচেয়ে দীর্ঘ এক মিনিট

সবচেয়ে দীর্ঘ এক মিনিট,
তার চিন্তা
খন নানা কারণেই মাঝে মাঝে শোকপ্রস্তাব নিতে হয়। এক জন কেউ এক মিনিট নীরবতা পালনের প্রস্তাব করেন, সবাই উঠে দাঁড়ায়, সামনের দিকে হাত, দৃষ্টি মাটির দিকে। পৃথিবীতে এ রকম লম্বা এক মিনিট আছে কি না সন্দেহ। অনেকেই আড় চোখে বার বার ঘড়ি দেখে নেয়।
এই এক মিনিটে মানুষ কী ভাবে? ঘোষণা করা হয় যে সদ্য মৃত এক জন বা কয়েক জনের পরলোকগত আত্মার শান্তির উদ্দেশে... আমার মুশকিল হচ্ছে, আমি তো পরলোকে বিশ্বাস করি না। পরজন্ম বলে কিছু নেই। স্বর্গ-টর্গ সবই সুমধুর কল্পনা মাত্র। এই পৃথিবীতে শেষ নিশ্বাস ফেলা মানেই চরম শেষ, সে আর কোথাও নেই। আত্মার অস্তিত্বেও আমি বিশ্বাস হারিয়েছি অনেক কাল আগে। আত্মাও মুনি-ঋষি, দার্শনিকদের মনগড়া একটা ব্যাপার, মৃত্যুর পর মানুষের শরীর থেকে কিছুই বেরিয়ে যায় না। ঈশ্বরের অস্তিত্বও স্বীকার করার কোনও কারণ নেই, বিগ ব্যাং ঘটেছে প্রাকৃতিক কারণে, তার আগে সময়েরও অস্তিত্ব ছিল না, সময়ও ছিল না? কী সাঙ্ঘাতিক কথা!
অনেকের হৃদয়ে ভক্তি ও বিশ্বাসে এক জন ঈশ্বর আছেন, যিনি শুধুমাত্র এই ছোটখাটো পৃথিবীটা চালান, যিনি পেটের অসুখ সারিয়ে দেন, পরীক্ষায় পাশ করান, যাঁর নামে কান্নাকাটি করে বহু মানুষ বিপদে বা দুঃখের দিনে সান্ত্বনা পায়। এই ঈশ্বরের অধীনে একটা চমৎকার স্বর্গ আছে, নরকও আছে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, সব ধর্মেই তো আলাদা আলাদা ঈশ্বর, অথচ ধর্মগুলি একেশ্বরবাদী। সেই একাধিক ঈশ্বর স্বর্গে বসে নিজেদের মধ্যে কখনও বিবাদ করেন কি না জানি না, তবে পৃথিবীতে তাঁদের ভক্তরা বীভৎস হানাহানি করেছে বহুবার। এখন মহাকাশের মানচিত্র যতটা পাওয়া গেছে, তাতে আমাদের এই প্রিয় পৃথিবীকে আলাদা করে রাখার কোনও উপায় নেই। পৃথিবীটা একটা অতি সামান্য গ্রহ, সূর্যও নিতান্তই এক ছোটখাটো নক্ষত্র, আরও কোটি কোটি গ্রহ-নক্ষত্র রয়েছে এই মহাবিশ্বে, তাদের মধ্যে বড়সড় যে-কোনও একটিই একশোটা পৃথিবীর সমান। একই জন্মলগ্নের পর এরা ছুটছে আবার পরস্পরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সে ছবি দেখলে খানিকটা আতঙ্কই হয়, এত লক্ষ কোটি গ্রহ-নক্ষত্রের জন্ম হল কেন, কী উদ্দেশ্যে? তারা কি ছুটে যাচ্ছে ধ্বংসের দিকে? মাঝে মাঝে রাক্ষসের মতন ব্ল্যাক হোল, যারা কাছাকাছি কোনও গ্রহ-তারকা পেলেই কপাত করে গিলে ফেলে, এমনকী আলোর রশ্মিরও নিস্তার নেই। গ্রহ-নক্ষত্র ছাড়াও অনেক বড় বড় ঢেলা ঘুরে বেড়াচ্ছে মহাকাশে। তাদের কয়েকটা যদি ছুটে এসে আছড়ে পড়ে এই পৃথিবীতে, তা হলেই আমাদের লীলাখেলা শেষ, কোনও ঈশ্বরই আমাদের বাঁচাতে পারবেন না বোধহয়। একবার তো হয়েছিলও তা-ই, যখন পৃথিবীতে ডায়নোসরের মতো বিদঘুটে বড় আকারের প্রাণীরা রাজত্ব করত, এক ঝাঁক উল্কার আঘাতেই তারা সব শেষ। ডায়নোসরদের কোনও ঈশ্বর ছিলেন না সম্ভবত।
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণ অনুষ্ঠান। নন্দন, ১২ এপ্রিল, ১৯৯৫
সভাপতি বললেন, এক মিনিট শেষ, আপনারা বসুন। এই এক মিনিটের মধ্যে আমি এত সব ভেবে ফেললাম?
কোনও কোনও শোকপ্রস্তাবের সময় দেখেছি, যিনি প্রস্তাবক, তিনি এক মিনিট নীরবতার কথা বললেও নিজেই অধৈর্য হয়ে পঁয়তাল্লিশ সেকেন্ড হতেই ইঙ্গিত করেন যে, সময় পূর্ণ হয়ে গেছে। অর্থাৎ, ওই সব শোক প্রস্তাবক পনেরো সেকেন্ড সময় চুরি করে নেন। যাঁরা শোকপ্রস্তাবে নত মস্তকে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাঁরা কি ওই সুদীর্ঘ ষাট সেকেন্ড শুধু মৃতদের আত্মার শান্তির কথাই ভাবেন, না কি এ সব নেহাতই এক বিলিতি প্রথার অনুকরণ! আমার দৃঢ় ধারণা, ওই সময় অনেক সাহেবের মাথাতেও অনেক কুচিন্তা (অন্য যে-কোনও চিন্তাই কুচিন্তা) এসে যায়।
কলেজজীবন থেকেই আমি নাস্তিক। কী করে হলাম, তা জানি না। সম্ভবত ধর্মের নামে দাঙ্গা ও রক্তপাত দেখেই। সত্যি কথা বলতে কি, প্রত্যেকটা ধর্মই বেশ কিছুটা ভণ্ডামির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। হিন্দুরা মূর্তি পুজো করে বলে খ্রিস্টানরা কত গালাগালি দিয়ে গেল, কিন্তু তারাও তো গির্জায় গিয়ে যিশু কিংবা মেরি-র মূর্তির সামনে মোমবাতি জ্বালায়, অনেকে সেখানে প্রার্থনা করে, কাঁদে। মূর্তিপূজার সঙ্গে এর কী তফাত? ইসলাম অতি উচ্চাঙ্গের ধর্ম, সেখানে কোনও মূর্তি কিংবা ছবিরও স্থান নেই। খ্রিস্টধর্মে যেমন যিশু-মেরি ছাড়াও অনেক সন্তের মূর্তি গির্জাগুলিতে শোভা পায় (ক্যাথলিকদের কথাই বলছি, পৃথিবীতে এখনও তাদেরই সংখ্যাধিক্য), ইসলামে স্বয়ং পয়গম্বর ছাড়া আর কোনও সন্ত নেই। আল্লা নিরাকার। আমার মাথায় অনেক দিন ধরেই একটা প্রশ্ন ঘোরে, বিশ্বের কোটি কোটি ইসলামধর্মী প্রার্থনার সময় কি শুধু সেই নিরাকারের কথাই কল্পনা করে? তাই যদি হয়, তবে তার জন্য কী দারুণ চিত্তশুদ্ধি দরকার!
আমার এক শুভার্থী বন্ধু এক বার বলেছিল, তুই খামোখা নাস্তিক হতে গেলি কেন? প্রত্যেক ধর্মেই কত উৎসব হয়, তুই কোনও উৎসবের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারিস না। নাস্তিকরা নিঃসঙ্গ। যেহেতু এটা কোনও ধর্ম নয়, তাই এদের মিলিত হওয়ার কোনও জায়গাও নেই।
আমি তাকে বলেছি, কোনও ধর্ম কিংবা ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাসী না হয়েও, এবং জ্ঞানত কারও কোনও ক্ষতি না করেও তো পৌনে একটা শতাব্দীরও কিছু বেশি বছর তো দিব্যি কাটিয়ে গেলাম এই পৃথিবীতে। কোনও অসুবিধে তো হল না। অবিশ্বাসীদেরও পূর্ণ জীবন কাটাবার অধিকার আছে। আর অবিশ্বাসী হলেও উৎসবে যোগ দিতে তো কোনও বাধা নেই। ক্রিসমাসের সময় কত হুল্লোড়ে যোগ দিয়েছি এক সময়, একবার মধ্যরাতের পর সেন্ট পল্স ক্যাথিড্রালের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলাম, কী সুন্দর ভাবগম্ভীর দৃশ্য দেখেছি। আর ঈদের সময় মুসলমান বন্ধুদের বাড়িতে গেছি বিরিয়ানি আস্বাদের লোভে। সবাইকে ঈদ মুবারক বলেছি। হিন্দুদের অনেক ধর্মীয় উৎসবে এখন ধর্ম প্রায় বিলীন হয়ে উৎসবটাই আসল হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে নিজেকে মিশিয়ে দিতে কোনও বাধা নেই তো?
আমার কোনও ধর্মেই বিশ্বাস নেই বলেই আমি অপর কারও ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দেওয়ার কথা চিন্তাও করি না। ধর্মের ধ্বজাধারীরা যখন পারস্পরিক হানাহানিতে মেতে ওঠে, শিশুদেরও বাদ দেয় না, তখন যে ধর্মেরই হোক, নিহত জননী ও শিশুদের জন্য বড় কষ্ট হয়, বড় কষ্ট হয়। কোনও ধর্মেই এ রকম নির্দেশ নেই। অতি তুচ্ছ কারণে কিংবা জেদের বশে জীবনের এ কী অপচয়!
নাস্তিকেরা নিঃসঙ্গ শুধু নয়, তাদের নিজস্ব তেমন কোনও সাহিত্য নেই, সংগীত নেই। রাশিয়া কিংবা চিনের কথা জানি না, কিন্তু আমাদের দেশে ধর্ম ও ঈশ্বরবিশ্বাসীরা কত উচ্চাঙ্গের সাহিত্য রচনা করেছেন, কত গান, সে সবই আমি উপভোগ করি। কোনও কোনও গান শুনতে শুনতে হঠাৎ আমার চোখে জল এসে যায়। তখন আমার স্ত্রী সকৌতুকে আমার দিকে তাকালে তাঁকে বলি, কান্নার মতন আনন্দের আর কী আছে, বলো!
অল্প বয়েসে মনে হত, পৃথিবীতে যদি একটা ধর্ম থাকত, যার নাম ভালবাসা, তা হলে তো এখানেই স্বর্গ রচিত হতে পারত। এখন মনে হয়, তা হলে ভালবাসার কতই না কদর্থ হত। যাক, ভালবাসা নিয়ে বেশি হইচই করার দরকার নেই। ভালবাসা যত নিভৃতে রাখা যায় ততই ভাল।
আমার বিজ্ঞান-জ্ঞান যৎসামান্য, তবে কৌতূহল অনন্ত। সহজ করে লেখা মহাকাশবিজ্ঞানের বইগুলি আগ্রহের সঙ্গে পড়ি। একটা মজার ব্যাপার এই যে, ইদানীং অনেক বিজ্ঞানীর বইয়ের নামেই ‘গড’ শব্দটি জুড়ে দেওয়া হয়। তাতে নাকি পাঠকদের কৌতূহল চাঙ্গা হয়, বই ভাল বিকোয়। আমার হাতের কাছেই দু’টি বই রয়েছে, রিচার্ড ডকিনস-এর ‘দ্য গড ডিলিউশন’ আর পল ডেভিস-এর ‘গড অ্যান্ড দ্য নিউ ফিজিক্স’। এমনকী হিক্স বোসন নামে অঙ্ক থেকে জাত যে কণিকাটির বাস্তব অস্তিত্ব আছে কি নেই, তা নিয়ে প্রচুর গবেষণা চলছে, যেন মজা করেই তার নাম দেওয়া হয়েছে গড পার্টিকল! অনেক কাল আগে ব্রেখ্টের একটি ছোট কবিতা পড়েছিলাম। এটা একবার পড়লেই মুখস্থ হয়ে যায়
জানুয়ারি টেন
সিক্সটিন টেন
গালিলেয়ো গালিলি
অ্যাবলিশেস হেভেন!

মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১১

কুম্ভের জাতক


 
 
শুন্য এক

জলজন্মের স্মৃতি মগ্ন গভীরে-নীলে-নির্বাপিত
জাতকের গল্পের ভেতরের গল্পগুলোতে চিহ্ন সকল ছড়িয়ে রয়েছে, ছিটানো
জাতকের দলবল প্রতিবারই সেখানে খুজে পায় নতুন বার্তা- প্রত্নখননে

আমি গুরু জাতকের অনুচর নই, এই গুপ্তচরের দেশে
সহজ কথাটা সহজ করে না বললে বুঝতে পারি না।।


শুন্য দুই

ঘোড়ের ভেতরেই থাকতে চেয়েছিলাম-চাইছি-চাই
পারিনা, যাপিত জীবন স্বপ্নবর্জিত বাস্তব
তার নোংরা লেগে ওজু ভেঙ্গে যায়
অঘোরের ভাবে ভাব জাগলে পাপ লাগে





 http://www.facebook.com/note.php?note_id=10150245319013299
সকলে যেমন চাইছে আমাকে, দেখতে

রবিবার, ৫ জুন, ২০১১

সামহোয়্যারে সিনসিয়ারের ব্লগ

ব্লগে প্রকাশিত হযরত মামুন আব্দুল্লাহ্'র কবিতার সংকলন
 

 

ফুলের দোকান


ফুল কিনতে এলাম আমি ফুলের দোকানে
তার এক দোকানে হরেক ফুলের মেলা

তাঁর কয়টি বাগান আছে?




আমার লজ্জা করে


ভিক্ষা মাগি, যেচে খাই
আমার লজ্জা করেনা
আমার লজ্জা শরম নাই,
সিঁদ কাটিনা অন্যলোকের ঘড়ে
আমার লজ্জা করে শরম করে।

টোলের টেক্সট

ডানদিকে সমুদ্র আর বামে পাহাড়
উপরে মহাশুন্য আর পায়ের নিচে কংক্রিট
কোনপথ নিরাপদ ভয়শুন্য

কোনপথ নিরাপদ পানিশুন্য
কোন উতরাই অনায়াস
কোন উড্ডিন বাস্তব অযান্ত্রিকে
নিচে মাটি হলে তবু ভেদ করা যেতো
এতো কংক্রিট- দুর্ভ্যেদ্য

তবে কোনপথ নিরাপদ গমণের...


নতুন কবিতার খসড়া
 

চোখের অসুখ আমাকে দেখতে দেয়নি কোনদিন ভালো করে
সাতরঙ-নীলাকাশ-প্রজাপতি-মেঘরঙাফুল

অনেকের মুখে অনেক শুনেছি গল্পেরগাথা- দ্যাখা হয়নি-
কোনো কোনো দিনে নাকি পশ্চিমাকাশ হোসেনের রক্তে লাল হয়ে যায়,
পূর্ণিমার রাতে আকাশ আলো করে উড়ে যায় ঝাকেঝাকে সাদা বক,
মেয়েরা যখন রঙিন ফিতেয় চুল বেধে ঝলমল করে দলবেধে
ইসকুলে যায় -তখন নাকি আকাশ থেকে ফুলের পাঁপড়ি ঝরে পরে
নতুন বধুরা যখন তাদের বর কে ওগো বলে ডাকে -তাদের গালে নাকি
ফুটে ওঠে লালপদ্মের রঙ।

এসকল রঙের গল্প শুনে শুনে কেটে গ্যালো একজীবন
দ্যাখা হলোনা পরিষ্কার- আমার যে চোখের অসুখ।

নতুন কবিতার খসড়া-২

জল পড়তে পড়তে পাথরটা ক্ষয় হয়ে গ্যাছে
তার উপরে শ্যাওলারা পেতেছে সংসার
মাথার উপরে প্রতিদিন রোদেরা একটানা
আলো দ্যায়, রোদ দ্যায়। রোদ পড়তে পড়তে
মাথাটাও ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে নাকি?
তার উপরে কারা কারা সংসার পাতছে?



থার্টি-ফাস্টের কবিতা ঃ ছোট-বড় বিলাই এবং ভাল্লুকদের জন্য কবিতা


পৌষ ও মাঘ মাসে বাঘেরা বাইরে থাকে না
ঘড়ের ভেতরে ঘাপি মেরে পিঠা-পুলি খায়
কেউ কেউ বউ-বাচ্চা সহ বেড়াইতে যায়
সাগরে; বরফের উপরে জনিকে হাটায়
আর শুধুমাত্র গুটি কয়েক হতভাগ্য
সৌভাজ্ঞ বঞ্চিত ছোট ছোট বেড়াল
দু'য়েকটা বড় বেড়ালের সাথে
মাঝরাত্রে রাস্তায় দাড়িয়ে
ঠকঠক করে কাঁপে
হিম ঠান্ডায়

জনগণের দোড়গোরে জরুরী সেবা পৌছে দেবার প্রয়োজনে।

থার্টি-ফাস্টের কবিতা ঃযারা গত রাতে অনেক মজা করেছেন
 

গত রাতে আমি ঘুমায়ে ছিলাম ঘড়ে, বাইরে যাইনি
স্বপ্ন ধরবো বলে ঘুমের জাল পেতে বসে ছিলাম একাই

মাকড়শা যে ভাবে মৃতবৎ পড়ে থাকে তার জালের উপরে
শিকারী যে ভাবে ধ্যনস্থ হয়ে তাকিয়ে থাকে ফৎনার দিকে
কলের অপেক্ষায়- আমিও সেই ভাবে ঘুমের জাল পেতে ছিলাম
গত রাতে, যদিও জানতাম বাইরেই বেশি মজা হবে - হুল্লোরে
স্বপ্ন গাছেরও অধিক বেশি রঙিন ফুল ফুটবে দোকানে দোকানে

একবার ভেবেছিলাম যাবো তারপরে যাইনি যেহেতু
আমার মলিন মুখটাকে শুধুমাত্র স্বপ্নদৃশ্যেই একটু উজ্জ্বল দেখায়।

পাট রচনা

ইসকুলে পাঠ্য বইয়ে পড়েছি পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকারী ফসল
অথচ যখন বোঝার বয়স তখন দেখেছি আমাদের কোন পাটক্ষেত নেই
সবই অতীত সবই স্মৃতি, এমন কি ক'বছর আগেই ঝুলে পড়ার প্রয়োজনে
ছোটবু আমাকে সঙ্গে নিয়ে দোকান থেকে পাটের রশি কিনেছিল, যেহেতু
আমাদের ক্ষেত ততোদিনে ইরি-বোরো চিংড়ির দখলে চলে গ্যাছে
আমাদের সবগুলো নদী-বিল ও পুকুর ততোদিনে মাছের চাষে ভরে গেছে
সেখানে পাট জাগ দেয়া তখন আইনত অপরাধ, আদমজী চলে গ্যাছে
নেতাদের পেটে

আর গতকাল পত্রিকায় দেখে চমকে উঠলাম - চলতি বছরে দেশের
পাটের বাজারে আগুন ধরেছে, এখন স্নেহ করেও কেউ আর
পাটকে কুষ্টা নামে ডাকছে না, ইহা আবার রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে।


সাদা কাগজটার পাশে, টেবিলের উপরে


একটা সারাটা দিন বৃথাই গেল, কিচ্ছু হলো না
সকাল থেকেই একটা সাদা পৃষ্ঠা টেবিলে পড়ে ছিল
আশে-পাশে অনেকগুলো কলম পেন্সিল আর প্রেরণা ছিল
আর কয়েক গন্ডা হাতা তার উপর দিয়ে ঘুড়েফিরে চলে গেল অনার্থক
দিন ভর। কারো মনে হলো না এমন কি একটা দাগও কাটলো না কেউ এর উপরে
দিন শেষ হলো শুধু দীর্ঘনিঃশ্বাস, ঘড়ে ফেরার তাড়া আর মগজ ভর্তি না বলা কথা নিয়ে
সাদা কাগজটার পাশে, টেবিলের উপরে

আজ সারাটা দিন কিচ্ছু করা হলো না।


এখন কবিরা অনেক স্মার্ট- তারা ব্লগ লিখতে পারে


এখন কবিরা অনেক স্মার্ট
তারা আর আগের মতোন আত্নহত্যার কথা ভাবেন না
লেখার কাগজ নিয়ে তাদের ভাবতে হয় না, লেখার মাঝ পথে কলমের কালির সাথে লেখাগুলো আটকে যায় না, তারা আজকাল
কি-বোর্ড চেপে চেপে কবিতা লেখেন, চাবির পরে চাবি টিপে ভাবনাগুলো সাজিয়ে তোলেন
তারা যন্ত্রের ব্যাবহারে অভ্যাস্ত হয়ে উঠছেন
লেখার সাথে সাথে লেখাগুলো প্রকাশ করতে পারছেন (ব্লগে)
তাকে ঘুরতে হচ্ছে না সম্পদকের দুয়ারে দুয়ারে বোতল নিয়ে
আর প্রসব পরবর্তি অবসাদ - যা মূলত সদ্য জন্ম নেয়া কবিতা
আরেকজন কবির সাথে, পাঠকের সাথে শেয়ার করতে না পারার যন্ত্রণা থেকে
জন্ম নিত; এখন অনেক কমে যাচ্ছে। যেহেতু কবিরা চাবি টিপে মূহুর্তেই পৌছে যাচ্ছেন
আরেকজন কবির বাড়িতে
এখন তারা ইচ্ছা হলেই আরেকজন কবির জানালায় উকি দিয়ে দেখতে পারছেন
আজ তার রসুইয়ে কি পাক হচ্ছে - পদ্য নাকি গদ্য
নাকি আজ কবির কিচ্ছু ভালো লাগছে না, আজ তার উপবাস

আর তারা চাবি টিপে টিপে সাজিয়ে তুলছেন নিজের ভাবনা গুলো, দেখে নিচ্ছে মনিটরে
ভাবনাগুলো জমা করে রাখছেন যন্ত্রের স্মৃতিতে, ছড়িয়ে দিচ্ছেন বেতারে
আকাশে আকাশে

এখন কবিরা আত্না-হত্যার আগে সুইসাইড নোটের পরিবর্তে লাইভ ব্রডকাষ্ট করতে পারছেন মুহূর্তটাকে।

ইমরান মাঝি এবং সাদী তাঈফ এবং সাইফ কে মনে পড়লো অকারণে


পাখীরা পড়ে না, নানা বাড়ি যায় ছুটিতে
কষিটানা খাতাগুলো ফাঁকা পরে থাকে
অপেক্ষায়। জেলের সন্তান মজিদ মিঞা
ফোর পাশ করে রিক্সা চালায় তাই পাখীর
বাপ তাকে সাথে নিয়ে ইসকুলে যায়
উপবৃত্তির পয়শা তুলিতে।


সময় যাপন-১০


মাতম স্তব্ধ হলে লোবানের ঘ্রাণ
অলৌকিক আয়াতের সাথে
মিশে যায় গোরস্থানময়
আয়াতুল কুরশীর বাণী অচেনা লাগে
চৌদিকে চেয়ে দেখি প্রখর রোদ্দুর
ঈশ্বর প্রতিপক্ষ হলে প্রতিরোধ
সামান্যই সম্ভব
তবুও কেউ কেউ প্রতিবাদী হয়
ইসকুল পালিয়ে সিনেমা দ্যাখে।


তরিকা


মার্জিত এবং পরিবর্ধিত সংষ্করন

তরিকা একটা জটিল ব্যাপার
যেমন কর্ম একটা যোগ
যে যোগী সে পারে
কোরতে

বাইবেলে লুক বলেছেন
- যে করে সে বাড়ীর বাইরে যেতে ভয় পায় না
কারণ সে পাওয়ার যোগ্য।
পারা একটা কথাও বটে-
জটিল

এই দুনিয়ায় দুই তরিকার সাধক আছেন
জাহেরী আর বাতেনী

জাহেরী তরিকার সাধকগণ জাহের করেন
কারণ তারা পারেন
আর যারা বাতেনী তরিকার লোক
তারাও করেন ইচ্ছে হলে
কোরে গোপন করেন।

কলির এই দুনিয়ায় পারাটা একটা পাপ
যে পারে তাকে অন্যের অনুরোধে
ঘুরেফিরে একই কাজ
কোরতে হয়
বারবার
পারার অপরাধে

আর অনুরোধের ঢেকিতো একটা দারুণ ব্যাপার
মানুষকে দিয়ে তার অপ্রিয় কাজগুলো করিয়ে নিতে পারে

তাই বাতেনী তরিকার সাধুগণ
পারতপক্ষে করেন না,
কোরলেও গোপন করেন।।

আমি ভাই অলস মানুষ, তরিকাছাড়া উলুরবনে
ভাবতে ভাবতে দিন কেটে যায়
কোরবো কখন...

অনেক দিনের অনেক দিন পরে


অনেক দিনের অনেক দিন পরে
আজ বৃষ্টি হচ্ছে
গোঁ গোঁ শব্দ তুলে একটা ট্রাক
আসছে আমার দিকে ছুটে
আকাশে ডাকছে আমাকে মেঘ

আমি তোমাকে একটা গল্প লিখছি
আজ
অনেক দিনের অনেক দিন পরে।


নষ্টলজিক বিকেলে চায়ের কাপে-২


কিশোরের চোখ দেখে ফ্যালে ফুল
ফুলের ভেতরে ছিল নদী
আহা নদীটাকে দ্যাখা যেত যদি!

সাদা সাদা মেঘ উড়ে উড়ে যায়, হাওয়ার ইচ্ছায়
মাঝে মাঝে ঝড়ে পড়ে বৃষ্টি হয়ে টাপুর টুপুর
নড়েচড়ে বুকের ভেতরে আগুনের নদী
আহা নদীটাকে দ্যাখা যেত যদি!

বুকের ভেতরে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে জাগে
বিকেলের ভোর
আর একা একা থাকে যে কিশোর
যুবক বয়সে, তাকে কি বলা যাবে এই বেলা
একর অধিক সমিল মৌলিক-
সেতো পৃথিবীতে নেই।


অনেক দিনের অনেক দিন পরে


অনেক দিনের অনেক দিন পরে
আজ বৃষ্টি হচ্ছে
গোঁ গোঁ শব্দ তুলে একটা ট্রাক
আসছে আমার দিকে ছুটে
আকাশে ডাকছে আমাকে মেঘ

আমি তোমাকে একটা গল্প লিখছি
আজ
অনেক দিনের অনেক দিন পরে।
 

 

 

নীল নির্বাণের গল্প এবং আমার দর্শন-চিন্তার সাথে দুইটা ছবি

নীল নির্বাণের গল্প


আমার ছেলে নীল নির্বাণ এর বয়স ২ বছর ৮ মাস। নীল নির্বান এইটুকু বয়সেই বেশ গল্পো বানানো শিখে ফেলেছে (যে যুগ-জামানা পরছে না শিখে উপায় আছে !!!)। তো আজ সকালে ও আমাকে ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাক্যে (আমার বলা ইংরেজী বাক্যের চেয়ে ওর ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাক্যে ভালো কাজ চলে- মূল বিষয় বোঝাতে)। গল্পোটা হুবুহু তুলে দিলাম ৎ


কাল আমরা যখন পুকুর পারে গেছিলাম তখন একটা হাম্বা হাটতে হাটতে পানিতে পরে গেছিল। তখন পুকুরের সব পানি রাস্তায় চলে আসছিল। মাছরাও রাস্তায় চলে আসছিল, লাফাচ্ছিল। তখন একটা ম্যাও আছেনা, কালো ম্যাও এসে সব মাছ খায়ে ফেলছে। তারপর না ম্যাওটার গলায় একটা কাঁটা ফুটে গ্যাছে।





নীল নির্বাণ মায়ের সাথে নাটক করছে




আমার দর্শন-চিন্তা-০১


জ্ঞানীরা বলেন দর্শনশুন্য জীবন হয়না। প্রত্যেকটি জীবনেরই বেঁচে থাকার জন্যে একটা দর্শনের প্রয়োজন - যেইটার নাম জীবন-দর্শন।একটা সুনির্দিষ্ট জীবন-দর্শন থাকলে জীবনটা যাপন করা সহজ হয়। জীব ভেদে জীবন-দর্শনের ভেতরে ভিন্নতা থাকে, তবে মানুষ বাদে আর সব অন্যান্য জীবনগোষ্ঠির জীবন-দর্শন মোটামুটি একটাই -জীবনের জগতে টিকে থাকা ( আমি পশু-পক্ষী-গাছদের সাথে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই সত্য আবিষ্কার করেছি ! )। তবে এখন জীবনজগতের একটা বড় অংশের টিকে থাকা না থাকার বিষয়টা মানুষ নামক জীবের উপরে নির্ভরশীল হয়ে পরেছে। এখানে জীবনজগতের এই অংশের কারোরই জন্ম-মৃত্যু-টিকে থাকার জন্যে নিজেদের কিছু করতে হয়না-করার প্রয়োজন পরে না-করার সুযোগটাই নেই।তাদের জন্মটা পর্যন্ত হয় মানুষের তত্বাবধানে (খামারে), ফলে তাদের জীবন হয়ে পরেছে দর্শন-শুন্য, ফলত উদ্দেশ্যবিহীন।অবশ্য মানুষের মধ্যে বড়ো অংশটাও এখন এই সব অন্যান্য জীবনের মতোনই কোন সুনির্দিষ্ট জীবন-দর্শন ছাড়াই জীবনটা পার করে দিচ্ছে - একটা ছোট্ট গোষ্ঠির (এরাও মানুষ) জীবন-দর্শন বাস্তবায়নের নিমিত্তে বিবিধ প্রয়োজন মেটাচ্ছে।










কাফফারা ঃ যেহেতু কাজ-কাম নাই, তাই হাবিজাবি উদ্ভট কথাবার্তা লিখছি। যেহেতু এই পোষ্টের দ্বারা আপনার ভেতরে বিরক্তি উৎপাদন করেছি , কাফফারা স্বরূপ কলাবতী ফুলের একটা অল্প নবীন এবং একটা অধিক নবীন পাতার আর একথোকা লাল টুকটুকে কলাবতি ফুলের ছবি জুরে দিলাম - সবুজ দেইখা মেজাজ শরীফ ঠান্ডা করেন।





কলাবতী ফুলগাছের নবীন পাতা





কলাবতী ফুল














আমি তোকে ভালবাসতে চাই, আমি তোর কাছে আসতে চাই






আমি তোকে ভালবাসতে চাই, আমি তোর কাছে আসতে চাই জাতীয় কবিতা/গান লিখতে মন চাচ্ছে।


লিখেই ফেলা উচিত....আপনেরা কি বলেন? নাহলে আবার অসুখ-বিসুখ হইতে পারে!!!!




বেচারামের বাবা আত্মারাম ইহধাম ত্যাগ করার পরে বলাই চিন্তি কে নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা


বলাই চিন্তি কে নিয়ে বেচারাম খুব চিন্তায় ছিল। বেচারামরা পেশায় ধোপা। এইটা তাদের পূর্বতন চৌদ্দপুরুষের পেশা।বংশ পরম্পরা অনুশারে তাদের বংশে কারো জন্ম হলে সেও পিতা-পিতামহের পেশাকে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করবে এইটাই ছিল রীতি। জীবিকাটা এখানে মুখ্য বিষয় নয়, পরম্পরাটাই আসল। ধোপার সন্তান ধোপা না হয়ে অন্য কিছু হতে পারে - এই বোধটাই তাদের বংশের কারো মধ্যে ছিল না, কেউ এ রকম চিন্তা করার দুঃসাহসও করতো না অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভয়ে। তারচেয়ে পৈত্রিক পেশায় ঢুকে নিরাপদে জীবনটা পার করে দেওয়াটাই সহজ ও স্বাভাবিক ছিল। তাছাড়া বাপ-দাদার পেশায় না ঢুকে অন্য কোন পেশায় ঢুকে জীবিকা নির্বাহ করা যায় সেইটা ভেবে-চিন্তে বাইর করাও একটা মুশকিল ছিল। অবশ্য বেচারামদের আগে কারো এই রকম পাপ চিন্তার দরকারো হয় নাই। বেচারাম যখন কিশোর ঠিক সেই সময়ে তাদের চৌদ্দ পুরুষের পেশায় টিকে থাকা নিয়ে সত্যিকারের সংকট দেখা দিলো। তখন বেচারামের বাবা আত্মারাম মাত্র দেহ ত্যাগ করেছে। ইহধাম থেকে ইস্তফা নেওয়ার সময় আত্মারাম তার জেষ্ঠ্যপুত্রধন বেচারাম কে তার সবকিছু দিয়েথুয়ে গিয়েছিল। উত্তরাধিকার সূত্রে পিতাঠাকুরের কাছ থেকে বেচারাম একটা গাধা, কাপড় ধোয়ার মুগুর ও কাঠ, কাপড় গিলে করার জিনিসপত্র, তিনটা ছোটছোট ভাই, একটা বিধবা বোন, একটা বিধবা মা এবং একটা মাত্র নড়বড়ে ছাউনি দেয়া ঘড় পেয়েছিল। পিতা ঠাকুরের রেখে যাওয়া গাধাটাকে বেচারাম আদর করে বলাই চিন্তি নামে ডাকতো। এই নামটা তার কাকার দেয়া।


স্বর্গীয় আত্মারামের পুত্র বেচারামের গাধা বলাই চিন্তি

পিতা ঠাকুর ইহধাম থেকে প্রস্থানের কিছুদিন পরে বেচারাম যে ঘাটে কাপড় ধুইতো সেইঘাটটা কন্ট্রাকটারদের দখলে চলে গেল। কন্ট্রাকটাররা নাকি এই ঘাট সরকার বাহাদুরের কাছ থেকে বিল্ডিং বানানোর জন্যে বন্দোবস্থ নিয়েছিল। তো দখল নিয়েই কন্ট্রাকটারের পো'রা ঘাটের চারদিকে বেড়া দিয়ে মাটি ভরাট করে ঘাট বুজিয়ে বিল্ডিং এর কাজ শুরু করে দিলো। এ দিকে বেচারাম বেচারা পড়লো বড়োই ফাপরে - এখন সে কোথায় কাপড় ধোবে? আশে-পাশেতো আর কোন ঘাটও নাই, যে দু'চাইরটা পুকুর আছে সেখানেও মাছ চাষ হয়, কাপড় কাচা নিষেধ।এমনিতেই বেচারামের দিনকাল খারাপ যাচ্ছিল, সে আর আগের মতোন কাপড় পাচ্ছিল না, কাচার জন্যে। যেদিন থেকে ভদ্রলোকের ছেলেরা লন্ড্রি খুলে বসেছে সেদিন থেকেই তার গ্রাহকের আকাল দেখা দিয়েছিল। চক্ষু লজ্জার খাতিরে যেসব পুরাতন গ্রাহক কাপড় কাচতে দিতো, গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেচারাম চেয়েচিন্তে কয়টা কাপড় জোগার করতো ধোয়ার জন্যে, ঘাট দখল হবার পর থেকে সে তাদেরো হারালো।


এর ভেতরে আবার সেই ঘটনাটা আস্তে আস্তে ঘটতে আছিল, যার জন্যে বেচারাম বলাই চিন্তি কে নিয়ে চিন্তায় পরলো, যেই ঘটনাটা বলার জন্যে এই গল্পটা বলা।


(বাকিটুকু পরের বসায় ভেবে চিন্তে লিখবো, এখন আর লিখতে পারছি না, বলাই চিন্তি কেন্দ্রিক কোন ঘটনাটা ঘটানো যায় মাথায় আসছে না )

 

 

পাঠ প্রতিক্রিয়া

 

সম্পর্কের সুতোগুলো আজকাল সুইয়ের ছিদ্র খুঁজে পাচ্ছে না
বাধনের গ্রন্থিগুলো আলগা হয়ে যাচ্ছে, ভেসে যাচ্ছে হাওয়ায় হাওয়ায়
মায়া ও মমতারা , তবুও বেঁচে থাকা যাচ্ছে


সোনা-রূপা ছড়ানো বাতাস ইদানিং বেলুনে বন্দি; হাওয়ারা ভাসছে...


০২


মাথাভাঙ্গা নদী ভেঙ্গে একদা বয়ে গেছে নুহের নৌকা, এখন সেখানে বালুর চর পরে আছে
বিবাগী পুরুষেরা যেমন মাঝে মাঝে ঘরে ফিরে আসে স্মুতিতে কাতর হয়ে, খুঁজে ফেরে জলের দাগ, প্রেম ও প্রেমিকার মুখ।মাথাভাঙ্গা নদী ভেঙ্গে এইভাবে এখনো মাঝে মাঝে জলেরা আসে জোয়ারের মতো, সংসার খোঁজে, নাব্যতা না পেয়ে ফিরে যায়। বিবাগী পুরুষেরা সংসারী হয়না সুখ না পেয়ে আবার ফিরে ফিরে যায় জলের নৌকায় জল ঠেলে ঠেলে - বাহিরে।দুরে গেলে প্রেম বাড়ে বলে বিবাগী পুরুষ বারবার দুরে চলে যায় প্রেমের সন্ধানে সংসার ও পরিবার পেছনে ফেলে




নোট ঃ উপরের লেখা দু'টি আমার প্রিয় দুই ব্লগারের পোষ্ট পড়ে কমেন্ট হিসেবে লিখেছিলাম। পরে ভালো লেগে গেল বলে অন্যদের সাথেও শেয়ার করলাম।

পোষ্টের হিট সংখ্যা বাড়ানোর একখান জবরদস্ত বুদ্ধি


যারা পোষ্টে হিট সংখ্যা বাড়াইতে সদা সর্বদা ব্যাকুল থাকেন, কিন্তু কোন এক আজিব বাধার কারণে (হইতে পারে পাবলিকে খায় না) হইয়া ওঠে না, তাদের জন্যে একটা অব্যার্থ ফর্মুলা (যে সব জ্ঞানী আগে থেইকা জানেন, তারা দয়া কইরা অফ যান, এই পোষ্ট আপনাদিগের জন্যে না)-


যে পোষ্টে হিট সংখ্যা বাড়াইতে চান সেই পোষ্টে ঢোকেন, তারপরে ব্রাউজারের রিফ্রেস বাটন ক্লিক করে  রিফ্রেস করেন:D দেখেন একখানা হিট বাড়ছে:D


এখন যতবার খুশি এই প্রক্রিয়া চালাইতে থাকেন, প্রতিবার একটা করে হিট আপনার পরিসংখ্যানে যোগ হয়ে যাবে/#)


তো আর দেরি কেন? যারা হিট হইতে চান, মাইনষের পোষ্ট পড়া বাদ দিয়া হিট করতে থাকেন, নিজের পোষ্টে:P

ফেসবুক স্ট্যাটাস

একটা লাল পাখী কি যেন বলে যাচ্ছে নীল মানুষটিকে কানে কানে
যে ছিল তুষারে তৈরী - বরফের ভাই, যার কানে হেডফোন ছিল
যে শুনতে পায়না - আয়নার আর্তনাদ....

টোলের টেক্সট

ডানদিকে সমুদ্র আর বামে পাহাড়উপরে মহাশুন্য আর পায়ের নিচে কংক্রিট
কোনপথ নিরাপদ ভয়শুন্য


কোনপথ নিরাপদ পানিশুন্য
কোন উতরাই অনায়াস
কোন উড্ডিন বাস্তব অযান্ত্রিকে
নিচে মাটি হলে তবু ভেদ করা যেতো
এতো কংক্রিট- দুর্ভ্যেদ্য


তবে কোনপথ নিরাপদ গমনের...











ঘড় পুড়লে ছাই থাকে, কপাল পুড়লে কিচ্ছু থাকে না




কপালের আরেক নাম গোপাল
শুধু ভাগ্যবানদের ভালো হয়
(ভাগ্যবতিদের বাদ দিচ্ছি না, জেন্ডার বিতর্ক এড়াইতে ভাগ্যবান শব্দটাকে উভলিঙ্গ ধরছি)
এই আকালের দিনেও কতোজন কতোকিছু পাচ্ছে
কতোজনের কতোকিছু হচ্ছে
আইনের উর্ধ্বে উঠে
কতোজনের গতি হয়ে যাচ্ছে
স্পিড লিমিটের চেয়ে বেশি স্পিডে না গেলেই বরং
পুলিশে ধরছে
পুলিশকে ডিবি
ডিবি কে এনএসআই
মানুষ এখন ইচ্ছে হলেই
ডান থেকে বামে
বাম থেকে ডানে
যাইতে পারছে
কাম সারতে
(করিৎকর্মারা অবশ্য আগেও পারতো, যেমন ফররুখ-মাহমুদ)
কেউ আর কেচ্ছা-টেচ্ছা'র ধার ধারছে না


যখন আমি কপাল ঠুকছি বিদেশে যাইবো বলে
লাইন ধরছি গাধার মতোন, লাইনে
ও মমিন, দুবাইয়ে কিন্তু আগের মতোন কামাই-রুজি নাই!
তারচে পারলে বেয়াই হও ক্ষমতাবানের, ল্যাংরা-লুলার মতোন!
শেষ বিচারের দিন কামে লাগবো।

কর্ণেল কে কেউ চিঠি লেখে না






নিজেকে বেধে রেখেছি নিজেই - শিকলে।


বেশ লাগছে।


কেউ আমাকে খুঁজছে না।


আমার বাড়িতে কারো পা পড়ছে না।


কেউ কড়া নাড়ছে না অমার দড়জায়।


সকাল-সন্ধ্যা ব্যালকনিতে বসে আকাশ-কুশুম ভাবছি।


কেটে যাচ্ছে একেলা বিরহের বেলা...




আমার মন ভালো নেই



আমি অতীতে যা যা করেছি ভুল করেছি
আমি এখন যা যা করছি ভুল করছি
আমি ভবিষ্যতে যা যা করবো ভুল করবো।






আমার মন ভালো নেই।






রাইটার্স ব্লক চলছে।




কিছু পড়তেও ভালো লাগছে না।




খুব পুড়তে ইচ্ছে করছে জ্বরে।


বকুল ফুলের মালা গাথা মেয়েটি



বকুল ফুলের মালা গাথা মেয়েটিকে দেখতে গিয়েছিলাম
আজকেও ছিল বকুলের দিন; বকুল সময় - গন্ধে মাতাল
আজকেও আকাশে রোদ ছিল, ফুটপাথে রাস্তায়, শরীরে


ওদিকে আমার বউ ভাত নিয়ে বসে ছিল ঘরে
আমার অপেক্ষায় ভাদ্র দুপুরে, বকুলের দিনে, আর্দ্র গরমে।










নীল নির্বাণের নতুন গল্প এবং ফটোগ্রাফি; বোনাস হিসেবে মাহিরের মায়ের ফটোগ্রাফির চেষ্টা এবং বিবিধ প্রসঙ্গ


নীল নির্বাণের তিন নাম্বার গল্প


হঠাৎ করেই মাঝ রাতের পরে, আমি জেগেই ছিলাম, একটা বই পড়তে আছিলাম....আমার এক বছর নয় মাস বয়সের বাবা ঘুমের ভেতর থেকে এক ঝাকি দিয়ে জেগে উঠে, উঠে বসলো। বসেই চোখ খুলে আমার দিকে ঘুরে তার নতুন গল্পটা (এইটারে বোধ হয় গল্প না বলে স্বপ্ন বলা ভালো) শোনালো। ব্লগে তিন নাম্বার বলে নামকরণে তিন শব্দটা ব্যাবহার করলাম....নতুন গল্প সে প্রত্যেক দিনই শোনায় কয়েকটা করে......


স্বপ্নবৃত্তান্ত


বাবা জানো, কয়েকটা সাপ.....আমাকে......দৌড়াচ্ছিল......
আমি এক দৌড় দিয়ে খাটে উঠে পরছি.....
আমাকে ধরতে পারে নাই....




নীল বেশ ভালো ফটোগ্রাফি শিখে গেছে। আমি তার প্রতিভায় মুগ্ধ (সেইটা অবশ্য সব বাপই থাকে)। এখন সে নিজে নিজেই রীতিমতো ক্যামেরার কাভার খুলে ছবি তুলে বেড়াচ্ছে, একটা ছবি তোলার পরে আবার সেই স্ন্যাপটা সবাইকে দেখিয়ে (যদি তার নিজের পছন্দ হয়) তারপরে নিজেই আবার নতুন ছবি তোলার প্রস্তুতি নিয়ে (ভিউ থেকে শটে যাওয়া আরকি) নতুন ছবি তুলছে....প্রথম প্রথম সে ছবি তোলার সময় মোবাইলের মনিটর নিজের চোখের সাথে লাগিয়ে শাটার টিপতো....তাকে সেখাতে গেলে সে ধমক দিতো - তুমি উল্টা-পুল্টা বলতেছো !!!!!!!!!!তারপরে দ্রুতই তার উন্নতি হলো....দেড়-দুই সপ্তাহের মধ্যেই সে ঠিকঠাক ছবি তোলা শিখে ফেললো....রীতিমতো নিজে নিজেই ক্যামেরার কাভার খুলে (তার মোবাইলের ক্যামেরার আবার একটা শাটার-ঢাকনা আছে).......নিচে কিছু স্যাম্পল দিলাম -





ফ্যানের ছবি তোলা নীলের সবচে প্রিয়...সে প্রচুর ফ্যানের ছবি তোলে (সম্ভবত ভবিষ্যতে ফ্যানদের কথা ভেবে)......একটা ছবি তুলে ভিউ থেকে স্ন্যাপে যেতে গিয়ে গড়বড় করে ফেলছে....সেভ হইছে প্যানারোমা স্টাইলে



এইটা মনে হয় টিকটিকির ছবি (?)



নীলের তোলা মায়ের ব্লার-উল্টা ছবি...এক্সপেরিমেন্টাল



উপরের ছবিখান পছন্দ না হওয়ায় নীল তার মাকে একটা গাড়ী হাতে পোজ দিতে বাধ্য করছে - একটা ভালো ছবি তোলার জন্যে মায়ের



এইটা আমারে সবচে বেশি মুগ্ধ করছে - নীলের নিজের তোলা নিজের সেলফ পোট্রেট




ছেলের ছবি তোলার প্রতিভা দেখে এবং সেইটা নিয়ে আমার মাতামাতি দেখে (নিজের প্রিয় মোবাইলটা তাকে দিয়ে আমি এখন একটা পুরাতন ফোন ব্যাবহার করছি, যেইটাতে ক্যামেরাই নাই) ছেলের মায়ের খুব হিংসে হয়েছে....সেও নেমে পরেছে দেখলাম ফটোগ্রাফির চেষ্টায় (বোধ হয় ভেবেছে ভালো ছবি তোলা দেখলে তাকেও একটা ভালো ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল কিনে দেব).....ছেলের মোবাইল মাঝে-মধ্যে সেও দেখতে পাচ্ছি ধার নিয়ে ব্যবহার করছে ছবি তুলতে....










ধান বানতে শীবের গীত - একটা অপচেষ্টাশীবের গীত


দাদু সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি সন্ন্যাসী হবেন, সংসার ত্যাগ করে তীর্থে তীর্থে ঘুরে জীবনের বাকিটা কাটিয়ে দেবেন। তো প্রথম সপ্তাহে দাদুর লোটা কেনা হলো, পরের সপ্তাহে তার কম্বল কেনা হলো, তার পরের সপ্তাহে তার লাঠি কেনা হলো....এভাবে তার সন্ন্যাসী হয়ে সংসার ত্যাগের প্রত্রিয়াটা মাসাধিক কাল ধরে চলতে আছিল। তো একদিন নাতী দাদুর জ্ঞান-কান্ড (নাকি কান্ডের জ্ঞান) দেখে ক্ষেপে উঠলো। দাদুর সাথে তর্কে মেতে উঠলো এভাবে কি সন্ন্যাসী হওয়া যায় নাকি বিষয়ে। দাদুও নাতীর বেয়াদপিতে রেগেমেগে বললে - জীবনের তিনকালের এই শেষ কালে এসে কি আমাকে তোর কাছ থেকে শিখতে হবে নাকি কিভাবে সন্ন্যাসী হতে হয়?
চিৎকার-চেচামেচি করে দাদু-নাতি ততোক্ষণে বাড়ির সবাই কে জড়ো করে ফেলেছে। এ রকম একটা উত্তেজনাকর মুহূর্তে নাতী একটানে পড়নের ধুতি-জামা খুলে ফেলে দিলো। তার বদলে একটা গামছা কোমরে পেচিয়ে পরে বউ কে পেন্নাম করে বলল - মা (!) আমি চললুম, আজ থেকে আমি সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাসব্রত নিলুম.......বলে সত্যি সত্যিই সে হাটা দিলো, সংসার ছেড়ে, সন্ন্যাসী হতে।****








ঢেকি পার দেওয়া পর্ব বা বারা-বানা পর্ব (বানানটা বাড়া-বানাও হইতে পারে, আমার সন্দেহ আছে )


মানুষ যখন খুব সন্দেহবাতিকগ্রস্থ হয়ে ওঠে তখন সে কিভাবে চিন্তা-ভাবনা করে? সন্দেহ বিষয়টা মানুষের জিনের সাথে প্রবাহিত হয়ে আসে বলে এর কোন প্রতিকার নাই। মনে হয় সব প্রাণীর ক্ষেত্রেই এইটা কম-বেশি প্রযোজ্য। মনে সন্দেহ নেই - এই রকম প্রাণী সম্ভবত দুনিয়াতে নেই। মানুষ মানুষ কে সন্দেহ করবে, মানুষ বাড়ির বেড়াল কে সন্দেহ করবে, বাড়ির ঘুলঘুলিতে বাসা বাধা চড়াই-দম্পতি মানুষ এবং বেড়াল কে সন্দেহ করবে, ছেলে বাপ কে সন্দেহ করবে, বাপ মেয়ে কে সন্দেহ করবে, বউ স্বামী কে সন্দেহ করবে, গৃহস্বামী গৃহের আশ্রিতদের সন্দেহ করবে......এই রকম বিবিধ বিষয়ে সন্দেহ সন্দেহ খেলা চলতেই থাকবে জীবন ভর। মৃত্যুকালেও মুক্তি মেলা ভার ! অনেকের নাকি শুনেছি এরকম সময়েই বেশি বেশি ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ আসে, ধর্মেও। যেহেতু শোনা কথা, প্রতক্ষ্য অভিজ্ঞতাটা হয় নাই তাই জোর দিয়ে বলছি না। এরকম একে অপরকে সন্দেহ করাটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক। বরং কেউ যদি নিজেকে সকল বিষয়ে সন্দেহমুক্ত ভাবে (ভাবলেও ক্ষতি নাই, তবে অনেকে এই বিষয়ে রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে বসে) তাইলেই বিপদ। তারে নিয়ে আর সকলের মনে সন্দেহ জাগে। তো আমি এই রকম সুস্থ্য-সুন্দর সন্দেহের কথা বলছি না, সন্দেহ করাটা যখন একটা মানুষের বাতিকে পরিণত হয়, দুনিয়ার সবাইকে সে প্রতিপক্ষভাবে, সন্দেহ করে, কাছেপিঠে কেউ না থাকলে নিজেকে নিয়েই সন্দেহ করতে শুরু করে - তখন মানুষের চিন্তার গতি পথটা অনুশরণ করতে পারলে বেশ লাগে। সে কিভাবে চিন্তা ভাবনা করছে তা ধরতে পারলে আমি নিশ্চিত আপনে মজা নয় ভয় পাবেন।


পবিত্র মঙ্গলবার হযরত সকাল থেকেই এই অমূলক বিষয়টা নিয়ে ভাবতে আছে। ভাবলেও সমস্যা ছিল না, সে তার বিখ্যাত পদ্ধতিগত পন্থায় বিষয়টা নিয়ে এর মধ্যেই একটা অবজার্ভেশানের আয়োজন করে ফেলেছে। কাছের মানুষদের চিন্তার তাপটা, রাস্তাটা সহজেই অনেকখানি বোঝা যায় বলে সে তার কাছের মানুষদের নিয়েই এই সন্দেহবাতিকতা পর্যবেক্ষণটা শুরু করে দিয়েছে।


তার প্রথম শিকার হিসাবে নিজের বউ কে সে বেছে নিয়েছে। ২ নং মা, ৩ নং বাপ, ৪ নং ছোট ভাই। ছেলেকে সে তার প্রকল্প থেকে দয়া করে বাদ রেখেছে (যদিও সবকিছু কি চাইলেই যায়/হয়, যেমনটা চাওয়া হয়)। যেহেতু বউয়ের মনের অন্দি-সন্দি এই ক'বছরে তার বেশ আয়ত্তে এসে গেছে বলে তার মনে হয়েছে বলেই বউ কে সে তার পরীক্ষা ও নিরীক্ষার এক নং গিনিপিগ নির্বাচিত করেছে। বিষয়টা তুলনা মূলক নিরাপদ বলেও এইটা হইতে পারে - আমি নিশ্চিত নই, সন্দেহ আছে, এ বিষয়ে। যাই হোক এই সন্দেহবাতিক গবেষণা যদি খালি অবজার্ভেশানে বা পরীক্ষাতে সীমাবদ্ধ থাকতো তাইলে মনে হয় কোন সমস্যা হইতো না। কিন্তু এর সাথে যখন হযরত নীরিক্ষাকেও পেচিয়ে ফেলেছে তখন থেকেই প্যাচটা লাগতে শুরু করেছে।


নীরিক্ষার অংশ হিসেবে বুধবারে হযরত বাড়ির সবগুলান তালা বদলে ফেললো। মা-বউ বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন করলে সে আবজাব বলে পাশ কাটিয়ে গেল। তার উত্তরে বিষয়টা তার মা-বউয়ের কাছে পরিষ্কার না হয়ে আরো জটিল হলো। এভাবে হযরত তাদের মনে সন্দেহবাতিক পর্যবেক্ষণ প্রকল্পে'র প্রথম সন্দেহটা ঢোকালো।


এর পরের দিন সে হঠাৎ করেই অনেক দিন পরে লোকজন লাগিয়ে চিলেকোঠার ঘরটা পরিষ্কার করায়ে নতুন রং করালো। পবিত্র শুত্রবারে বাড়িতে একটা স্টিলের ভল্ট (ব্যাংকে,সোনার দোকানে যে রকম থাকে) নিয়ে কয়েকজন হাজির হলে হযরত তাদের নির্দেশনা দিয়ে চিলেকোঠার ঘরে ভল্টটাকে বসালো। শুক্রবার বলে সবাই (বাপ-মা-বউ-বাচ্চা-ছোট ভাই) বাড়িতেই ছিল। বাড়িতে হঠাৎ এই রকম লোহার ভল্টের কি দরকার পরলো দেখতে সবাই ছাদে হাজির হলো। সকলে দেখলো এই ভল্টটাও রীতিমতো একটা দর্শর্নীয় মাল। চাবি দিয়ে খোলার পরেও সেখানে ডিজিট ঘুরিয়ে পাসওয়ার্ড লক করতে হয়। তো সবাই যতোক্ষণে ছাদে আসলো ততক্ষণে হযরত চিলেকোঠার ঘরে নতুন আমদানী ভল্টটা স্থাপন শেষ করে বের হয়ে আসছিল।
সবাই কে একবার ভল্টটা নেড়েচেড়ে দেখার সুযোগ দিয়ে সে সবাইকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে নতুন কেনা একটা তালা সেই ঘড়ে লাগিয়ে সবাইকে অনুরোধ করলো ছাদে এই ভল্ট নিয়ে তারা যেন বাইরে কাউকে কিছু না বলে এবং আপাতত কয়েকদিন যেন চিলেকোঠার ঘড়ে কেউ না আসে। সবার একগাদা প্রশ্নের জবাবে হযরত হাতজোড় করে অনুরোধ করলো তোমরা এই বিষয়ে এখন আর আমারে কোন প্রশ্ন করো না, সব কিছু এখন আমি ঠিক বুঝিয়ে বলতে পারবো না, সময় নাই। আজকেই আমাকে এক্ষুণি বাগেরহাটে ছুটতে হবে একটা অফিসের কাজে।
বাড়ির সবাই মোটামুটি হযরতের শুক্রবারে বাগেরহাট যাওয়ার বিষয়টা জানতো বলে তাকে আপাতত ক্ষমা করে দিলো। চিলে কোঠার ঘরে নতুন কেনা তালা লাগিয়ে ছাদে নতুন কেনা তালা লাগিয়ে সবাইকে নিয়ে নিচে নেমে তরিঘড়ি করে বড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। যাওয়ার আগে সমুদয় তালার চাবি নাম্বার দিয়ে ঠিকঠাকমতো এক সেট মাকে এক সেট বউ কে বুঝিয়ে দিয়ে গেল। তবে ভল্টের চাবিটা (দেখতে মোটেও চাবির মতোন না) শুধু বউকে দিয়ে বললো - এইটা খুব সাবধানে রাখবা আর খবরদার এইটা দিয়ে আবার যেন ভল্টটা খুলতে যেও না। এই চাবি ঢুকিয়ে ঠিকঠাকমতো পাসওয়ার্ড না দিলে কিন্তুক ভল্টের তালা জন্মের লক হয়ে যাবে আবার খোলা একটা বিরাট ঝামেলার ব্যাপার হবে। আর ভুল পাসওয়ার্ড দিয়ে খুলতে গেলে মহা গ্যাঞ্জাম বেধে যাবে। এখন এতো বুঝিয়ে বলার সময় নাই। তুমি পারলে আমি না আসা পর্যন্ত ভল্ট-টল্টতো দুরের কথা চিলেকোঠাও খুলতেই যেও না। বলে সে ভল্টখানার চাবি হতে নিয়ে ছাদে গিয়ে চিলেকোঠায় একা কিছু সময় কাটিয়ে ৭ দিনের ট্যুরে বাগের হাটে চলে গেল।


(প্রথম অধ্যায় শেষ)




এতোক্ষণ যা ভানলাম


এতোক্ষণ যা করলাম সেইটার নাম বাল ছেড়া(অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করায় পাঠক ক্ষমা করবেন)। আমি আসলে বুঝতে চাইতেছি প্রফেশনাল লেখকরা কিভাবে লেখে - অর্ডার নিয়ে মাল সাপ্লাই দেয়। তো এইবারের মতোন কয়েকবার বুঝতে গিয়ে আসলে আমি নাজেহাল। শালার এইটা একটা কাম নাকি? মাটি কাটা/রিক্সা চালানোওতো এরচে সহজ। এইভাবে পৃষ্ঠার পরে পৃষ্ঠা গল্প বানিয়ে লিখে যাওয়া, আবার সেইটারে কাটাছেড়া করা, পছন্দ না হইলে রীতিমতো ৫/১০ পৃষ্ঠা ডিলিট মারা (যেহেতু হার্ডড্রাইভ ছেড়ার ব্যাবস্থা নাই, থাকলে মন্দ হতো না....ছেড়ার মজাটা (কাজটা) আসলে ডিলিট মেরে পাওয়া যায় না), আবার লেখা...কন্টিনিউয়েশান ঠিকঠাক রাখা....একটা লেখার গোয়ায় টানা ৫/৭/১০ দিন একমাস/একবছর/একযুগ সময় দেয়া - এইটাও কি সম্ভব? ক্যামনে?


এরচে আমার কবিতাই ভালো - নাজিল হলে নামায়ে ফেলি ঝামেলা নাই....নাজিল না হলেও অর্ডার থাকলে বা ইচ্ছে হলেই বানিয়ে ফেলি (মুক্তি মন্ডল স্টাইলে - মুক্তি'দা সরি ডোন্ট মাইন্ড, ব্লগে আপনে ছাড়া কবিতা নির্মাণের যোগ্য লোক পাই না), শব্দের পরে শব্দ....মাত্র কয়েক লাইন বড়োজোড় কয়েক পৃষ্ঠা.....কি চমৎকার!!! মাঝেমধ্যে অবশ্য দু'য়েকটা কবিতা যে ঝামেলা করে না তা বলছি না, নাজেলের সময় রিসিভার বা ওয়েদার বা সার্ভার সমস্যা করলে দু'য়েকটা শব্দ মিসিং হয়ে গেলে সেইটা আর মেলানো/বানানো যায় না, একটা গোঁজ-টোজ দিয়ে হয়ত কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়, কিন্তু যতোক্ষণ/যতোদিন আবার সেই কবিতাটার সেই শব্দটাই সার্ভারে সার্চ দিয়ে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না, ততো দিনে মুক্তি নাই.....সেই কবিতাটা/লাইনটা/শব্দটা থেকে....এরকম নাকি কবিরা ভোগে (শোনা/দেখা কথা) মাঝে মধ্যে....কিন্তুক সেইখানেও এতো ঝামেলা নাই......ভুল বললাম কষ্টটা নাই.....আর কবিতা লিখে পেট চলে না বলে লেখা না হলেও দিনের পরে দিন না লিখেও পার করে দেওয়া যায় দিব্যি হাতি ঘোড়া মেরে.....কিন্তু যারা প্রফেশনাল রাইটার তারা কিভাবে কাজ করে কয়েকবারের মতো আবার একবার বোঝার চেষ্টা করে ভয় পাচ্ছি..........এইভাবে কি আসলে হয়? হয়তো মনে হয়....অনেকেইতো করেছে, অনেকেই করছে......অনেকেই করবে সামনেও.....


আবার বিগের (ব্যারা) উঠলে এই গল্পের প্লটটা নিয়ে বা অন্য কোন গল্পের প্লট নিয়ে চেষ্টা করে দেখবো....কিভাবে হয়....হয়ে ওঠে....বড়গল্প.....




অফটপিক ঃ এ্যবসার্ড টাইপের একটা প্লট নিয়ে উপরের মতোন একটা গল্পের সূত্র (প্যানডোরার বাকসো টাইপ) আমারে অনেক বছর জালাচ্ছে.....আমার অনেক না লেখা গল্পের মতো....তবে এইটা সবচে বেশি জ্বালায়.....এই জ্বালায়তো আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থের নামটাই প্যানডোরারার বকসো রাখছিলাম!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!


****শুরুর গল্পটা বোদহয় শিবরামে পড়ছিলাম, শিওর না শিবরাম নাকি সঞ্জিব.....স্মৃতি থেকে নিজের মতোন বানায়ে দিলাম........পোষ্টটা কিন্তু আসলে শীবের গীত পর্বেই শেষ হয়ে গেছে!!!!!!!!!!!!!!!!তারপর থেকে মাটি কাটছি, সারাদিন কাইটা দেখি আরো অন্তত ১০/১৫ দিন লাগবো (তাও যদি মুড ভালো থাকে);)